ভোলার চরফ্যাসনে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে থাকার পরে ও ৯০ উর্ধ্ব বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই মিললো মেঝো ছেলে নিরবের গোয়াল ঘরে। গরু রাখার পাশাপাশি ওই বৃদ্ধা মা কয়েক মাস যাবত দিনরাত যাপন করছেন গোয়াল ঘরের মেঝেতে চটের বিছানা পেতে। শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও গত বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলফৎ নেছা তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মা। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর স্বামী খলিলুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তান তাদের নামে বাড়িঘর লিখে নেন। তাঁর তিন ছেলে আবদুস সহিদ, মো. নিরব ও মো. বাছেদ দিনমজুর। বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে এমন অজুহাতে উলফৎ নেছাকে বসতঘরের পাশের মাটির গোয়ালঘরে রেখে আসেন ছেলে ও পুত্রবধূরা। গোয়ালঘরের মেঝেতে চটের বিছানায় তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উলফৎ নেছা গোয়ালঘরে চটের বিছানায় শুয়ে আছেন। আশপাশে গরু বেঁধে রাখা। অন্য পাশে কাপড়ের প্রাচীর দিয়ে বৃদ্ধার আবাসস্থল।
ভিডিও নজরে আসে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের। শনিবার,(২৫ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ওই নারীর বাড়ি পরিদর্শন করে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে বড় মেয়ে ফজিলত বেগমের জিম্মায় রেখে আসেন।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, ভিডিও দেখার পরে ওই বৃদ্ধার ছেলেকে থানায় ডেকে এনে তাঁর মাকে বসত ঘরে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা সারমিন মিথি জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ভোলার চরফ্যাসনে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে থাকার পরে ও ৯০ উর্ধ্ব বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই মিললো মেঝো ছেলে নিরবের গোয়াল ঘরে। গরু রাখার পাশাপাশি ওই বৃদ্ধা মা কয়েক মাস যাবত দিনরাত যাপন করছেন গোয়াল ঘরের মেঝেতে চটের বিছানা পেতে। শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও গত বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলফৎ নেছা তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মা। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর স্বামী খলিলুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তান তাদের নামে বাড়িঘর লিখে নেন। তাঁর তিন ছেলে আবদুস সহিদ, মো. নিরব ও মো. বাছেদ দিনমজুর। বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে এমন অজুহাতে উলফৎ নেছাকে বসতঘরের পাশের মাটির গোয়ালঘরে রেখে আসেন ছেলে ও পুত্রবধূরা। গোয়ালঘরের মেঝেতে চটের বিছানায় তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উলফৎ নেছা গোয়ালঘরে চটের বিছানায় শুয়ে আছেন। আশপাশে গরু বেঁধে রাখা। অন্য পাশে কাপড়ের প্রাচীর দিয়ে বৃদ্ধার আবাসস্থল।
ভিডিও নজরে আসে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের। শনিবার,(২৫ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ওই নারীর বাড়ি পরিদর্শন করে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে বড় মেয়ে ফজিলত বেগমের জিম্মায় রেখে আসেন।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, ভিডিও দেখার পরে ওই বৃদ্ধার ছেলেকে থানায় ডেকে এনে তাঁর মাকে বসত ঘরে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা সারমিন মিথি জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।