বেতন বঞ্চিত ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারি
রামু : আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে অতিথিরা বক্তব্য রাখছেন -সংবাদ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধে জটিলতা সৃষ্টির জন্য সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মেননের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের বেতন বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লাবের সভাপতিকে তাঁর ঘোষিত প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক কাজী আসাদুজ্জামান স্বাধীন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ৮ আগষ্ট লায়ন্স ক্লাবের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে জাকির হোসেন মেনন সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাব সভাপতি বনে যান এবং ৪২ জন ক্লাব সদস্যকে ড্রপ আউটের মাধ্যমে পরিবারতান্ত্রিক ক্লাব তৈরি করেন। তিনি লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে আসছেন। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি শফিয়ার রহমান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মসিউর রহমানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনে গণদরখাস্ত দেয়া হয়। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন , বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দ, অভিভাবক ও ছাত্র-শিক্ষকগণের সমন্বয়ে লায়ন্স অডিটরিয়ামে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তে সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভপতি জাকির হোসেন মেনন প্রাক্তন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শফিয়ার রহমান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মসিউর রহমানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নিবাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকীকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে সিনিয়র মজিবর রহমান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। ওই সভায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিধিমত বৈধতা দেওয়ার জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর সভার দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু তিনি ওই সভায় অনুপস্থিত থাকেন। সভা থেকে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন তার বাবার অসুস্থতায় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে তিনি সভায় রেজুলেশন গ্রহণ করতে বলেন এবং ৫ অক্টোবর তিনি স্বাক্ষর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার কথার পক্ষকাল গত হলেও তিনি রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করে, কালক্ষেপন করছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ক্লাব সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাঁর নিজের ঘোষিত সিগনেটরী ক্ষমতা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতিকে (ভারপ্রাপ্ত) প্রদান করছেন না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস এবং শিক্ষা কার্যক্রমে চালিয়ে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করছি। অন্যথায় বেতন ভাতার দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবর রহমান চৌধুরী মুকুল , ভাইস প্রিন্সিপাল মো. সাজ্জাদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক ফেরদৌস আরা, প্রভাষক আব্দুল মান্নানসহ লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মেননের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বেতন বঞ্চিত ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারি
রামু : আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সমাবেশে অতিথিরা বক্তব্য রাখছেন -সংবাদ
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধে জটিলতা সৃষ্টির জন্য সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মেননের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের বেতন বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লাবের সভাপতিকে তাঁর ঘোষিত প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক কাজী আসাদুজ্জামান স্বাধীন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ৮ আগষ্ট লায়ন্স ক্লাবের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে জাকির হোসেন মেনন সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাব সভাপতি বনে যান এবং ৪২ জন ক্লাব সদস্যকে ড্রপ আউটের মাধ্যমে পরিবারতান্ত্রিক ক্লাব তৈরি করেন। তিনি লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে আসছেন। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি শফিয়ার রহমান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মসিউর রহমানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনে গণদরখাস্ত দেয়া হয়। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন , বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দ, অভিভাবক ও ছাত্র-শিক্ষকগণের সমন্বয়ে লায়ন্স অডিটরিয়ামে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তে সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভপতি জাকির হোসেন মেনন প্রাক্তন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শফিয়ার রহমান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মসিউর রহমানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নিবাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকীকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে সিনিয়র মজিবর রহমান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। ওই সভায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিধিমত বৈধতা দেওয়ার জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর সভার দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু তিনি ওই সভায় অনুপস্থিত থাকেন। সভা থেকে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন তার বাবার অসুস্থতায় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে তিনি সভায় রেজুলেশন গ্রহণ করতে বলেন এবং ৫ অক্টোবর তিনি স্বাক্ষর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার কথার পক্ষকাল গত হলেও তিনি রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করে, কালক্ষেপন করছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ক্লাব সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাঁর নিজের ঘোষিত সিগনেটরী ক্ষমতা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতিকে (ভারপ্রাপ্ত) প্রদান করছেন না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং ১৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস এবং শিক্ষা কার্যক্রমে চালিয়ে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করছি। অন্যথায় বেতন ভাতার দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবর রহমান চৌধুরী মুকুল , ভাইস প্রিন্সিপাল মো. সাজ্জাদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক ফেরদৌস আরা, প্রভাষক আব্দুল মান্নানসহ লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মেননের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।