ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে একটি জাহাজ। ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামক জাহাজটি গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
ঢাকায় এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য দিয়ে তখন খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সমঝোতা হয়েছে। যদিও ভারত, রাশিয়া, বেলারুসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গম আমদানি করা হয়। পরে জুলাইয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুল্ক থেকে বাঁচতে মার্কিন আমদানি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও কমানো এবং তখন থেকে আমদানি বাড়ানোর পথে হাঁটে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্কের চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টার মধ্যে জুলাই মাসে দেশটি থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি (এইউএসটিআর) ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তার আশা এর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক আরও কমবে, যা দুই দেশের স্থায়ী ও পারস্পরিক সুবিধাজনক বাণিজ্য অংশীদারত্বে সহায়ক হবে। সফরকারী মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কৌশল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা হয়। পাশাপাশি তুলা ও সয়াবিনসহ মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েও মতবিনিময় হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ গম আমদানি কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রামে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে একটি জাহাজ। ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামক জাহাজটি গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
ঢাকায় এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য দিয়ে তখন খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সমঝোতা হয়েছে। যদিও ভারত, রাশিয়া, বেলারুসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গম আমদানি করা হয়। পরে জুলাইয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুল্ক থেকে বাঁচতে মার্কিন আমদানি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও কমানো এবং তখন থেকে আমদানি বাড়ানোর পথে হাঁটে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্কের চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টার মধ্যে জুলাই মাসে দেশটি থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি (এইউএসটিআর) ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তার আশা এর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক আরও কমবে, যা দুই দেশের স্থায়ী ও পারস্পরিক সুবিধাজনক বাণিজ্য অংশীদারত্বে সহায়ক হবে। সফরকারী মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কৌশল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা হয়। পাশাপাশি তুলা ও সয়াবিনসহ মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েও মতবিনিময় হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ গম আমদানি কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রামে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।