বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড-মিল্কভিটার এমডি’র অপসারণ ও দুধের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা হারে বৃদ্ধি সহ ৬ দফা দাবিতে শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ীর মিল্কভিটার আওতাধীন সমবায়ীরা সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাঘাবাড়ি মিল্কশেড এরিয়ার পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায়ীবৃন্দ এ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সমবায়ী সুবীর কুমার ঘোষ। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিল্কভিটা ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। এতে অনন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক নয়ন, সমবায়ী কালাম চৌধুরী, সমবায়ী বেলায়েত হোসেন বেল্লাল, সমবায়ী আলতাফ হোসেন সরকার, সমবায়ী শামসুল আলম, সমবায়ী আব্দুল আউয়াল, সমবায়ী আব্দুর রকিব রুমি ও উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে বর্তমান এমডির অপসারণ ও দুধের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা হারে বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। সমাবেশে প্রধান বক্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রায় তিন মাস যাবত মিল্ক ভিটার কোন কমিটি নেই। পরপর দুইবার অসমবায়ীদের দ্বারা এডহক কমিটি গঠন করে মিল্ক ভিটা পরিচালিত হয়ে আসছিলো। বর্তমানে উক্ত এডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও এখনো তারা বহাল তবিয়তে আছেন। বর্তমান এমডি জাহিদুল ইসলাম সমবায়ী নন। ফলে তিনি সমবায়ীদের স্বার্থে কোন কাজই করেন না। তিনি বলেন, সমবায়ীরা দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আজ পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক সমবায়ী তাদের গবাদিপশু বিক্রি করে দুগ্ধ উৎপাদন থেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন। তিনি বলেন মিল্কভিটা সমবায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৫০ টাকা হারে কিনলেও ওই দুধ ১’শ টাকায় বিক্রি করে। অথচ সমবায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দুধের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করে আসলেও বর্তমান এমডি জাহিদুল ইসলাম সে দাবি পূরণ না করে উল্টো কর্মকর্তাদের ২০% বেতন বৃদ্ধি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এমডি জাহিদুল ইসলাম তার ৬ জন তোষামোদকারী ডা: আক্তার হোসেন নোবেল (ব্যবস্থাপক, সমিতি), মো. আব্দুল ওয়াহিদ (উপ-ব্যবস্থাপক, কেন্দ্রীয় গুদাম), মোঃ একরামুল হোসেন মুকুল (উপ-ব্যবস্থাপক, পরিকল্পনা), আব্দুর রউফ লাভলু ,(জুনিয়র অফিসার বিপণন, ডিডিপি), মোঃ হাইদুল ইসলাম (অফিস সহকারী ও সুপারভাইজার, সমিতি বিভাগ), মো. জিল্লুর রহমান (ওয়ার্কার গ্রেড-৩, বিপণন) যোগসাজোসে মিল্কভিটা পরিচালনা করছেন। তিনি অবিলম্বে এমডি জাহিদুল ইসলামের অপসারণ এবং তার ৬ সহযোগিকে মিল্কভিটার প্রধান কার্যালয় থেকে অন্যত্রে বদলির দাবি জানান। সমাবেশে তিনি বর্তমান এমডি’র অপসারণ, দুধের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা হারে বৃদ্ধি, নির্বাচনের মাধ্যমে সমবায় বান্ধব কমিটি গঠন, অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সহজ ও ন্যায্য মূল্যে গো-খাদ্য সরবরাহ ও এলএফএআই’দের বেতন বৃদ্ধি ও কৃত্রিম প্রজননের সর্বাধিক সুবিধা বাস্তবায়নের ৬ দফার দাবি উপস্থাপন করেন। এ সময়ে উপস্থিত শত শত সমবায়ীরা এসব দাবির প্রতি হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমবায়ীদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আগামী ২ নভেম্বর থেকে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেন। প্রধান বক্তা আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, মিল্কভিটা সমবায়ীদের প্রতিষ্ঠান। অথচ অসমবায়ীদের দ্বারা গঠিত পরিচালনা কমিটির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মিল্কভিটা আজ ধ্বংসের পথে।
তিনি বলেন ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ার পর সমবায়ীরা আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সমাবেশ শেষে দুপুর ১ টায় একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত ৬ দফা দাবি ও মিল্কভিটার বর্তমান পরিস্থিতি সম্বলিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা দুগ্ধ কারখানা ২০০২ সনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হতো। পক্ষান্তরে বর্তমানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মিল্কভিটায় দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে সমবায়ীরা বাধ্য হয়ে অনন্যা প্রতিষ্ঠানে দুধ সরবরাহ করছে। সমাবেশে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার তিন শতাধিক প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমতিরি সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড-মিল্কভিটার এমডি’র অপসারণ ও দুধের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা হারে বৃদ্ধি সহ ৬ দফা দাবিতে শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ীর মিল্কভিটার আওতাধীন সমবায়ীরা সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাঘাবাড়ি মিল্কশেড এরিয়ার পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায়ীবৃন্দ এ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সমবায়ী সুবীর কুমার ঘোষ। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিল্কভিটা ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। এতে অনন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক নয়ন, সমবায়ী কালাম চৌধুরী, সমবায়ী বেলায়েত হোসেন বেল্লাল, সমবায়ী আলতাফ হোসেন সরকার, সমবায়ী শামসুল আলম, সমবায়ী আব্দুল আউয়াল, সমবায়ী আব্দুর রকিব রুমি ও উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে বর্তমান এমডির অপসারণ ও দুধের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা হারে বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। সমাবেশে প্রধান বক্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রায় তিন মাস যাবত মিল্ক ভিটার কোন কমিটি নেই। পরপর দুইবার অসমবায়ীদের দ্বারা এডহক কমিটি গঠন করে মিল্ক ভিটা পরিচালিত হয়ে আসছিলো। বর্তমানে উক্ত এডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও এখনো তারা বহাল তবিয়তে আছেন। বর্তমান এমডি জাহিদুল ইসলাম সমবায়ী নন। ফলে তিনি সমবায়ীদের স্বার্থে কোন কাজই করেন না। তিনি বলেন, সমবায়ীরা দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আজ পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক সমবায়ী তাদের গবাদিপশু বিক্রি করে দুগ্ধ উৎপাদন থেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন। তিনি বলেন মিল্কভিটা সমবায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৫০ টাকা হারে কিনলেও ওই দুধ ১’শ টাকায় বিক্রি করে। অথচ সমবায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দুধের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করে আসলেও বর্তমান এমডি জাহিদুল ইসলাম সে দাবি পূরণ না করে উল্টো কর্মকর্তাদের ২০% বেতন বৃদ্ধি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এমডি জাহিদুল ইসলাম তার ৬ জন তোষামোদকারী ডা: আক্তার হোসেন নোবেল (ব্যবস্থাপক, সমিতি), মো. আব্দুল ওয়াহিদ (উপ-ব্যবস্থাপক, কেন্দ্রীয় গুদাম), মোঃ একরামুল হোসেন মুকুল (উপ-ব্যবস্থাপক, পরিকল্পনা), আব্দুর রউফ লাভলু ,(জুনিয়র অফিসার বিপণন, ডিডিপি), মোঃ হাইদুল ইসলাম (অফিস সহকারী ও সুপারভাইজার, সমিতি বিভাগ), মো. জিল্লুর রহমান (ওয়ার্কার গ্রেড-৩, বিপণন) যোগসাজোসে মিল্কভিটা পরিচালনা করছেন। তিনি অবিলম্বে এমডি জাহিদুল ইসলামের অপসারণ এবং তার ৬ সহযোগিকে মিল্কভিটার প্রধান কার্যালয় থেকে অন্যত্রে বদলির দাবি জানান। সমাবেশে তিনি বর্তমান এমডি’র অপসারণ, দুধের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা হারে বৃদ্ধি, নির্বাচনের মাধ্যমে সমবায় বান্ধব কমিটি গঠন, অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সহজ ও ন্যায্য মূল্যে গো-খাদ্য সরবরাহ ও এলএফএআই’দের বেতন বৃদ্ধি ও কৃত্রিম প্রজননের সর্বাধিক সুবিধা বাস্তবায়নের ৬ দফার দাবি উপস্থাপন করেন। এ সময়ে উপস্থিত শত শত সমবায়ীরা এসব দাবির প্রতি হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমবায়ীদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আগামী ২ নভেম্বর থেকে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেন। প্রধান বক্তা আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, মিল্কভিটা সমবায়ীদের প্রতিষ্ঠান। অথচ অসমবায়ীদের দ্বারা গঠিত পরিচালনা কমিটির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মিল্কভিটা আজ ধ্বংসের পথে।
তিনি বলেন ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ার পর সমবায়ীরা আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সমাবেশ শেষে দুপুর ১ টায় একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত ৬ দফা দাবি ও মিল্কভিটার বর্তমান পরিস্থিতি সম্বলিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা দুগ্ধ কারখানা ২০০২ সনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হতো। পক্ষান্তরে বর্তমানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মিল্কভিটায় দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে সমবায়ীরা বাধ্য হয়ে অনন্যা প্রতিষ্ঠানে দুধ সরবরাহ করছে। সমাবেশে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার তিন শতাধিক প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমতিরি সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন