সারা দেশের মতো গাইবান্ধা জেলাতেও ইটভাটা মৌসুমের শুরতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সতর্কতা, নির্দেশনা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই ভাটা মালিকদের ভাটা চালু করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে কিংবা শেষের দিকে হঠাৎ করে ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো, জরিমানা আরোপ কিংবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ভাটা মালিকেরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার অধিকাংশ ইটভাটা অনুমোদনবিহীন বা নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হয়।
মৌসুমের শুরতে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকি দেখা যায় না। কিন্তু হঠাৎ করেই মাঝপথে অভিযান চালিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়। অনেক সময় জরিমানা পরিশোধের পরও কিছুদিনের মধ্যে আবার ভাটা চালু হয়ে যায়। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মালিক ও শ্রমিক উভয়েই। জেলার কয়েকজন ভাটা মালিক অভিযোগ করে বলেন, সিজনের শুরতেই যদি পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়ে দিত কোন ভাটা বৈধ আর কোনটি অবৈধ, তাহলে আমরা ঝুঁকি না নিয়ে আগেই প্রস্তুতি নিতে পারতাম।
মৌসুম শেষে হঠাৎ অভিযান ও জরিমানা আমাদের ব্যবসাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন নীতি অস্বচ্ছ এবং অব্যবস্থাপনার পরিচায়ক। তারা মনে করেন, মৌসুম শুর হওয়ার আগে নিয়মিত পরিদর্শন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে পরবর্তীতে হঠাৎ অভিযান বা দমনমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আইন মেনে চলা যেমন জরুরি, তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্যও স্বচ্ছ নীতি, পূর্বে অবহিতকরণ এবং সময়োপযোগী নির্দেশনা থাকা অপরিহার্য।
অন্যথায় একদিকে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ইটভাটা শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজারো শ্রমিকের জীবিকাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সারা দেশের মতো গাইবান্ধা জেলাতেও ইটভাটা মৌসুমের শুরতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সতর্কতা, নির্দেশনা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই ভাটা মালিকদের ভাটা চালু করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে কিংবা শেষের দিকে হঠাৎ করে ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো, জরিমানা আরোপ কিংবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ভাটা মালিকেরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার অধিকাংশ ইটভাটা অনুমোদনবিহীন বা নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হয়।
মৌসুমের শুরতে এসব ভাটার কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকি দেখা যায় না। কিন্তু হঠাৎ করেই মাঝপথে অভিযান চালিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়। অনেক সময় জরিমানা পরিশোধের পরও কিছুদিনের মধ্যে আবার ভাটা চালু হয়ে যায়। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মালিক ও শ্রমিক উভয়েই। জেলার কয়েকজন ভাটা মালিক অভিযোগ করে বলেন, সিজনের শুরতেই যদি পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়ে দিত কোন ভাটা বৈধ আর কোনটি অবৈধ, তাহলে আমরা ঝুঁকি না নিয়ে আগেই প্রস্তুতি নিতে পারতাম।
মৌসুম শেষে হঠাৎ অভিযান ও জরিমানা আমাদের ব্যবসাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন নীতি অস্বচ্ছ এবং অব্যবস্থাপনার পরিচায়ক। তারা মনে করেন, মৌসুম শুর হওয়ার আগে নিয়মিত পরিদর্শন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে পরবর্তীতে হঠাৎ অভিযান বা দমনমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আইন মেনে চলা যেমন জরুরি, তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্যও স্বচ্ছ নীতি, পূর্বে অবহিতকরণ এবং সময়োপযোগী নির্দেশনা থাকা অপরিহার্য।
অন্যথায় একদিকে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ইটভাটা শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজারো শ্রমিকের জীবিকাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে।