ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৃতীয় বারের মতো কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করায় ৫ দিনের এক নবজাতককে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে পাষন্ড গর্ভধারিনী মা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের জনৈক শরফাতুল্লাহর পুকুরের পূর্ব পাশে সরকারি খালে। ওই নবজাতকের নাম জান্নাতুল।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১০ বছর আগে শ্যামনগর উপজেলার বিড়ালক্ষী গ্রামের সুফিনুর রহমান গাজীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন সহিত কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার সরদারের মেয়ে শারমিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির পাশে শ্বশুরের জমিতে বাড়ি তৈরি করে ওই দম্পতি বসবাস করেন। ইতোমধ্যে তাদের পরপর দুইটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে আবারো শারমিন গর্ভবতী হন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারেন তাদের আবারও কন্যা সন্তান হবে। এরপর থেকে তাদের মন খারাপ হয়।
গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার সময় নবজাতকের পিতা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় শাশুড়ি ফজিলা খাতুন, ও বড় দুই কন্যাকে পাশ্ববর্তী শুশুর বাড়িতে রেখে রাস্তায় ইজিবাইক ভাড়া চালাতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গর্ভধারিনী পাষন্ড মা শারমিন সুলতানা নবজাতক জান্নাতুলকে নিয়ে জনৈক শরফাতুল্লার পুকুরের পূর্বপাশে সরকারি খালে ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পিতা ইব্রাহিম ইজিবাইক নিয়ে বাড়িতে এসে নবজাতক জান্নাতুলকে খোজ নিলে স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলে তাকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর বাড়ির সবাই মিলে খোঁজখবর নিতে থাকে কোন জায়গায় সন্ধান না পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নবজাতকের মা শারমিন সুলতানাকে জিজ্ঞাসা করলে সে এক এক সময় এক এক ধরনের কথা বলে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে মহিলা পুলিশ দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই পাষন্ড মা স্বীকার করে তার পাঁচ দিনের নবজাতক জান্নাতুলকে সরকারি খালে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ শারমিন সুলতানা কে নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে তারই দেখিয়ে দেওয়া খালের মধ্যে কুচুরিপানার মধ্য থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে এবং শিশুটির মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে ওই নবজাতককে রঘুনাথপুর এলাকার সরকারি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং শিশুটির মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের দাদি খাদিজা খাতুন পুত্রবধূ শারমিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৃতীয় বারের মতো কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করায় ৫ দিনের এক নবজাতককে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে পাষন্ড গর্ভধারিনী মা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের জনৈক শরফাতুল্লাহর পুকুরের পূর্ব পাশে সরকারি খালে। ওই নবজাতকের নাম জান্নাতুল।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১০ বছর আগে শ্যামনগর উপজেলার বিড়ালক্ষী গ্রামের সুফিনুর রহমান গাজীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন সহিত কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার সরদারের মেয়ে শারমিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির পাশে শ্বশুরের জমিতে বাড়ি তৈরি করে ওই দম্পতি বসবাস করেন। ইতোমধ্যে তাদের পরপর দুইটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে আবারো শারমিন গর্ভবতী হন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারেন তাদের আবারও কন্যা সন্তান হবে। এরপর থেকে তাদের মন খারাপ হয়।
গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার সময় নবজাতকের পিতা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় শাশুড়ি ফজিলা খাতুন, ও বড় দুই কন্যাকে পাশ্ববর্তী শুশুর বাড়িতে রেখে রাস্তায় ইজিবাইক ভাড়া চালাতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গর্ভধারিনী পাষন্ড মা শারমিন সুলতানা নবজাতক জান্নাতুলকে নিয়ে জনৈক শরফাতুল্লার পুকুরের পূর্বপাশে সরকারি খালে ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পিতা ইব্রাহিম ইজিবাইক নিয়ে বাড়িতে এসে নবজাতক জান্নাতুলকে খোজ নিলে স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলে তাকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর বাড়ির সবাই মিলে খোঁজখবর নিতে থাকে কোন জায়গায় সন্ধান না পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নবজাতকের মা শারমিন সুলতানাকে জিজ্ঞাসা করলে সে এক এক সময় এক এক ধরনের কথা বলে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে মহিলা পুলিশ দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই পাষন্ড মা স্বীকার করে তার পাঁচ দিনের নবজাতক জান্নাতুলকে সরকারি খালে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ শারমিন সুলতানা কে নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে তারই দেখিয়ে দেওয়া খালের মধ্যে কুচুরিপানার মধ্য থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে এবং শিশুটির মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে ওই নবজাতককে রঘুনাথপুর এলাকার সরকারি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং শিশুটির মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের দাদি খাদিজা খাতুন পুত্রবধূ শারমিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।