শরণখোলা (বাগেরহাট) : উত্তর কদমতলায় গৃহিণী সেতারা বেগম দুষিত পানি দিয়ে গৃহস্থালি কাজ করছেন -সংবাদ
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার। এই সময়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও রান্নাবান্নায় দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
এছাড়া সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েন এসব পরিবারের সদস্যরা। শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার সংলগ্ন গ্রাম উত্তর কদমতলার এমন চিত্র নতুন না। পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকেই প্রতি বছর একই চিত্র দেখে আসছেন গ্রামটিতে বসবাস করা পরিবারগুলো। তাছাড়া এই উপকূলবাসীর নিত্য সংঙ্গী ঝড় জলোচ্ছ্বাস তো আছেই। দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা এসব পরিবারের অধিকাংশ মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ।
পানিবন্দী এলাকার খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় সেতারা বেগম নামে (৫০) বছরের এক নারী বাজার থেকে বাজার করে বাড়ির উঠনে দেওয়া লম্বা সাঁকো পার হয়ে ঘরে ফিরছেন। এবং কিছুক্ষণ পর ঘরের পাশে বসেই দুষিত পানি ব্যবহার করে গৃহস্থালি কাজ করছেন। একই চিত্র প্রায় অধিকাংশ পরিবারের।
পানি বন্দী আব্দুস সালাম হাওলাদার, জব্বার শিকদারসহ এলাকার অনেকেই বলছেন অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বালু ফেলে বাড়িঘর নির্মান করায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। এর ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। এমনকি পানিতে পঁচে বহু গাছ মারা গেছে। তাছাড়া দুষিত পানিতে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। তাই দ্রুত একটি স্লুইসগেট ও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার দাবি তাদের।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় দুষিত পানির কারনে চর্মরোগ বাড়ছে। পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই পরিকল্পিত ভাবে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নালা কেটে পাইপ বসানোর চেষ্টা করা হলে কিছু কিছু লোক তাদের জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় উদ্যোগটি থমকে যায়। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
শরণখোলা (বাগেরহাট) : উত্তর কদমতলায় গৃহিণী সেতারা বেগম দুষিত পানি দিয়ে গৃহস্থালি কাজ করছেন -সংবাদ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার। এই সময়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও রান্নাবান্নায় দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
এছাড়া সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েন এসব পরিবারের সদস্যরা। শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার সংলগ্ন গ্রাম উত্তর কদমতলার এমন চিত্র নতুন না। পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকেই প্রতি বছর একই চিত্র দেখে আসছেন গ্রামটিতে বসবাস করা পরিবারগুলো। তাছাড়া এই উপকূলবাসীর নিত্য সংঙ্গী ঝড় জলোচ্ছ্বাস তো আছেই। দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা এসব পরিবারের অধিকাংশ মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ।
পানিবন্দী এলাকার খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় সেতারা বেগম নামে (৫০) বছরের এক নারী বাজার থেকে বাজার করে বাড়ির উঠনে দেওয়া লম্বা সাঁকো পার হয়ে ঘরে ফিরছেন। এবং কিছুক্ষণ পর ঘরের পাশে বসেই দুষিত পানি ব্যবহার করে গৃহস্থালি কাজ করছেন। একই চিত্র প্রায় অধিকাংশ পরিবারের।
পানি বন্দী আব্দুস সালাম হাওলাদার, জব্বার শিকদারসহ এলাকার অনেকেই বলছেন অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বালু ফেলে বাড়িঘর নির্মান করায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। এর ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। এমনকি পানিতে পঁচে বহু গাছ মারা গেছে। তাছাড়া দুষিত পানিতে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। তাই দ্রুত একটি স্লুইসগেট ও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার দাবি তাদের।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় দুষিত পানির কারনে চর্মরোগ বাড়ছে। পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই পরিকল্পিত ভাবে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নালা কেটে পাইপ বসানোর চেষ্টা করা হলে কিছু কিছু লোক তাদের জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় উদ্যোগটি থমকে যায়। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।