মানিকগঞ্জ : কর্মহীন স্বর্ণ কারিগররা -সংবাদ
দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় স্বর্ণের কারীগররা কর্মহীন হয়ে পরেছে। ক্রেতারা স্বর্নের অংলকার তৈরি করা কমিয়ে দিয়েছে। কারিগরদের কাজ নেই বললেই চলে। স্বর্ণের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। যা তাদের জীবনযাত্রারকে কঠিন করে তুলেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পরেছে। এলাকার লোকজন উচ্চমূল্যে স্বর্ন কিনতে পারছেনা। একদিকে চাহিদা কমে যাওয়া, মজুদ সংকট এবং অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারন মানুষ এখন আর আগের মতো স্বর্ণ কিনতে পারছেন না। ফলে বিক্রি কমে গেছে আশংকাজনক হারে।
ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর উপজেলাতে ছোট ছোট অলংকারের দোকানে তৈরি হতো নানা নকশার হার, কানের দুল, আংটি, হাতের বালা, বেজ লাইট। অভিজ্ঞ কারিগররা নিজ হাতে তৈরি করতেন এসব অলংকার।
নিজেদের সৌন্দর্য্য বাড়াতে এবং আর্কষনীয় করে তুলতে নারীরা গলায়, হাতে , কানে পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেত। কিন্তু তবে দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কারিগররা বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পরেছে। ফলে এ পেশার সাথে জরিত লোকজন কর্মহীন বেকার হয়ে পরছে।
অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। মেয়ের বিয়ের জন্য গহনা কিনতে আসা ঘিওর উপজেলার সাহা পাড়া গ্রামের নিরাপদ সাহা বলেন, আগের মেয়ের বিয়েতে এলাকার লোকজন কানের দুল, হাতের বালা, গলার হার ও আংটি দিতেন। কিন্তু বর্তমানে স্বর্ণের দাম যে তুলনায় বেড়েছে এক জোরা কানের দুল দেওয়ায় দুরুহ ব্যপার। স্বর্ণের দাম বেড়ে যাচ্ছে তাদে গরিব বাবা মা তাদের সন্তানদের বিয়েতে স্বণালংকার দেওয়া কঠিন হয়ে পরবে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী অসীত কর্মকার বলেন, গত এক বছর যাবৎ কোন কাজ কর্ম নেই। সংসারের খরচ থেমে নেই। এমতাবস্থায় অনেক কষ্ট করে পরিবার পরিজনকে নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের স্বর্ন ব্যবসায়ী সমিতির তপন নাগ বলেন, বর্তমানে প্রতিভরি স্বর্ণ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ৪/৫ বছর আগে প্রতি ভরি স্বর্ণ প্রায় ৬০/৭০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। প্রতিদিন ২/৪ ভরি স্বর্ণে অলংকার বিক্রি হতো। এখন মাসেও এক ভরি বিক্রি হয় না। অনেক অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ঘিওর বাজারের ঘিওর বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী তাপস কুমার সুত্রধর, অজিত কুমার শীল, নারায়ন হালদার বলেন, আমরা ১৫/১৬ বছর যাবৎ স্বর্ণের ব্যবসার সাথে জড়িত। এমন সংকট পরিস্থিতিতে কোন দিন পরতে হয়নি।
বাজারে ক্রেতা না থাকায় এই পেশায় ধ্বস নেমে এসেছে। শ্রমিকের মজুরি, দোকান ভাড়া, বিদ্যুত বিল এবং পরিবারের খরচ চালাতে হিমশীম খেতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ : কর্মহীন স্বর্ণ কারিগররা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় স্বর্ণের কারীগররা কর্মহীন হয়ে পরেছে। ক্রেতারা স্বর্নের অংলকার তৈরি করা কমিয়ে দিয়েছে। কারিগরদের কাজ নেই বললেই চলে। স্বর্ণের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। যা তাদের জীবনযাত্রারকে কঠিন করে তুলেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পরেছে। এলাকার লোকজন উচ্চমূল্যে স্বর্ন কিনতে পারছেনা। একদিকে চাহিদা কমে যাওয়া, মজুদ সংকট এবং অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারন মানুষ এখন আর আগের মতো স্বর্ণ কিনতে পারছেন না। ফলে বিক্রি কমে গেছে আশংকাজনক হারে।
ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর উপজেলাতে ছোট ছোট অলংকারের দোকানে তৈরি হতো নানা নকশার হার, কানের দুল, আংটি, হাতের বালা, বেজ লাইট। অভিজ্ঞ কারিগররা নিজ হাতে তৈরি করতেন এসব অলংকার।
নিজেদের সৌন্দর্য্য বাড়াতে এবং আর্কষনীয় করে তুলতে নারীরা গলায়, হাতে , কানে পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেত। কিন্তু তবে দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কারিগররা বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পরেছে। ফলে এ পেশার সাথে জরিত লোকজন কর্মহীন বেকার হয়ে পরছে।
অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। মেয়ের বিয়ের জন্য গহনা কিনতে আসা ঘিওর উপজেলার সাহা পাড়া গ্রামের নিরাপদ সাহা বলেন, আগের মেয়ের বিয়েতে এলাকার লোকজন কানের দুল, হাতের বালা, গলার হার ও আংটি দিতেন। কিন্তু বর্তমানে স্বর্ণের দাম যে তুলনায় বেড়েছে এক জোরা কানের দুল দেওয়ায় দুরুহ ব্যপার। স্বর্ণের দাম বেড়ে যাচ্ছে তাদে গরিব বাবা মা তাদের সন্তানদের বিয়েতে স্বণালংকার দেওয়া কঠিন হয়ে পরবে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী অসীত কর্মকার বলেন, গত এক বছর যাবৎ কোন কাজ কর্ম নেই। সংসারের খরচ থেমে নেই। এমতাবস্থায় অনেক কষ্ট করে পরিবার পরিজনকে নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের স্বর্ন ব্যবসায়ী সমিতির তপন নাগ বলেন, বর্তমানে প্রতিভরি স্বর্ণ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ৪/৫ বছর আগে প্রতি ভরি স্বর্ণ প্রায় ৬০/৭০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। প্রতিদিন ২/৪ ভরি স্বর্ণে অলংকার বিক্রি হতো। এখন মাসেও এক ভরি বিক্রি হয় না। অনেক অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ঘিওর বাজারের ঘিওর বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী তাপস কুমার সুত্রধর, অজিত কুমার শীল, নারায়ন হালদার বলেন, আমরা ১৫/১৬ বছর যাবৎ স্বর্ণের ব্যবসার সাথে জড়িত। এমন সংকট পরিস্থিতিতে কোন দিন পরতে হয়নি।
বাজারে ক্রেতা না থাকায় এই পেশায় ধ্বস নেমে এসেছে। শ্রমিকের মজুরি, দোকান ভাড়া, বিদ্যুত বিল এবং পরিবারের খরচ চালাতে হিমশীম খেতে হচ্ছে।