দিনাজপুর : নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলিরা -সংবাদ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের ময়ূরাক্ষী পুকুরের পাশে মুক্তমঞ্চ এক সময় ছিল কেবল নিরব জায়গা। সেই স্থানটিই এখন পরিণত হয়েছে সংস্কৃতি, ইতিহাস আর জনসম্পৃক্তি তৈরির এক কাণ্ডরিভূমিতে। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্য কারিগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। তাঁর উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা মুক্তমঞ্চেই বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চস্থ হয় ঐতিহাসিক মঞ্চনাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, যা যেন প্রজন্মের সামনে পুনরায় উন্মোচন করল হারানো স্বাধীনতার কাহিনি।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘মঞ্চনাটক-২০২৫’এর প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম। নাটকটি মঞ্চে ওঠে ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ময়ূরাক্ষী পুকুর প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে; মঞ্চ, আলো, সজ্জা ও অভিনয়ে দর্শকশ্রেণী ডুবে যায় ইতিহাসের বর্ণাঢ্য দৃশ্যপটে।
নাটকে ফুটে ওঠে পলাশীর সাজানো যুদ্ধ, মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং এক তরুণ নবাবের ভাঙচুর হওয়া স্বপ্ন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যায় টেক্সটবুকের শুষ্ক ইতিহাসকে নয়, অভিনীত ইতিহাস মানুষকে গভীরভাবে বদলে দেয়।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ভাষ্য নিয়মিত এমন নাট্যায়ন তরুণদের মনে ইতিহাসের দায়বদ্ধতা গড়ে তুলবে। কেউ কেউ তো মত দেন এধরনের নাট্যপ্রযোজনায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক উপস্থিতি থাকলে জাতি আরেকবার ইতিহাস থেকে শিখতে পারত।
এই মঞ্চনাটক সফল করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশাপাশি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষক সমাজ নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সমগ্র আয়োজন দেখে স্পষ্ট—এটি কেবল একটি রাতের নাটক ছিল না; ছিল একটি সাংস্কৃতিক মানস গঠনের কৌশলগত পদক্ষেপ।
বিরামপুরবাসী মনে করেন ময়ূরাক্ষী পুকুর নির্মাণ, মুক্তমঞ্চ স্থাপন এবং সেখানে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক আয়োজন সম্ভব হয়েছে মূলত নুজহাত তাসনীম আওনের দূরদর্শিতা ও সক্রিয় সংস্কৃতি-চর্চার মনোভাবের ফলেই। তাঁদের ভাষায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুধু অফিস করেন না সমাজকে নীরবে গড়ে দেন।
দিনাজপুর : নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলিরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের ময়ূরাক্ষী পুকুরের পাশে মুক্তমঞ্চ এক সময় ছিল কেবল নিরব জায়গা। সেই স্থানটিই এখন পরিণত হয়েছে সংস্কৃতি, ইতিহাস আর জনসম্পৃক্তি তৈরির এক কাণ্ডরিভূমিতে। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্য কারিগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। তাঁর উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা মুক্তমঞ্চেই বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চস্থ হয় ঐতিহাসিক মঞ্চনাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, যা যেন প্রজন্মের সামনে পুনরায় উন্মোচন করল হারানো স্বাধীনতার কাহিনি।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘মঞ্চনাটক-২০২৫’এর প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম। নাটকটি মঞ্চে ওঠে ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ময়ূরাক্ষী পুকুর প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে; মঞ্চ, আলো, সজ্জা ও অভিনয়ে দর্শকশ্রেণী ডুবে যায় ইতিহাসের বর্ণাঢ্য দৃশ্যপটে।
নাটকে ফুটে ওঠে পলাশীর সাজানো যুদ্ধ, মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং এক তরুণ নবাবের ভাঙচুর হওয়া স্বপ্ন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যায় টেক্সটবুকের শুষ্ক ইতিহাসকে নয়, অভিনীত ইতিহাস মানুষকে গভীরভাবে বদলে দেয়।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ভাষ্য নিয়মিত এমন নাট্যায়ন তরুণদের মনে ইতিহাসের দায়বদ্ধতা গড়ে তুলবে। কেউ কেউ তো মত দেন এধরনের নাট্যপ্রযোজনায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক উপস্থিতি থাকলে জাতি আরেকবার ইতিহাস থেকে শিখতে পারত।
এই মঞ্চনাটক সফল করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশাপাশি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষক সমাজ নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সমগ্র আয়োজন দেখে স্পষ্ট—এটি কেবল একটি রাতের নাটক ছিল না; ছিল একটি সাংস্কৃতিক মানস গঠনের কৌশলগত পদক্ষেপ।
বিরামপুরবাসী মনে করেন ময়ূরাক্ষী পুকুর নির্মাণ, মুক্তমঞ্চ স্থাপন এবং সেখানে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক আয়োজন সম্ভব হয়েছে মূলত নুজহাত তাসনীম আওনের দূরদর্শিতা ও সক্রিয় সংস্কৃতি-চর্চার মনোভাবের ফলেই। তাঁদের ভাষায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুধু অফিস করেন না সমাজকে নীরবে গড়ে দেন।