শেরপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের কাছে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগে পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, অপরজনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর জেলা পোস্ট অফিসের ট্রেজারার মানিক মিয়া ও পোস্টাল অপারেটর হাফিজুর রহমান। মানিক মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার এবং হাফিজুর রহমানকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গণইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর নারী শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দেখতে পান, টাকার মধ্যে ৫৩টি এক হাজার টাকার নোট জাল। এর আগে, ৯ অক্টোবর দুপুরে শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ২৫টি এক হাজার টাকার নোট জাল বলে শনাক্ত করেন। ভুক্তভোগী দুই গ্রাহকই জানিয়েছেন, তারা শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে ওই টাকাগুলো উত্তোলন করেছিলেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি প্রশাসন, ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে আসে। বর্তমানে সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ এ ঘটনার তদন্ত করছে।
শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, আসামি হাফিজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জোবাইদুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
শেরপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের কাছে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগে পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, অপরজনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর জেলা পোস্ট অফিসের ট্রেজারার মানিক মিয়া ও পোস্টাল অপারেটর হাফিজুর রহমান। মানিক মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার এবং হাফিজুর রহমানকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গণইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর নারী শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দেখতে পান, টাকার মধ্যে ৫৩টি এক হাজার টাকার নোট জাল। এর আগে, ৯ অক্টোবর দুপুরে শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ২৫টি এক হাজার টাকার নোট জাল বলে শনাক্ত করেন। ভুক্তভোগী দুই গ্রাহকই জানিয়েছেন, তারা শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে ওই টাকাগুলো উত্তোলন করেছিলেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি প্রশাসন, ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে আসে। বর্তমানে সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ এ ঘটনার তদন্ত করছে।
শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, আসামি হাফিজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জোবাইদুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।