alt

শরণখোলায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট) : সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

শরণখোলা (বাগেরহাট) : উত্তর কদমতলায় গৃহিণী সেতারা বেগম দুষিত পানি দিয়ে গৃহস্থালি কাজ করছেন -সংবাদ

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার। এই সময়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও রান্নাবান্নায় দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

এছাড়া সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েন এসব পরিবারের সদস্যরা। শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার সংলগ্ন গ্রাম উত্তর কদমতলার এমন চিত্র নতুন না। পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকেই প্রতি বছর একই চিত্র দেখে আসছেন গ্রামটিতে বসবাস করা পরিবারগুলো। তাছাড়া এই উপকূলবাসীর নিত্য সংঙ্গী ঝড় জলোচ্ছ্বাস তো আছেই। দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা এসব পরিবারের অধিকাংশ মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ।

পানিবন্দী এলাকার খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় সেতারা বেগম নামে (৫০) বছরের এক নারী বাজার থেকে বাজার করে বাড়ির উঠনে দেওয়া লম্বা সাঁকো পার হয়ে ঘরে ফিরছেন। এবং কিছুক্ষণ পর ঘরের পাশে বসেই দুষিত পানি ব্যবহার করে গৃহস্থালি কাজ করছেন। একই চিত্র প্রায় অধিকাংশ পরিবারের।

পানি বন্দী আব্দুস সালাম হাওলাদার, জব্বার শিকদারসহ এলাকার অনেকেই বলছেন অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বালু ফেলে বাড়িঘর নির্মান করায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। এর ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। এমনকি পানিতে পঁচে বহু গাছ মারা গেছে। তাছাড়া দুষিত পানিতে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। তাই দ্রুত একটি স্লুইসগেট ও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার দাবি তাদের।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় দুষিত পানির কারনে চর্মরোগ বাড়ছে। পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই পরিকল্পিত ভাবে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নালা কেটে পাইপ বসানোর চেষ্টা করা হলে কিছু কিছু লোক তাদের জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় উদ্যোগটি থমকে যায়। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

ছবি

লৌহজংয়ে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় মুসল্লির ওপর হামলা

ছবি

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ছবি

হেমন্তের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে শীতের আমেজ

ছবি

মহিলা দলের দু’পক্ষের সংঘর্ষ সৈয়দপুর জেলা মহিলা দলের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত

ছবি

বাড়ির সামনের ডোবা থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কাজে সাফল্যের পুরস্কার পেলেন মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা

ছবি

নৌকার গ্রাম চুনাখালী বছরে কোটি টাকার নৌকা বিক্রি

ছবি

উলিপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ভাইকে বাঁচাতে ছয় বোনের ভিক্ষাবৃত্তি

ছবি

সাপাহারে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মাদরাসা

ছবি

ভালুকায় সংরক্ষিত বনের গাছসহ পিকআপ জব্দ

ছবি

মৌমিতাকে হারিয়ে বাবার নীরব কান্না

ছবি

গজারিয়া মহাসড়কে অঘোষিত ময়লার ভাগাড়, পরিবেশ দূষণ

ছবি

মহেশপুরে কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নড়বড়ে কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ছবি

রামগতিতে আগুনে ১০ দোকান পুড়ে ছাই

ছবি

শেরপুরে পোস্ট অফিস থেকে জাল টাকা সরবরাহে দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার

ছবি

কুড়িগ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট

ছবি

হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত

ছবি

রায়গঞ্জে চোর সন্দেহে নির্যাতন, এক জনের মৃত্যু

ছবি

ফাঁকা আলমারিই এখন বিলকিসের ভরসা

ছবি

রাকাব কর্তৃক গ্রাহক সেবা পক্ষ উদ্বোধন

ছবি

তেঁতুলিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

ছবি

রাজশাহীতে বিজিবির অভিযানে কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি

পূর্বধলার ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান রানা গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

ছবি

বটিয়াঘাটায় আবারও লোডসেডিং শুরু

ছবি

‘বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না’

ছবি

সওজর মাস্টাররোল কর্মচারীদের মানববন্ধন

ছবি

ডিমলায় জব্দকৃত পাথর নিলামে বিক্রি করে রাজস্ব আদায়

ছবি

সাগরে অবৈধ ট্রলিং ট্রলার বন্ধের দাবিতে জেলেদের মানববন্ধন

ছবি

দৌলতদিয়ায় অভিযানে ৫ জেলে আটক, জাল ও ইলিশ জব্দ

ছবি

কারখানার সীমানা প্রাচীর তৈরিতে হাইকোর্টের রায়, এলাকাবাসীর তোপের মুখে ভ্রাম্যমান আদালত

সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ

জামালপুরে সার ডিলার নিয়োগে নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

tab

শরণখোলায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)

শরণখোলা (বাগেরহাট) : উত্তর কদমতলায় গৃহিণী সেতারা বেগম দুষিত পানি দিয়ে গৃহস্থালি কাজ করছেন -সংবাদ

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দী থাকেন দুই শতাধিক পরিবার। এই সময়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও রান্নাবান্নায় দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

এছাড়া সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েন এসব পরিবারের সদস্যরা। শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার সংলগ্ন গ্রাম উত্তর কদমতলার এমন চিত্র নতুন না। পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকেই প্রতি বছর একই চিত্র দেখে আসছেন গ্রামটিতে বসবাস করা পরিবারগুলো। তাছাড়া এই উপকূলবাসীর নিত্য সংঙ্গী ঝড় জলোচ্ছ্বাস তো আছেই। দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা এসব পরিবারের অধিকাংশ মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ।

পানিবন্দী এলাকার খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় সেতারা বেগম নামে (৫০) বছরের এক নারী বাজার থেকে বাজার করে বাড়ির উঠনে দেওয়া লম্বা সাঁকো পার হয়ে ঘরে ফিরছেন। এবং কিছুক্ষণ পর ঘরের পাশে বসেই দুষিত পানি ব্যবহার করে গৃহস্থালি কাজ করছেন। একই চিত্র প্রায় অধিকাংশ পরিবারের।

পানি বন্দী আব্দুস সালাম হাওলাদার, জব্বার শিকদারসহ এলাকার অনেকেই বলছেন অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বালু ফেলে বাড়িঘর নির্মান করায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। এর ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। এমনকি পানিতে পঁচে বহু গাছ মারা গেছে। তাছাড়া দুষিত পানিতে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। তাই দ্রুত একটি স্লুইসগেট ও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার দাবি তাদের।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় দুষিত পানির কারনে চর্মরোগ বাড়ছে। পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই পরিকল্পিত ভাবে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নালা কেটে পাইপ বসানোর চেষ্টা করা হলে কিছু কিছু লোক তাদের জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় উদ্যোগটি থমকে যায়। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

back to top