ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গ্রামীণ মানুষের বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য ধারা হলো যাত্রা। এছাড়াও রয়েছে কবিগান,বাউলগান, জারিগান, সারিগান সহ বিভিন্ন বিনোদন ক্ষেত্র। কিন্তু পরিবর্তনের যুগে ক্রমেই বিস্মৃতির অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদন মাধ্যমগুলো। ঘরে ঘরে টিভি সেট, হাতে হাতে স্মার্টফোন। ফলে বিনোদনের দৃশ্যমান মাত্রা ম্রিয়মান। গ্রামীণ জনপদের মানুষের বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম ছিল যাত্রাগান। এমন এক সময় ছিল যখন গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো শৌখিন যাত্রাদল। মহড়া শেষ করে চৌকি দিয়ে মঞ্চ করে হ্যাজাক বাতি জ্বালিয়ে যাত্রা মঞ্চস্হ করা হতো। সামাজিক, ঐতিহাসিক, পৌরাণিক যাত্রাপালা উপভোগ করতে যাত্রামোদি দর্শক শ্রোতার মন কাড়তো বিভিন্ন যাত্রাপালা। বিশেষ করে শীত মৌসুমে গ্রামে গ্রামে যাত্রাগানের ধুম লেগে যেত। আকাশ সংস্কৃতি এ পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতির একটি অন্যতম বিনোদন ধারা যাত্রাগান। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সহ বিভিন্ন পার্বণ উপলক্ষে যাত্রার আবেদন ছিল চোখে পড়ার মতো। শৌখিন যাত্রা দলের পাশাপাশি ছিল পেশনদার যাত্রাদল অপেরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যার্থে মাসব্যাপী পালা মঞ্চস্হের দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। যাত্রার জৌলুস হারানোর সাথে সাথে যাত্রা সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী, সাজঘরের মালিকদেরও দুর্দিন। যাত্রা নেই ডাক নেই, কন্ট্রাক নেই। অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। যাত্রা একটি আদি দৃশ্যকাব্য। সমাজ পরিবর্তনের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যাত্রাপালায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
গ্রামীণ মানুষের বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য ধারা হলো যাত্রা। এছাড়াও রয়েছে কবিগান,বাউলগান, জারিগান, সারিগান সহ বিভিন্ন বিনোদন ক্ষেত্র। কিন্তু পরিবর্তনের যুগে ক্রমেই বিস্মৃতির অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদন মাধ্যমগুলো। ঘরে ঘরে টিভি সেট, হাতে হাতে স্মার্টফোন। ফলে বিনোদনের দৃশ্যমান মাত্রা ম্রিয়মান। গ্রামীণ জনপদের মানুষের বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম ছিল যাত্রাগান। এমন এক সময় ছিল যখন গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো শৌখিন যাত্রাদল। মহড়া শেষ করে চৌকি দিয়ে মঞ্চ করে হ্যাজাক বাতি জ্বালিয়ে যাত্রা মঞ্চস্হ করা হতো। সামাজিক, ঐতিহাসিক, পৌরাণিক যাত্রাপালা উপভোগ করতে যাত্রামোদি দর্শক শ্রোতার মন কাড়তো বিভিন্ন যাত্রাপালা। বিশেষ করে শীত মৌসুমে গ্রামে গ্রামে যাত্রাগানের ধুম লেগে যেত। আকাশ সংস্কৃতি এ পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতির একটি অন্যতম বিনোদন ধারা যাত্রাগান। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সহ বিভিন্ন পার্বণ উপলক্ষে যাত্রার আবেদন ছিল চোখে পড়ার মতো। শৌখিন যাত্রা দলের পাশাপাশি ছিল পেশনদার যাত্রাদল অপেরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যার্থে মাসব্যাপী পালা মঞ্চস্হের দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। যাত্রার জৌলুস হারানোর সাথে সাথে যাত্রা সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী, সাজঘরের মালিকদেরও দুর্দিন। যাত্রা নেই ডাক নেই, কন্ট্রাক নেই। অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। যাত্রা একটি আদি দৃশ্যকাব্য। সমাজ পরিবর্তনের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যাত্রাপালায়।