মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে আবারও বড় সাফল্য দেখিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) একদিনে দুটি সফল অভিযান চালিয়ে ২৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিজিবি জানায়, বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পাহাড়ে জিম্মি উদ্ধারের পর মধ্যরাতে মেরিন ড্রাইভ সৈকতে অভিযান চালানো হয়। গভীর সাগরে পাচারের প্রস্তুতির সময় ২৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র (চাকু) ১টি, মোটরসাইকেল ১টি ও ইঞ্জিনচালিত সাম্পান নৌকা ১টি জব্দ করা হয়।
দিনের শুরুতে ২ বিজিবির সদস্যরা রাজাছড়া এলাকায় সশস্ত্র পাচারকারীদের একটি গোপন আস্তানা ধ্বংস করে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সমুদ্র উপকূলে নজরদারি শুরু করে তারা। রাত গভীর হলে মেরিন ড্রাইভ সৈকতে সন্দেহজনক নড়াচড়া দেখে বিজিবি দ্রুত অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীরা নৌকায় করে লোকজনকে সাগরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিজিবির হস্তক্ষেপে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২৯ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী হলেন- মো. সলিম (৩৫), মো. নুরুল আবছার (১৯) ও মনসুর আলম (২২)। পলাতক পাচারকারীরা হলেন- মো. মাহমুদুল হক (৩১), সৈয়দুল ইসলাম (৩৭) ও আজিজুল হক (৩০)। এছাড়া আরও ৬৭ জন অজ্ঞাত পাচারকারীকে শনাক্তে অভিযান চলছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, আজকের দিনটি টেকনাফ সীমান্তের মানব পাচারকারী ও সংঘবদ্ধ অপরাধীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ। ভোরে পাহাড়ে জিম্মি উদ্ধার করেছি, রাতে সমুদ্রপথে পাচার বানচাল করেছি। বিজিবি প্রমাণ করেছে-টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত কোনো অপরাধীর জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়।
উদ্ধারকৃত ২৯ জন ভুক্তভোগীকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আটক তিন পাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার ও অপরাধ দমনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে আবারও বড় সাফল্য দেখিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) একদিনে দুটি সফল অভিযান চালিয়ে ২৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিজিবি জানায়, বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পাহাড়ে জিম্মি উদ্ধারের পর মধ্যরাতে মেরিন ড্রাইভ সৈকতে অভিযান চালানো হয়। গভীর সাগরে পাচারের প্রস্তুতির সময় ২৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র (চাকু) ১টি, মোটরসাইকেল ১টি ও ইঞ্জিনচালিত সাম্পান নৌকা ১টি জব্দ করা হয়।
দিনের শুরুতে ২ বিজিবির সদস্যরা রাজাছড়া এলাকায় সশস্ত্র পাচারকারীদের একটি গোপন আস্তানা ধ্বংস করে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সমুদ্র উপকূলে নজরদারি শুরু করে তারা। রাত গভীর হলে মেরিন ড্রাইভ সৈকতে সন্দেহজনক নড়াচড়া দেখে বিজিবি দ্রুত অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীরা নৌকায় করে লোকজনকে সাগরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিজিবির হস্তক্ষেপে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২৯ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী হলেন- মো. সলিম (৩৫), মো. নুরুল আবছার (১৯) ও মনসুর আলম (২২)। পলাতক পাচারকারীরা হলেন- মো. মাহমুদুল হক (৩১), সৈয়দুল ইসলাম (৩৭) ও আজিজুল হক (৩০)। এছাড়া আরও ৬৭ জন অজ্ঞাত পাচারকারীকে শনাক্তে অভিযান চলছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, আজকের দিনটি টেকনাফ সীমান্তের মানব পাচারকারী ও সংঘবদ্ধ অপরাধীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ। ভোরে পাহাড়ে জিম্মি উদ্ধার করেছি, রাতে সমুদ্রপথে পাচার বানচাল করেছি। বিজিবি প্রমাণ করেছে-টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত কোনো অপরাধীর জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়।
উদ্ধারকৃত ২৯ জন ভুক্তভোগীকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আটক তিন পাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার ও অপরাধ দমনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।