ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশ অতিক্রমের সময়ে স্থানে স্থানে দূর থেকেই নাকে ভেসে আসে উৎকট দুর্গন্ধ। মহাসড়কের কুমিল্লামুখী লেনের একাধিক স্পটে চোখে পড়বে ময়লার স্তূপ। মহাসড়কের পাশ যেন হয়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়!
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে এমন অঘোষিত ভাগাড় গড়ে উঠেছে। মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়তে থাকায়, মহাসড়কের পার্শ্ব ঘেঁষা স্থান পরিণত হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে। এভাবে পরিবেশ দূষণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই পথ ব্যবহারকারী যাত্রী- চালক ও ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এভাবে খোলা স্থানে বর্জ্য-আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে ।
এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা একধরনের অপরাধও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তারা।
মহাসড়ক ঘেঁষা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, উপজেলাজুড়ে বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার কোন নিয়মনীতি মানছে না কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, ময়লা ফেলতে বাধা দিয়েও কোনো ফল হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ১৪ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠা ২০টির অধিক হাইওয়ে রেস্তোরা ও বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা ও আশপাশের লোকজন রাতের আঁধারে মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দী, ভাটেরচর, আনারপুরা, ভিটিকান্দী, ভবেরচর, বাউশিয়াসহ আরো কয়েকটি স্হানে মহাসড়কের উভয়মুখী লেনের পাশেই এলাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলার কারণে চলাচলের সময় চালক ও যাত্রীদের বিরম্ভনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নাক চেপে ধরে রাখতে হয় তীব্র দুর্গন্ধের কারণে।
পরিবেশ আন্দোলন কর্মী সফিক ঢালী বলেন, এতে পরিবেশ দুষণ চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েক দিন পর পর এসব ময়লার মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বায়ু দূষণ আরও বেড়ে যায়।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বর্তমানে উপজেলা প্রশাসকের পদেও রয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টির তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
গজারিয়া উপজেলার কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশের ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একটি অংশেও ময়লার স্তূপ দেখা গেছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদকে। যে সকল রেস্তোরার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে তাদের নজরধারী করা আমাদের দায়িত্ব। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্হা গ্রহন করবো।
মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও পথচারীরা বলেন, সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে সওজকে; কারণ মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তাদের দায়িত্ব।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম এর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশ অতিক্রমের সময়ে স্থানে স্থানে দূর থেকেই নাকে ভেসে আসে উৎকট দুর্গন্ধ। মহাসড়কের কুমিল্লামুখী লেনের একাধিক স্পটে চোখে পড়বে ময়লার স্তূপ। মহাসড়কের পাশ যেন হয়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়!
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে এমন অঘোষিত ভাগাড় গড়ে উঠেছে। মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়তে থাকায়, মহাসড়কের পার্শ্ব ঘেঁষা স্থান পরিণত হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে। এভাবে পরিবেশ দূষণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই পথ ব্যবহারকারী যাত্রী- চালক ও ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এভাবে খোলা স্থানে বর্জ্য-আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে ।
এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা একধরনের অপরাধও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তারা।
মহাসড়ক ঘেঁষা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, উপজেলাজুড়ে বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার কোন নিয়মনীতি মানছে না কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, ময়লা ফেলতে বাধা দিয়েও কোনো ফল হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ১৪ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠা ২০টির অধিক হাইওয়ে রেস্তোরা ও বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা ও আশপাশের লোকজন রাতের আঁধারে মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দী, ভাটেরচর, আনারপুরা, ভিটিকান্দী, ভবেরচর, বাউশিয়াসহ আরো কয়েকটি স্হানে মহাসড়কের উভয়মুখী লেনের পাশেই এলাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলার কারণে চলাচলের সময় চালক ও যাত্রীদের বিরম্ভনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নাক চেপে ধরে রাখতে হয় তীব্র দুর্গন্ধের কারণে।
পরিবেশ আন্দোলন কর্মী সফিক ঢালী বলেন, এতে পরিবেশ দুষণ চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েক দিন পর পর এসব ময়লার মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বায়ু দূষণ আরও বেড়ে যায়।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বর্তমানে উপজেলা প্রশাসকের পদেও রয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টির তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
গজারিয়া উপজেলার কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশের ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একটি অংশেও ময়লার স্তূপ দেখা গেছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদকে। যে সকল রেস্তোরার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে তাদের নজরধারী করা আমাদের দায়িত্ব। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্হা গ্রহন করবো।
মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও পথচারীরা বলেন, সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে সওজকে; কারণ মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তাদের দায়িত্ব।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম এর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।