ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইন গেইমে আসক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু এবং কিশোররা। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে ভবিষৎ প্রজন্ম। পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক।অনেকটা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে শিশুরা। এতে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইলে আসক্ত এসব শিশু মানছেন না শিক্ষকের নির্দেশনাও।
উপজেলার আশেপাশে বিভিন্ন নির্জন স্থানে, রাস্তার মোড়ের পাশে শিশুরা কিশোররা দলবেঁধে মাটিতে বসে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইন গেইম খেলতে দেখা যাচ্ছে। যাদের বয়স ৮-৯ বছর এবং চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এই বয়সে যাদের খেলাধুলা এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠার কথা তারাই আজ স্মার্ট ফোন ও অনলাইন গেইমে আসক্ত। এতে পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ইতোমধ্যে পাবলিক পরিক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ধোবাউড়ায় ব্যাপক ধস নেমেছে।
অনলাইন গেইমে শিশু কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ায় সামাজিক বন্ধন থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামী দিনে আরও ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে। সরেজমিনে উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম, উপজেলা ডাকবাংলোর পাশেসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শিশু বসে অনলাইন গেইম খেলছে। এমন চিত্র প্রায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে।এমনকি কিশোরদের কেউ কেউ জড়িয়ে যাচেছ অনলাইন জুয়াই। ফলে বাড়ছে নানান অপরাধ।
সবত্রই স্মার্ট ফোন ছড়িয়ে থাকায় প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরাও অনলাইন গেইম এবং মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে স্কুল বিমুখ হয়ে যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি স্কুল বিমুখ এবং মোবাইল আসক্ত এক ছাত্রকে স্কুলে ফিরিয়ে এনেছেন উপজেলার পাতাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম। মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থীর হঠাৎ স্কুলে অনুপস্থিত দেখে বাড়িতে খোঁজ নিতে যান তিনি। গিয়ে দেখেন ঐ শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি তখন ঐ শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক ছাড়াও মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া বহুমুখি মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলেও স্মার্ট ফোন চলে আসে এবং গেইম খেলে, আমাদের নজরে আসলে অভিভাবক ডেকে এনে বিষয়টি অবগত করি, মোবাইল আসক্তিটা চরম আকার ধারন করেছে, পাড়াশোনার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী ধোবাউড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অবঃ অধ্যক্ষ আঃ মোতালেব তালুকদার বলেন, বিদ্যালয় থেকে কোন কোন শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে সেগুলো চিহ্নিত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে অভিভাবক ডেকে সচেতন করা হলে হইতো পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শরিফ খান বলেন, আমরা প্রতিটি স্কুলে একযোগে অভিভাবক সমাবেশের পরিকল্পনা করছি, এই সমাবেশে এই বিষয়টি নিয়ে গুরত্বসহকারে উপস্থাপনা করা হবে।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইন গেইমে আসক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু এবং কিশোররা। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে ভবিষৎ প্রজন্ম। পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক।অনেকটা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে শিশুরা। এতে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইলে আসক্ত এসব শিশু মানছেন না শিক্ষকের নির্দেশনাও।
উপজেলার আশেপাশে বিভিন্ন নির্জন স্থানে, রাস্তার মোড়ের পাশে শিশুরা কিশোররা দলবেঁধে মাটিতে বসে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইন গেইম খেলতে দেখা যাচ্ছে। যাদের বয়স ৮-৯ বছর এবং চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এই বয়সে যাদের খেলাধুলা এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠার কথা তারাই আজ স্মার্ট ফোন ও অনলাইন গেইমে আসক্ত। এতে পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ইতোমধ্যে পাবলিক পরিক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ধোবাউড়ায় ব্যাপক ধস নেমেছে।
অনলাইন গেইমে শিশু কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ায় সামাজিক বন্ধন থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামী দিনে আরও ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে। সরেজমিনে উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম, উপজেলা ডাকবাংলোর পাশেসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শিশু বসে অনলাইন গেইম খেলছে। এমন চিত্র প্রায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে।এমনকি কিশোরদের কেউ কেউ জড়িয়ে যাচেছ অনলাইন জুয়াই। ফলে বাড়ছে নানান অপরাধ।
সবত্রই স্মার্ট ফোন ছড়িয়ে থাকায় প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরাও অনলাইন গেইম এবং মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে স্কুল বিমুখ হয়ে যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি স্কুল বিমুখ এবং মোবাইল আসক্ত এক ছাত্রকে স্কুলে ফিরিয়ে এনেছেন উপজেলার পাতাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম। মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থীর হঠাৎ স্কুলে অনুপস্থিত দেখে বাড়িতে খোঁজ নিতে যান তিনি। গিয়ে দেখেন ঐ শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি তখন ঐ শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক ছাড়াও মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া বহুমুখি মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলেও স্মার্ট ফোন চলে আসে এবং গেইম খেলে, আমাদের নজরে আসলে অভিভাবক ডেকে এনে বিষয়টি অবগত করি, মোবাইল আসক্তিটা চরম আকার ধারন করেছে, পাড়াশোনার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী ধোবাউড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অবঃ অধ্যক্ষ আঃ মোতালেব তালুকদার বলেন, বিদ্যালয় থেকে কোন কোন শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে সেগুলো চিহ্নিত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে অভিভাবক ডেকে সচেতন করা হলে হইতো পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শরিফ খান বলেন, আমরা প্রতিটি স্কুলে একযোগে অভিভাবক সমাবেশের পরিকল্পনা করছি, এই সমাবেশে এই বিষয়টি নিয়ে গুরত্বসহকারে উপস্থাপনা করা হবে।