ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী এবং হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমানের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান বহরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রাজাপুর গ্রামে জামায়াত আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে (দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে) যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি যখন উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তখন তার পার্কিং করা ব্যক্তিগত গাড়িতে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত আক্রমণ করে। হামলায় গাড়ির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে বলেন, এই হামলার ঘটনাটিকে জামায়াত নেতারা একটি পরিকল্পিত ও কাপুরুষোচিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি এবং প্রার্থী ও তার কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর নির্বাচনী এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও নির্বাচনী আচারবিধি লঙ্ঘন করে যে দুষ্কৃতিকারীরা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে, আমরা তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। তারা আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, এই ধরনের হামলা চালিয়ে জনগণের সমর্থন এবং নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে আমাদের বিরত রাখা যাবে না। কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান নিজেও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, জনগণের সমর্থন দেখে একটি মহল ভীত হয়ে এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই নিকৃষ্ট কীটদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এদিকে, হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাধবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী এবং হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমানের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান বহরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রাজাপুর গ্রামে জামায়াত আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে (দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে) যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি যখন উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তখন তার পার্কিং করা ব্যক্তিগত গাড়িতে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত আক্রমণ করে। হামলায় গাড়ির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে বলেন, এই হামলার ঘটনাটিকে জামায়াত নেতারা একটি পরিকল্পিত ও কাপুরুষোচিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি এবং প্রার্থী ও তার কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর নির্বাচনী এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও নির্বাচনী আচারবিধি লঙ্ঘন করে যে দুষ্কৃতিকারীরা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে, আমরা তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। তারা আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, এই ধরনের হামলা চালিয়ে জনগণের সমর্থন এবং নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে আমাদের বিরত রাখা যাবে না। কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান নিজেও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, জনগণের সমর্থন দেখে একটি মহল ভীত হয়ে এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই নিকৃষ্ট কীটদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এদিকে, হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাধবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।