সিরাজগঞ্জ : জলাশয়ে পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা -সংবাদ
এ বছর সিরাজগঞ্জে বন্যা না হওয়ার কারণে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মূল কারণ হলো আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায়। ফলে অনেক প্রাকৃতিক জলাশয়ে পানির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। যে কারণে মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছ পযাপ্ত ডিম ছাড়তে পারেনি। এই পরিস্থিতি মাছের পোনা গুলিও তেমন বড় হতে পারেনি এটি সামগ্রিক মৎস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলন বিল এলাকায় পর্যাপ্ত মাছের অভাবে শুটকি চাতাল গুলি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এছাড়া যমুনাসহ বিভিন্ন নদী এলাকায় জলাশয় গুলিতে পানি না থাকায় হতাশ হয়ে পরেছে মৎস্য জীবিরা। সচেতন মহলের মতে এবছর যে মাছের উৎপাদন কম হবে তার প্রভাব পরতে শুরু করেছে। মাছের ভরা মৌসুমেও জেলার বাজার গুলিতে মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট বাৎসরিক মাছের উৎপাদন হয় ৭৮৮৯২.৭৮ মেট্রিক টন এর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় ৪০৭০১.৬৮মেট্রিক টন এবং চাষকৃত মাছের উৎপাদন হয় ৩৮১৯১.১ মেট্রিক টন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বা ঐ তারা গ্রামের হাছেন আলী (৭০) বলেন এবছর বন্যা হয় নাই তাই নিচু এলাকা ও জলাশয়গুলিতে পানি কম । ইতিমধ্যেই অনেক জলাশয় শুকিয়ে গেছে যে কারণে এবার মাছ নেই বললেই চলে । অথচ অন্যান্ন বছর এসময় জলাশয় ও নিচু এলাকায় এই সময় পানিতে পরিপুর্ন থাকতো। মাছও পাওয়াযেত প্রচুর । উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামের শুটকি চাষী আনোয়ার হক জানান, চলনবিলে বন্যার পানি স্থায়ী না হওয়ায় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারনে মাছের অভাবে শুটকি চাতাল গুলি এখনও পুরোপুরি চালু করা যাচ্ছেনা। উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন , বন্যা না হওয়ায় মাছের উৎপাদন ব্যহত হতে পারে। তবে বন্যার পানি কমে গেলে মাছ ধরা শুরু হলে বোঝা যাবে মাছের উৎপাদন কেমন হবে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালেদ মোশারফ বলেন, আষাঢ় শ্রাবন মাসে মাছের প্রজজন হয়। এ বছর এই সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাছের উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে । এবিষয়ে জেলার সচেতন মহল ও মৎস্যজীবিরা মাছের উৎপাদন নিয়ে শংকা প্রকাশ করলেও সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবছর বন্যা ও বৃষ্টি হয়েছে মাছের উৎপাদন কম হওয়ার কোন আশংকা নেই।
সিরাজগঞ্জ : জলাশয়ে পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা -সংবাদ
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
এ বছর সিরাজগঞ্জে বন্যা না হওয়ার কারণে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মূল কারণ হলো আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায়। ফলে অনেক প্রাকৃতিক জলাশয়ে পানির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। যে কারণে মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছ পযাপ্ত ডিম ছাড়তে পারেনি। এই পরিস্থিতি মাছের পোনা গুলিও তেমন বড় হতে পারেনি এটি সামগ্রিক মৎস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলন বিল এলাকায় পর্যাপ্ত মাছের অভাবে শুটকি চাতাল গুলি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এছাড়া যমুনাসহ বিভিন্ন নদী এলাকায় জলাশয় গুলিতে পানি না থাকায় হতাশ হয়ে পরেছে মৎস্য জীবিরা। সচেতন মহলের মতে এবছর যে মাছের উৎপাদন কম হবে তার প্রভাব পরতে শুরু করেছে। মাছের ভরা মৌসুমেও জেলার বাজার গুলিতে মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট বাৎসরিক মাছের উৎপাদন হয় ৭৮৮৯২.৭৮ মেট্রিক টন এর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় ৪০৭০১.৬৮মেট্রিক টন এবং চাষকৃত মাছের উৎপাদন হয় ৩৮১৯১.১ মেট্রিক টন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বা ঐ তারা গ্রামের হাছেন আলী (৭০) বলেন এবছর বন্যা হয় নাই তাই নিচু এলাকা ও জলাশয়গুলিতে পানি কম । ইতিমধ্যেই অনেক জলাশয় শুকিয়ে গেছে যে কারণে এবার মাছ নেই বললেই চলে । অথচ অন্যান্ন বছর এসময় জলাশয় ও নিচু এলাকায় এই সময় পানিতে পরিপুর্ন থাকতো। মাছও পাওয়াযেত প্রচুর । উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামের শুটকি চাষী আনোয়ার হক জানান, চলনবিলে বন্যার পানি স্থায়ী না হওয়ায় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারনে মাছের অভাবে শুটকি চাতাল গুলি এখনও পুরোপুরি চালু করা যাচ্ছেনা। উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন , বন্যা না হওয়ায় মাছের উৎপাদন ব্যহত হতে পারে। তবে বন্যার পানি কমে গেলে মাছ ধরা শুরু হলে বোঝা যাবে মাছের উৎপাদন কেমন হবে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালেদ মোশারফ বলেন, আষাঢ় শ্রাবন মাসে মাছের প্রজজন হয়। এ বছর এই সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাছের উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে । এবিষয়ে জেলার সচেতন মহল ও মৎস্যজীবিরা মাছের উৎপাদন নিয়ে শংকা প্রকাশ করলেও সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবছর বন্যা ও বৃষ্টি হয়েছে মাছের উৎপাদন কম হওয়ার কোন আশংকা নেই।