চিকিৎসা সেবায় রাজশাহীর জন্যে এলো আরও একটি সুখবর। এখন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ মানুষ ১০ টাকা টিকেটে নিতে পারবে চিকিৎসা সেবা।
গতকাল শনিবার রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এদিন দুপুরে প্রধান অতিথি থেকে এ উন্মুক্তকরণের উদ্বোধন করেন রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে রেলপথ সচিব জানান, সারাদেশে রেলের দশটি হাসপাতাল আছে। তার একটি রাজশাহীর ২০ শয্যার এই হাসপাতাল। এটি এখন রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। এখানে ইতোমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং ১০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। ২০ শয্যার এই হাসপাতালকে আমাদের ৩১ শয্যা করার পরিকল্পনা আছে। সরকারি হাসপাতালের যে নিয়মকানুন আছে সে অনুযায়ী এই হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হবে।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, রেলের কাজ হলো পরিবহন করা আর আমাদের দায়িত্ব ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া। সেক্ষেত্রে রেলের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারাও আমাদের সেবার আওতায়। হাসপাতালটি পরিদর্শন করে আমরা কিছু দুর্বলতা দেখেছি। আমরা যে মানের প্যাথলজি চেয়েছিলাম সেটা এখানে নেই, কক্ষ বাড়াতে হবে, অবকাঠামোগত আরও অনেক কাজ করতে হবে। এখানে অপারেশন থিয়েটারসহ সব চিকিৎসা সুবিধা আমরা দিতে চাই। ২৪ ঘণ্টা ইনডোর সেবা দেওয়া হবে। এর ফলে রাজশাহীবাসীর চিকিৎসা সেবা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক অফিয়া আখতার, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ, অতিঃ মহাব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুদ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিছুল হকসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এদিকে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনকালে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, হৃদরোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি এবংমৃত্যুহারের প্রধান কারণ। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসা সেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় ফাউন্ডেশনকে আরও শক্তিশালী করতে বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি থেকে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বেতন এবং ৬০ শতাংশ সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সেবার মানউন্যয়নে ব্যয় করতে হবে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে।
গতকাল শনিবার সকালে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে হৃদরোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের নামে ইউনিট করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও চাঁদার পরিমাণ বাড়াতে হবে যাতে সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করা যায়। আমি নিজেও ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে আগ্রহী। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করলে ফাউন্ডেশন আরও সেবা সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
চিকিৎসা সেবায় রাজশাহীর জন্যে এলো আরও একটি সুখবর। এখন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ মানুষ ১০ টাকা টিকেটে নিতে পারবে চিকিৎসা সেবা।
গতকাল শনিবার রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এদিন দুপুরে প্রধান অতিথি থেকে এ উন্মুক্তকরণের উদ্বোধন করেন রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে রেলপথ সচিব জানান, সারাদেশে রেলের দশটি হাসপাতাল আছে। তার একটি রাজশাহীর ২০ শয্যার এই হাসপাতাল। এটি এখন রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। এখানে ইতোমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং ১০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। ২০ শয্যার এই হাসপাতালকে আমাদের ৩১ শয্যা করার পরিকল্পনা আছে। সরকারি হাসপাতালের যে নিয়মকানুন আছে সে অনুযায়ী এই হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হবে।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, রেলের কাজ হলো পরিবহন করা আর আমাদের দায়িত্ব ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া। সেক্ষেত্রে রেলের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারাও আমাদের সেবার আওতায়। হাসপাতালটি পরিদর্শন করে আমরা কিছু দুর্বলতা দেখেছি। আমরা যে মানের প্যাথলজি চেয়েছিলাম সেটা এখানে নেই, কক্ষ বাড়াতে হবে, অবকাঠামোগত আরও অনেক কাজ করতে হবে। এখানে অপারেশন থিয়েটারসহ সব চিকিৎসা সুবিধা আমরা দিতে চাই। ২৪ ঘণ্টা ইনডোর সেবা দেওয়া হবে। এর ফলে রাজশাহীবাসীর চিকিৎসা সেবা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক অফিয়া আখতার, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ, অতিঃ মহাব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুদ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিছুল হকসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এদিকে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনকালে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, হৃদরোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি এবংমৃত্যুহারের প্রধান কারণ। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসা সেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় ফাউন্ডেশনকে আরও শক্তিশালী করতে বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি থেকে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বেতন এবং ৬০ শতাংশ সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সেবার মানউন্যয়নে ব্যয় করতে হবে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে।
গতকাল শনিবার সকালে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে হৃদরোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের নামে ইউনিট করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও চাঁদার পরিমাণ বাড়াতে হবে যাতে সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করা যায়। আমি নিজেও ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে আগ্রহী। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করলে ফাউন্ডেশন আরও সেবা সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবে।