ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মো. ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি। সে নিজেকে বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন এর সার্টিফিকেটধারী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তিন মাসের মধ্যে রোগীদেরকে পাইলস সহ সকল প্রকার জটিল রোগ থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্যের আশ্বাস দেয়। কথিত চিকিৎসক ওমর ফারুক চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের জামিরাপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমান এর ছেলে।
চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরকইট ইউনিয়নের খিরাসার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৩) চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং স্থানীয় সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে এর অনুলিপি প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগের তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন তিনি পাইলস রোগে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ওমর ফারুকের কাছে যান। প্রথমে ৫ হাজার টাকার কিছু ভেষজ ঔষুধ দেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও ২০ হাজার টাকা এবং পরে ভারত থেকে ওষুধ আনতে হবে বলে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এভাবে তিন দফায় মোট ৪৫ হাজার টাকা নিলেও রোগের কোনো উন্নতি হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে মানুষকে ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ প্রতারণার শিকার হলেও লোকলজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে কেউ অভিযোগ করেননি। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথমে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন তিন মাসের মধ্যে ভালো করে দিবেন। ভালো না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু আমার রোগ ভালো না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তিনি উল্টো আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। আমি পশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওমর ফারুককে একাধিক কল দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন এর অনলাইনে তার নিবন্ধন সঠিক পাওয়া যায়। তিনি ইউনারী ক্যাটাগরি-বি এর সনদ প্রাপ্ত। তার রেজিঃ নং- ৩৯১৮।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে এসেছে। খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, ভুক্তভোগী যদি প্রতারিত হয়ে থাকেন থানায় মামলা করলে এই বিষয়ে থানা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মো. ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি। সে নিজেকে বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন এর সার্টিফিকেটধারী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তিন মাসের মধ্যে রোগীদেরকে পাইলস সহ সকল প্রকার জটিল রোগ থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্যের আশ্বাস দেয়। কথিত চিকিৎসক ওমর ফারুক চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের জামিরাপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমান এর ছেলে।
চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরকইট ইউনিয়নের খিরাসার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৩) চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং স্থানীয় সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে এর অনুলিপি প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগের তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন তিনি পাইলস রোগে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ওমর ফারুকের কাছে যান। প্রথমে ৫ হাজার টাকার কিছু ভেষজ ঔষুধ দেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও ২০ হাজার টাকা এবং পরে ভারত থেকে ওষুধ আনতে হবে বলে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এভাবে তিন দফায় মোট ৪৫ হাজার টাকা নিলেও রোগের কোনো উন্নতি হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে মানুষকে ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ প্রতারণার শিকার হলেও লোকলজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে কেউ অভিযোগ করেননি। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথমে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন তিন মাসের মধ্যে ভালো করে দিবেন। ভালো না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু আমার রোগ ভালো না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তিনি উল্টো আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। আমি পশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওমর ফারুককে একাধিক কল দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন এর অনলাইনে তার নিবন্ধন সঠিক পাওয়া যায়। তিনি ইউনারী ক্যাটাগরি-বি এর সনদ প্রাপ্ত। তার রেজিঃ নং- ৩৯১৮।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে এসেছে। খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, ভুক্তভোগী যদি প্রতারিত হয়ে থাকেন থানায় মামলা করলে এই বিষয়ে থানা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।