alt

মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে মুখর তিস্তা নদীর তীর

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বাইরে আলীবাবা থিম পার্ক এবং সরোবর পার্ক গড়ে উঠলেও তেমন সারা ফেলতে পারেনি। কিন্তু মাওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্টে কোনো পার্ক গড়ে না উঠলেও প্রতিদিন হাজারও দর্শনাথীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।

বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার মত সম্ভাবনাময় জোন সৃষ্টি হয়েছে মাওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট। কিছুটা রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের মতই। কথাগুলো বলছিলেন সেতু পয়েন্টে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম। তার ভাষ্য, সেতু খুলে দেয়ার আগ থেকে সেতু পয়েন্টে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন যে হারে দর্শনার্থী আসছে, বলে বুঝানো যাবে না। সেই মানের কোনো দোকানপাট নেই এমনকি বসার জায়গাও নাই। তারপরও প্রতিদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে আসছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।

স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসএএস এর নিবার্হী পরিচালক এ. বি. এম নুরুল আকতার মজনু, উপজেলা ছাড়াও গাইবান্ধা, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাজারও দর্শক এখানে আসে। অনেকে ছোট নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ঘুরে রেড়ায়। আবার অনেকে নদীর ধার দিয়ে পায়চারী করে। দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা বেশি। তবে শিশুরাও মা বাবার সঙ্গে আসছে প্রতিদিন। এখানে তেমন কোনো দোকানপাট নেই। ভাসমানসহ মাঝারি মানের কয়েকটি দোকান রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র বিস্কুট, চানাচুর, কলা, রুটি, পটেটো পাওয়া যায়।

ছোট নৌকার মাঝি ফুল মিয়া বলেন, এখন খুব বেশি পানি নাই নদীতে। তারপরও নৌকা নিয়ে ঘোরা যায়। সারাদিন কম লোকজন থাকলেও পড়ন্ত বিকেলে হাজারও লোকজন ঘুরতে আসে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকা রোজগার হয়।

মাওলানা ভাসানী সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ.ব.ম শরিওতুল্লাহ মাস্টার বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামানিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা হয়। ২০২৫ সালের ২০ আগস্ট সেতুটি খুলে দেয়া হয়। এটি শুধু সেতু নয় এটি একটি বিনোদন কেন্দ্র এবং ব্যবসায়িক জোন।

উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসলেই সেতু পয়েন্টেটি এখন চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। সেতুর দুইধারে ব্লক দিয়ে নদীরক্ষা সড়ক নির্মাণ করায় এটি দেখতে অনেক চমৎকার। কিছুদিনের মধ্যে সেতুর দুই পার্শে^ই ব্যবসায়িক জোন এবং বিনোদনের কেন্দ্র গড়ে উঠবে এতে সন্দেহ নাই। সম্ভাবনাময় এ পয়েন্টে এখন শিল্পপতির সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। এখানকার মানুষজনের জন্য এটি একটি অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে।

একুশে বইমেলা যথা সময়েই হবে: প্রেস সচিব

আদালতে দোষ স্বীকার করে সেই ‘পর্ন তারকা’ যুগলের জবানবন্দি

ছবি

স্বর্ণময়ীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও যৌন হয়রানির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

নারায়ণগঞ্জে দুই কারখানার যৌথ ‘গ্যাস মিটার রুমে’ বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ছবি

নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের সরগরম চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

এমডির অপসারণ ও দুধের দাম বৃদ্ধি সহ ৬ দফা দাবিতে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার দুগ্ধ সমবায়ীদের সমাবেশ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ যাত্রা

ছবি

যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল উদ্ধার

ছবি

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ, যুবক আলমগীরের ‘জীবন এখন শিকলবন্দি’

ছবি

ঢেঁড়শ গাছ থেকে পাটের আঁশ

ছবি

রাজবাড়ীতে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত শিবরামপুর গ্রাম

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো জাহাজ

ছবি

শেরপুরে বরবটি চাষে সাফল্যের জোয়ার, কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল

ছবি

মাদারগঞ্জে কাইজেরচর ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

পরকীয়ার অভিযোগে গৃহবধূ ও গৃহশিক্ষককে নির্যাতন

ছবি

সাপাহারে মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে বিরোধ

ছবি

মীরসরাইয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি রোধে সচেতনতামূলক নাটক

ছবি

সাতক্ষীরা সীমান্তে এক নারী উদ্ধার, আটক ২

ছবি

স্ত্রী মারা যাওয়ার ১১ ঘন্টা পর মারা গেলেন স্বামী

ছবি

রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ১০ টাকায় চিকিৎসা সেবা

ছবি

কাজিপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ

ছবি

রাতের আঁধারে সবজি খেত ধ্বংস ঋণের চিন্তায় দিশেহারা কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

দুবলার চরের শুটকি থেকে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

ছবি

ফকিরহাটে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

ছবি

রায়গঞ্জে কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ প্রতিশ্রুতি আছে, বাস্তবায়ন নেই

ছবি

জয়পুরহাটে কীটনাশকের পরিবর্তে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

ছবি

দশমিনায় পলিনেটে শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন

ছবি

সাতক্ষীরায় ৭৫ কোটি টাকার কুলের বাজার

ছবি

নানা প্রতিবন্ধকতায় ঐতিহ্য হারাচ্ছে দেবীদ্বার এসএ সরকারি কলেজ

ছবি

রাজধানীতে গভীর রাতে সড়কে নারীর মৃত্যু

ছবি

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় মায়ের লাশ দেখতে না দেয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১

tab

মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে মুখর তিস্তা নদীর তীর

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বাইরে আলীবাবা থিম পার্ক এবং সরোবর পার্ক গড়ে উঠলেও তেমন সারা ফেলতে পারেনি। কিন্তু মাওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্টে কোনো পার্ক গড়ে না উঠলেও প্রতিদিন হাজারও দর্শনাথীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।

বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার মত সম্ভাবনাময় জোন সৃষ্টি হয়েছে মাওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট। কিছুটা রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের মতই। কথাগুলো বলছিলেন সেতু পয়েন্টে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম। তার ভাষ্য, সেতু খুলে দেয়ার আগ থেকে সেতু পয়েন্টে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন যে হারে দর্শনার্থী আসছে, বলে বুঝানো যাবে না। সেই মানের কোনো দোকানপাট নেই এমনকি বসার জায়গাও নাই। তারপরও প্রতিদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে আসছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।

স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসএএস এর নিবার্হী পরিচালক এ. বি. এম নুরুল আকতার মজনু, উপজেলা ছাড়াও গাইবান্ধা, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাজারও দর্শক এখানে আসে। অনেকে ছোট নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ঘুরে রেড়ায়। আবার অনেকে নদীর ধার দিয়ে পায়চারী করে। দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা বেশি। তবে শিশুরাও মা বাবার সঙ্গে আসছে প্রতিদিন। এখানে তেমন কোনো দোকানপাট নেই। ভাসমানসহ মাঝারি মানের কয়েকটি দোকান রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র বিস্কুট, চানাচুর, কলা, রুটি, পটেটো পাওয়া যায়।

ছোট নৌকার মাঝি ফুল মিয়া বলেন, এখন খুব বেশি পানি নাই নদীতে। তারপরও নৌকা নিয়ে ঘোরা যায়। সারাদিন কম লোকজন থাকলেও পড়ন্ত বিকেলে হাজারও লোকজন ঘুরতে আসে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকা রোজগার হয়।

মাওলানা ভাসানী সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ.ব.ম শরিওতুল্লাহ মাস্টার বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামানিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা হয়। ২০২৫ সালের ২০ আগস্ট সেতুটি খুলে দেয়া হয়। এটি শুধু সেতু নয় এটি একটি বিনোদন কেন্দ্র এবং ব্যবসায়িক জোন।

উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসলেই সেতু পয়েন্টেটি এখন চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। সেতুর দুইধারে ব্লক দিয়ে নদীরক্ষা সড়ক নির্মাণ করায় এটি দেখতে অনেক চমৎকার। কিছুদিনের মধ্যে সেতুর দুই পার্শে^ই ব্যবসায়িক জোন এবং বিনোদনের কেন্দ্র গড়ে উঠবে এতে সন্দেহ নাই। সম্ভাবনাময় এ পয়েন্টে এখন শিল্পপতির সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। এখানকার মানুষজনের জন্য এটি একটি অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে।

back to top