দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই শিশু আদালত আইনানুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত জুলাই শহীদ কন্যা ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দুজনকে ১৩ বছর এবং একজনকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই শিশু আদালত আইনানুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি গ্রামে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৮) নানাবাড়ি যাওয়ার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে ধর্ষণের মানসিক আঘাত সইতে না পেরে লামিয়া ওই বছরের ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন। পরে নিজ গ্রামে শহীদ বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পি.পি.) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালতের এই ন্যায়বিচার লামিয়ার আত্মার শান্তির জন্য কিছুটা হলেও সান্তনা বয়ে আনবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘এই রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা- অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে, সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন।’
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমার মক্কেলরা নির্দোষ। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাধারণ মানুষ, নারী মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই শিশু আদালত আইনানুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত জুলাই শহীদ কন্যা ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দুজনকে ১৩ বছর এবং একজনকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই শিশু আদালত আইনানুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি গ্রামে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৮) নানাবাড়ি যাওয়ার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে ধর্ষণের মানসিক আঘাত সইতে না পেরে লামিয়া ওই বছরের ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন। পরে নিজ গ্রামে শহীদ বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পি.পি.) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালতের এই ন্যায়বিচার লামিয়ার আত্মার শান্তির জন্য কিছুটা হলেও সান্তনা বয়ে আনবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘এই রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা- অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে, সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন।’
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমার মক্কেলরা নির্দোষ। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাধারণ মানুষ, নারী মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।