ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৯ রুগী শনাক্ত হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বর্ণিত রোগের উপসর্গের ৫ জন রুগী এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তারা বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে নিবীড় পরিচর্যায় আছে।
আগত রুগীর রোগের নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ্যানথ্রাক্স কিনা তা নিশ্চিত কওে বলা যাচ্ছে না। ওই রুগীরা হলো- আশুরা বেওয়া (৬৫), রবিউল ইসলাম (৫৫), শহীদ মিয়া (২৩), শরিফ মিয়া (২২) ও খাসা মিয়া (৫২)। সকলের বাড়ী উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে। বর্ণিত গ্রামে এ উপসর্গেও আরও রুগী আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ সদস্য মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। ওই টিম উল্লেখিত উপসর্গেও আরো ৪ জন রুগী সনাক্ত করেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। তারাও বাড়ীতেই আছেন। এরা হলো-শিল্পী খাতুন (২৮),আল মামুন মিয়া (১৬), খোরশেদ আলী (২৫) ও চেরাগপুর গ্রামেরর ওহাবুল মিয়া (৩২)।
ওই গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুরা বেওয়া তাঁর একটি বয়স্ক গাভী অসুস্থ্য হলে গত ১১ অক্টোবর গাভীটি কোরবানী দিয়ে গ্রামের ৫৫ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ করেন। ১৪ অক্টোবর আশুরা সহ ৫ জনের দেহে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁরা ২১ অক্টোবর পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন চিকিৎসার জন্য। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এছাড়াও চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী গত ৪ অক্টোবর অসুস্থ্য গরু জবাই করে চেরাগপুর গ্রামের ১৮টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা (এম.এস) জানান; এ্যানথ্রাক্স রোগ হয় ব্যাসিলাস এ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে, যা সাধারণত সংক্রামিত প্রাণী বা তাদের দূষিতপণ্য (যেমন পশম, চামড়া) থেকে মানুষের দেহে ছড়ায়। এ্যানথ্রাক্স ছোঁয়াচে রোগ নয়; এটি সাধারণত মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না, তবে সংক্রামিত প্রাণীর সংস্পর্শে আসা বা এর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৯ রুগী শনাক্ত হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বর্ণিত রোগের উপসর্গের ৫ জন রুগী এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তারা বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে নিবীড় পরিচর্যায় আছে।
আগত রুগীর রোগের নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ্যানথ্রাক্স কিনা তা নিশ্চিত কওে বলা যাচ্ছে না। ওই রুগীরা হলো- আশুরা বেওয়া (৬৫), রবিউল ইসলাম (৫৫), শহীদ মিয়া (২৩), শরিফ মিয়া (২২) ও খাসা মিয়া (৫২)। সকলের বাড়ী উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে। বর্ণিত গ্রামে এ উপসর্গেও আরও রুগী আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ সদস্য মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। ওই টিম উল্লেখিত উপসর্গেও আরো ৪ জন রুগী সনাক্ত করেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। তারাও বাড়ীতেই আছেন। এরা হলো-শিল্পী খাতুন (২৮),আল মামুন মিয়া (১৬), খোরশেদ আলী (২৫) ও চেরাগপুর গ্রামেরর ওহাবুল মিয়া (৩২)।
ওই গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুরা বেওয়া তাঁর একটি বয়স্ক গাভী অসুস্থ্য হলে গত ১১ অক্টোবর গাভীটি কোরবানী দিয়ে গ্রামের ৫৫ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ করেন। ১৪ অক্টোবর আশুরা সহ ৫ জনের দেহে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁরা ২১ অক্টোবর পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন চিকিৎসার জন্য। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এছাড়াও চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী গত ৪ অক্টোবর অসুস্থ্য গরু জবাই করে চেরাগপুর গ্রামের ১৮টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা (এম.এস) জানান; এ্যানথ্রাক্স রোগ হয় ব্যাসিলাস এ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে, যা সাধারণত সংক্রামিত প্রাণী বা তাদের দূষিতপণ্য (যেমন পশম, চামড়া) থেকে মানুষের দেহে ছড়ায়। এ্যানথ্রাক্স ছোঁয়াচে রোগ নয়; এটি সাধারণত মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না, তবে সংক্রামিত প্রাণীর সংস্পর্শে আসা বা এর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।।