ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বদলাষন গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন বলেন, আগাম ২ বিঘা জমিতে ব্রি-৭৫ জাতের ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এখন জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করব। আগাম জাতের ধান কাটা শেষ করে কৃষকরা এখন আলু, সরিষা ও পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে এক মৌসুমে একাধিক ফসল ফলিয়ে বাড়তি লাভের আশা করছেন তারা।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, সরিষা ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৪৫ হেক্টর, এবং সবজি ২৮০ হেক্টর জমিতে।
এই মৌসুমে ৩ হাজার ৮৭০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজসহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা সরিষা, গম, মসুর, খেসারি ও শীতকালীন সবজি চাষে উৎসাহিত হন। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষক পরিবার ও গ্রামীণ নারীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। নতুন ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর-পায়েস, পিঠা-পুলি বানিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে নন্দীগ্রামে পালিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগাম জাতের ধান বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং পরবর্তী মৌসুমের ফসল উৎপাদনে নতুন উদ্দীপনা পাচ্ছেন। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা কৃষি অফিসের নিয়ম মেনে ধান রোপণ করায় ভালো ফলন পেয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছি। সার, বীজ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ এ বছর রোগবালাই প্রায় ছিল না, আর ফলনও ভালো। তাই কৃষকরা আগাম জাতের ধান বাজার বিক্রয় করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বদলাষন গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন বলেন, আগাম ২ বিঘা জমিতে ব্রি-৭৫ জাতের ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এখন জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করব। আগাম জাতের ধান কাটা শেষ করে কৃষকরা এখন আলু, সরিষা ও পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে এক মৌসুমে একাধিক ফসল ফলিয়ে বাড়তি লাভের আশা করছেন তারা।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, সরিষা ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৪৫ হেক্টর, এবং সবজি ২৮০ হেক্টর জমিতে।
এই মৌসুমে ৩ হাজার ৮৭০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজসহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা সরিষা, গম, মসুর, খেসারি ও শীতকালীন সবজি চাষে উৎসাহিত হন। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষক পরিবার ও গ্রামীণ নারীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। নতুন ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর-পায়েস, পিঠা-পুলি বানিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে নন্দীগ্রামে পালিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগাম জাতের ধান বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং পরবর্তী মৌসুমের ফসল উৎপাদনে নতুন উদ্দীপনা পাচ্ছেন। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা কৃষি অফিসের নিয়ম মেনে ধান রোপণ করায় ভালো ফলন পেয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছি। সার, বীজ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ এ বছর রোগবালাই প্রায় ছিল না, আর ফলনও ভালো। তাই কৃষকরা আগাম জাতের ধান বাজার বিক্রয় করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।