ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পুরান ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষ। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সূত্রাপুরে তার পিতার ভাতের হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করছেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করছেন বলে সিআইডি জানিয়েছেন।
সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসছে, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান কিনেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ৬ষ্ঠ তলার সি ব্লকে তার তিনটি দোকান রয়েছে। একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে বাবলু স্টার সিটি ভবনের একটি ফ্ল্যাট, স্বামীবাগেও তার মালিকাধানীর ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধারা সিটি শপিং কমপেক্সের স্বর্ণের দোকানের যৌথ মালিকানাধীন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষের প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি।
সিআইডির একটি প্রতিবেদন ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রয়েছে। নম্বর-১২। ২০২২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের এই মামলা তদন্ত কর্মকতা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার সন্দেহভাজন আসামি শ্যাম ঘোষ কর্মজীবনের শুরুতে সূত্রাপুরের ডালপট্টিতে তার পিতার ভাতের হোটেলে কাজ করতো। এরপর স্বর্ণের দোকানে চাকরি করার সুবাধে তিনি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় ধীরে ধীরে একটি স্বর্ণ চোরাচালানি গড়ে তোলে। অবৈধ সোনা চোরকারবারের মাধ্যমে তাঁতীবাজরে স্বর্ণের দোকানসহ বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভরের মালিক বনে যান।
মূলত স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে সে একটি সংঘবদ্ধ চোরকারবার চক্র গড়ে তোলে। অভিযুক্ত শ্যাম ঘোষ চোরকারবারের মাধ্যমে নেয়া স্বর্ণ কোনোরকম ক্যাশ মেমো বা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ বা কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ, প্রকৃত উৎস গোপন করে মানিলন্ডারিং করছে। স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট ও দোকানের মালিক হয়েছেন। তার মালিকাধীন জুয়েলারিসহ অন্য দোকান রয়েছে। তার সম্পর্কে সিআইডি আরও খোজ খবর নিচ্ছেন বলে সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
পুরান ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষ। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সূত্রাপুরে তার পিতার ভাতের হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করছেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করছেন বলে সিআইডি জানিয়েছেন।
সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসছে, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান কিনেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ৬ষ্ঠ তলার সি ব্লকে তার তিনটি দোকান রয়েছে। একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে বাবলু স্টার সিটি ভবনের একটি ফ্ল্যাট, স্বামীবাগেও তার মালিকাধানীর ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধারা সিটি শপিং কমপেক্সের স্বর্ণের দোকানের যৌথ মালিকানাধীন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষের প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি।
সিআইডির একটি প্রতিবেদন ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রয়েছে। নম্বর-১২। ২০২২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের এই মামলা তদন্ত কর্মকতা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার সন্দেহভাজন আসামি শ্যাম ঘোষ কর্মজীবনের শুরুতে সূত্রাপুরের ডালপট্টিতে তার পিতার ভাতের হোটেলে কাজ করতো। এরপর স্বর্ণের দোকানে চাকরি করার সুবাধে তিনি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় ধীরে ধীরে একটি স্বর্ণ চোরাচালানি গড়ে তোলে। অবৈধ সোনা চোরকারবারের মাধ্যমে তাঁতীবাজরে স্বর্ণের দোকানসহ বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভরের মালিক বনে যান।
মূলত স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে সে একটি সংঘবদ্ধ চোরকারবার চক্র গড়ে তোলে। অভিযুক্ত শ্যাম ঘোষ চোরকারবারের মাধ্যমে নেয়া স্বর্ণ কোনোরকম ক্যাশ মেমো বা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ বা কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ, প্রকৃত উৎস গোপন করে মানিলন্ডারিং করছে। স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট ও দোকানের মালিক হয়েছেন। তার মালিকাধীন জুয়েলারিসহ অন্য দোকান রয়েছে। তার সম্পর্কে সিআইডি আরও খোজ খবর নিচ্ছেন বলে সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।