ডিমলা (নীলফামারী) : নদী থেকে অবৈধ উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলার তিস্তা নদী বিধৌত গয়াবাড়ী ও টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৭টি স্থান থেকে তিস্তা নদী থেকে অবৈধ উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ সম্প্রতি ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পাথর গুলো গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রওশন কবির।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলার তিস্তানদী থেকে একাধিক সঙ্ঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এ বিষয়ে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসন গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। ঐ দিনই টেপাখরিবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৭ টি স্থানে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়।
ঐ জব্দকৃত পাথরগুলি গতকাল রোববার উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ের অফিস সুপার (ও.এস) মো. রোকনুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারনকৃত সরকারি প্রতি সেফটি পাথরের মূল্য ৬৫ টাকা। এ মূল্যকে ঠিক রেখে ও সর্বনিম্ন রেট ধরে নিলামের ডাক দেয়া হয়। প্রকাশ্য নিলামে ২৯ জন পাথর ক্রয় প্রত্যাশীসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশ্য নিলাম ডাকে সর্বনিম্ন ৭১ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৫১ টাকা দরে পাথর বিক্রি করা হয়।
দিলাম কার্যক্রম শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর, বালু উত্তোলনের বিষয়ে গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে জরুরী মিটিং ছিল।
সেখানে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিষেধাজ্ঞ দিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাই তিনি সরকারের আইন মেনে তিস্তা নদী হতে বালু পাথর উত্তোলন না করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরো জানান, সরকারের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কেউ বালু পাথর উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।
ডিমলা (নীলফামারী) : নদী থেকে অবৈধ উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ -সংবাদ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলার তিস্তা নদী বিধৌত গয়াবাড়ী ও টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৭টি স্থান থেকে তিস্তা নদী থেকে অবৈধ উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ সম্প্রতি ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পাথর গুলো গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রওশন কবির।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলার তিস্তানদী থেকে একাধিক সঙ্ঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এ বিষয়ে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসন গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। ঐ দিনই টেপাখরিবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৭ টি স্থানে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথরের স্তুপ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়।
ঐ জব্দকৃত পাথরগুলি গতকাল রোববার উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ের অফিস সুপার (ও.এস) মো. রোকনুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারনকৃত সরকারি প্রতি সেফটি পাথরের মূল্য ৬৫ টাকা। এ মূল্যকে ঠিক রেখে ও সর্বনিম্ন রেট ধরে নিলামের ডাক দেয়া হয়। প্রকাশ্য নিলামে ২৯ জন পাথর ক্রয় প্রত্যাশীসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশ্য নিলাম ডাকে সর্বনিম্ন ৭১ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৫১ টাকা দরে পাথর বিক্রি করা হয়।
দিলাম কার্যক্রম শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর, বালু উত্তোলনের বিষয়ে গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে জরুরী মিটিং ছিল।
সেখানে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিষেধাজ্ঞ দিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাই তিনি সরকারের আইন মেনে তিস্তা নদী হতে বালু পাথর উত্তোলন না করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরো জানান, সরকারের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কেউ বালু পাথর উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।