টাঙ্গাইল : জরাজীর্ণ সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে বাঁশবাহী ভ্যান -সংবাদ
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ওই কাঁচা সড়কটি ও ভাঙাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাঁকাকরণের। কিন্তু সে দাবি আজও পূরণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই বাঘবেড়-গজারিয়া রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণের।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে ভ্যান গাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। মালামাল পরিবহন করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। বাঘবেড় বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেকান্দার আলী বলেন, এই ব্রীজটা প্রথম অবস্থায় বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বর্ষার সময় এই সাঁকো পুরোটা ডুবে যায়। তখন প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এই ব্রীজটা যদি করা হয়, তাহলে আশেপাশের ৬/৭ গ্রামের মানুষ সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে।
গজারিয়া গ্রামের অজুফা খাতুন বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সরকার যদি আমাদের ব্রিজটা তাড়াতাড়ি করে দিতো, তাহলে খুব উপকার হতো। কে.জি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার বলেন, বর্ষাকালে বাঁশের এই সাঁকোটা পানির নিচে ডুবে থাকে। তখন ঝুঁকি নিয়েই আমাদের পারাপার হতে হয়। অনেক সময় আমাদের স্কুলে যাওয়া হয় না। এতে আমরা পড়াশুনায় পিছিয়ে যাই। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ব্রিজটা করে দেয়, যাতে আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারি।
বাঘবেড় গ্রামের বাসিন্দা রতন মিয়া বলেন, ব্রিজ না থাকায় আমাদের হাঁটে বাজারে যেতে কষ্ট হয়। এমনকি কোন রোগী হাসপাতালে নেওয়া আরও কষ্ট হয়ে যায়। এই এলাকার কৃষিপণ্য ধান, সবজি, কলাসহ নানা পণ্য বিক্রি করার জন্য ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়। এই রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এই সাঁকোটা বিভিন্ন সময় বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকোটার যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে আসা যাওয়া করতে পারতো।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, বাঘবেড়-গোহালিয়া খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজ করা হবে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের উপর যে কাঠের সাঁকোটি রয়েছে, বর্তমানে এলজিইডির কোন প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত নেই। এটা ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারিগরি রিপোর্ট প্রদান করবো। আশা করি অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তীতে উন্নয়ন কাজ সাধিত হবে।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল রনী বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি করা হবে।
টাঙ্গাইল : জরাজীর্ণ সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে বাঁশবাহী ভ্যান -সংবাদ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ওই কাঁচা সড়কটি ও ভাঙাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাঁকাকরণের। কিন্তু সে দাবি আজও পূরণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই বাঘবেড়-গজারিয়া রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণের।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে ভ্যান গাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। মালামাল পরিবহন করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। বাঘবেড় বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেকান্দার আলী বলেন, এই ব্রীজটা প্রথম অবস্থায় বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বর্ষার সময় এই সাঁকো পুরোটা ডুবে যায়। তখন প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এই ব্রীজটা যদি করা হয়, তাহলে আশেপাশের ৬/৭ গ্রামের মানুষ সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে।
গজারিয়া গ্রামের অজুফা খাতুন বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সরকার যদি আমাদের ব্রিজটা তাড়াতাড়ি করে দিতো, তাহলে খুব উপকার হতো। কে.জি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার বলেন, বর্ষাকালে বাঁশের এই সাঁকোটা পানির নিচে ডুবে থাকে। তখন ঝুঁকি নিয়েই আমাদের পারাপার হতে হয়। অনেক সময় আমাদের স্কুলে যাওয়া হয় না। এতে আমরা পড়াশুনায় পিছিয়ে যাই। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ব্রিজটা করে দেয়, যাতে আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারি।
বাঘবেড় গ্রামের বাসিন্দা রতন মিয়া বলেন, ব্রিজ না থাকায় আমাদের হাঁটে বাজারে যেতে কষ্ট হয়। এমনকি কোন রোগী হাসপাতালে নেওয়া আরও কষ্ট হয়ে যায়। এই এলাকার কৃষিপণ্য ধান, সবজি, কলাসহ নানা পণ্য বিক্রি করার জন্য ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়। এই রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এই সাঁকোটা বিভিন্ন সময় বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকোটার যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে আসা যাওয়া করতে পারতো।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, বাঘবেড়-গোহালিয়া খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজ করা হবে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের উপর যে কাঠের সাঁকোটি রয়েছে, বর্তমানে এলজিইডির কোন প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত নেই। এটা ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারিগরি রিপোর্ট প্রদান করবো। আশা করি অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তীতে উন্নয়ন কাজ সাধিত হবে।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল রনী বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি করা হবে।