ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভুল চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভী মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন -প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোছা: তানিয়া আক্তার, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান ও ভেটারিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট সুশান্ত সরকার। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগকারী মো. নাজিম জানেন না কিছুই। বরং এ আই টেকনিশিয়ান (কৃত্রিম প্রজনন কর্মী) মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ভুক্তভোগী নাজিমকে। বিনিময়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে রফাদফার কথাও বলা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন মো. নাজিম। তার গর্ভবতী গাভী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা শুনেছেন কিন্তু কোনো ফোন বা নোটিশ পাননি বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা ডা. মোছা. তানিয়া আক্তার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে বাদী-বিবাদীকে নোটিশ করা হলেও তারা হাজির হননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে, এ আই টেকনিশিয়ান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন,তদন্তের বিষয় নিয়ে আমাকে নোটিশ করা হয়নি তবে ফোনে বলা হয়েছে। অভিযোগকারীর ভাই ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে ঘটনাটি মিমাংসা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ নাজিমের ভাইয়ের হাতে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম বলেন, বাদী- বিবাদীকে ওভার ফোনে বলাসহ নোটিশ করা হলেও কেউ হাজির হননি। দু’পক্ষ নোটিশ না পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তারা নোটিশ না পেয়ে থাকলে প্রয়োজনে আবারো দিতে বলবো। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনও হাতে পাননি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ৬ অক্টোবর গাভীটির প্রসব ব্যথা ওঠলে নিকটস্থ এক ফার্মেসী মালিক এআই টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলামের পরামর্শ নিতে বলেন। এ সময় সাইফুল নিজেই ডাক্তার সেঁজে টানা তিন দিন গাভীটিকে ইনজেকশনসহ অন্যান্য চিকিৎসা প্রদান করেন। এতে কোনো উন্নতি না হয়ে গত ৯ অক্টোবর ভোরে গাভীটি মারা যায়। এ নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী নাজিম বাদী হয়ে এআই টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর ভুল চিকিৎসায় গাভীর মৃত্যু নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভুল চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভী মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন -প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোছা: তানিয়া আক্তার, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান ও ভেটারিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট সুশান্ত সরকার। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগকারী মো. নাজিম জানেন না কিছুই। বরং এ আই টেকনিশিয়ান (কৃত্রিম প্রজনন কর্মী) মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ভুক্তভোগী নাজিমকে। বিনিময়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে রফাদফার কথাও বলা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন মো. নাজিম। তার গর্ভবতী গাভী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা শুনেছেন কিন্তু কোনো ফোন বা নোটিশ পাননি বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা ডা. মোছা. তানিয়া আক্তার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে বাদী-বিবাদীকে নোটিশ করা হলেও তারা হাজির হননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে, এ আই টেকনিশিয়ান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন,তদন্তের বিষয় নিয়ে আমাকে নোটিশ করা হয়নি তবে ফোনে বলা হয়েছে। অভিযোগকারীর ভাই ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে ঘটনাটি মিমাংসা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ নাজিমের ভাইয়ের হাতে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম বলেন, বাদী- বিবাদীকে ওভার ফোনে বলাসহ নোটিশ করা হলেও কেউ হাজির হননি। দু’পক্ষ নোটিশ না পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তারা নোটিশ না পেয়ে থাকলে প্রয়োজনে আবারো দিতে বলবো। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনও হাতে পাননি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ৬ অক্টোবর গাভীটির প্রসব ব্যথা ওঠলে নিকটস্থ এক ফার্মেসী মালিক এআই টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলামের পরামর্শ নিতে বলেন। এ সময় সাইফুল নিজেই ডাক্তার সেঁজে টানা তিন দিন গাভীটিকে ইনজেকশনসহ অন্যান্য চিকিৎসা প্রদান করেন। এতে কোনো উন্নতি না হয়ে গত ৯ অক্টোবর ভোরে গাভীটি মারা যায়। এ নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী নাজিম বাদী হয়ে এআই টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর ভুল চিকিৎসায় গাভীর মৃত্যু নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।