alt

শেরপুরে বরবটি চাষে সাফল্যের জোয়ার, কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিরিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : বরবটি চাষে কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ

শীতকালীন আগাম সবজি হিসেবে বরবটি চাষ করে শেরপুরের গারো পাহাড় অঞ্চলের কৃষকরা এখন হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছেন। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে সন্তষ্টির হাসি। একসময় পতিত পড়ে থাকা জমিতে এখন সাফল্যের সাথে চাষ হচ্ছে বরবটি ও শিমসহ বিভিন্ন সবজি। শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার কৃষকরা জানান, বরবটির চারা রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। এতে খরচ কম, কিন্তু লাভ তুলনামূলক বেশি। ফলে অল্প সময়ে ভালো আয় করে অনেক কৃষক এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২২টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসবাস, যাদের অধিকাংশই গারো, কোচ, হাজং, ঢালু ও বানাই সম্প্রদায়ের। কয়েক বছর আগেও তাদের অনেক জমি পতিত ছিল, কৃষকরা ছিলেন বেকার। কিন্তু‘ এখন সেই জমিতেই সোনালি ফসল ফলছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিদিন মেঘাদল বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ বরবটি বিক্রির জন্য আনা হয়। এখান থেকে শেরপুর ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় তাজা বরবটি। দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার বরবটি বেচাকেনা হয় এই বাজারে। শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তবে কৃষকরা উৎসাহের সাথে ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, “বরবটি চাষে কৃষকরা ভালো দাম ও ফলন পাচ্ছেন। ফলে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে বরবটি ও শিম চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এতে ফলন ও আয় দুই-ই বেড়েছে। একসময় অনাবাদি থাকা গারো পাহাড়ের জমি এখন কৃষকের পরিশ্রমে ফলনশীল হয়ে উঠেছে। তাদের জীবনে এসেছে নতুন আলো।

একুশে বইমেলা যথা সময়েই হবে: প্রেস সচিব

আদালতে দোষ স্বীকার করে সেই ‘পর্ন তারকা’ যুগলের জবানবন্দি

ছবি

স্বর্ণময়ীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও যৌন হয়রানির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

নারায়ণগঞ্জে দুই কারখানার যৌথ ‘গ্যাস মিটার রুমে’ বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ছবি

নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের সরগরম চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

এমডির অপসারণ ও দুধের দাম বৃদ্ধি সহ ৬ দফা দাবিতে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার দুগ্ধ সমবায়ীদের সমাবেশ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ যাত্রা

ছবি

যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল উদ্ধার

ছবি

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ, যুবক আলমগীরের ‘জীবন এখন শিকলবন্দি’

ছবি

ঢেঁড়শ গাছ থেকে পাটের আঁশ

ছবি

রাজবাড়ীতে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত শিবরামপুর গ্রাম

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো জাহাজ

ছবি

সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল

ছবি

মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে মুখর তিস্তা নদীর তীর

ছবি

মাদারগঞ্জে কাইজেরচর ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

পরকীয়ার অভিযোগে গৃহবধূ ও গৃহশিক্ষককে নির্যাতন

ছবি

সাপাহারে মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে বিরোধ

ছবি

মীরসরাইয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি রোধে সচেতনতামূলক নাটক

ছবি

সাতক্ষীরা সীমান্তে এক নারী উদ্ধার, আটক ২

ছবি

স্ত্রী মারা যাওয়ার ১১ ঘন্টা পর মারা গেলেন স্বামী

ছবি

রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ১০ টাকায় চিকিৎসা সেবা

ছবি

কাজিপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ

ছবি

রাতের আঁধারে সবজি খেত ধ্বংস ঋণের চিন্তায় দিশেহারা কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

দুবলার চরের শুটকি থেকে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

ছবি

ফকিরহাটে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

ছবি

রায়গঞ্জে কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ প্রতিশ্রুতি আছে, বাস্তবায়ন নেই

ছবি

জয়পুরহাটে কীটনাশকের পরিবর্তে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

ছবি

দশমিনায় পলিনেটে শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন

ছবি

সাতক্ষীরায় ৭৫ কোটি টাকার কুলের বাজার

ছবি

নানা প্রতিবন্ধকতায় ঐতিহ্য হারাচ্ছে দেবীদ্বার এসএ সরকারি কলেজ

ছবি

রাজধানীতে গভীর রাতে সড়কে নারীর মৃত্যু

ছবি

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় মায়ের লাশ দেখতে না দেয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১

tab

শেরপুরে বরবটি চাষে সাফল্যের জোয়ার, কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিরিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : বরবটি চাষে কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ

রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

শীতকালীন আগাম সবজি হিসেবে বরবটি চাষ করে শেরপুরের গারো পাহাড় অঞ্চলের কৃষকরা এখন হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছেন। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে সন্তষ্টির হাসি। একসময় পতিত পড়ে থাকা জমিতে এখন সাফল্যের সাথে চাষ হচ্ছে বরবটি ও শিমসহ বিভিন্ন সবজি। শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার কৃষকরা জানান, বরবটির চারা রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। এতে খরচ কম, কিন্তু লাভ তুলনামূলক বেশি। ফলে অল্প সময়ে ভালো আয় করে অনেক কৃষক এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২২টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসবাস, যাদের অধিকাংশই গারো, কোচ, হাজং, ঢালু ও বানাই সম্প্রদায়ের। কয়েক বছর আগেও তাদের অনেক জমি পতিত ছিল, কৃষকরা ছিলেন বেকার। কিন্তু‘ এখন সেই জমিতেই সোনালি ফসল ফলছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিদিন মেঘাদল বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ বরবটি বিক্রির জন্য আনা হয়। এখান থেকে শেরপুর ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় তাজা বরবটি। দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার বরবটি বেচাকেনা হয় এই বাজারে। শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তবে কৃষকরা উৎসাহের সাথে ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, “বরবটি চাষে কৃষকরা ভালো দাম ও ফলন পাচ্ছেন। ফলে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে বরবটি ও শিম চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এতে ফলন ও আয় দুই-ই বেড়েছে। একসময় অনাবাদি থাকা গারো পাহাড়ের জমি এখন কৃষকের পরিশ্রমে ফলনশীল হয়ে উঠেছে। তাদের জীবনে এসেছে নতুন আলো।

back to top