ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বকুলতলা খালে সদ্য ভরাট করা বালু অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর মনে এখন প্রশ্ন এই উদ্যোগ কি সত্যিই খাল দখলমুক্ত করার অংশ, নাকি শুধু দেখানোর জন্য কিছুটা বালু সরানো হচ্ছে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধীপুর এলাকার সরকারি এই খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মো. শফিউদ্দিন স্বপন (পিতা সামেদ আলী বেপারী) খালের একটি বড় অংশ বালু ফেলে ভরাট করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে। সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকু মেশিন দিয়ে খালে ফেলা বালু সরিয়ে পাশের জমিতে ফেলা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, বালু সরানোর কাজটি করছেন সেই একই ব্যক্তি, যিনি আগে খালটি ভরাট করেছিলেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে খালটি আসলেই কি সম্পূর্ণভাবে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, নাকি কিছু অংশ রেখে ভবিষ্যতে পুনরায় দখলের চেষ্টা চলছে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাল ভরাটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পানি চলাচল বন্ধ ছিল। এখন বালু সরানো শুরু হলেও পুরোপুরি পরিষ্কার করা হচ্ছে না, কিছু অংশ এখনও ভরাট অবস্থায় রয়ে গেছে। এতে দখল স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরও বলেন, খাল ও প্রাকৃতিক জলপথ ভরাটের ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সরকার যেখানে জলাধার রক্ষায় ‘খাল খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সরকারি খাল দখল করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে নিশ্চিত করে যে পুরো খাল উন্মুক্ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন সরকারি জলাধার দখল করতে না পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে মো. শফিউদ্দিন স্বপন বলেন, মাঠে বালু ফেলে ভরাট করার সময় খালে কিছু বালু চলে আসে। সেই বালু আমি নিজ উদ্যোগে সরিয়ে দিচ্ছি। খালের পুরো অংশ উন্মুক্ত করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন যেভাবে বলবে, সেভাবেই করব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বকুলতলা খালে সদ্য ভরাট করা বালু অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর মনে এখন প্রশ্ন এই উদ্যোগ কি সত্যিই খাল দখলমুক্ত করার অংশ, নাকি শুধু দেখানোর জন্য কিছুটা বালু সরানো হচ্ছে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধীপুর এলাকার সরকারি এই খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মো. শফিউদ্দিন স্বপন (পিতা সামেদ আলী বেপারী) খালের একটি বড় অংশ বালু ফেলে ভরাট করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে। সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকু মেশিন দিয়ে খালে ফেলা বালু সরিয়ে পাশের জমিতে ফেলা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, বালু সরানোর কাজটি করছেন সেই একই ব্যক্তি, যিনি আগে খালটি ভরাট করেছিলেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে খালটি আসলেই কি সম্পূর্ণভাবে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, নাকি কিছু অংশ রেখে ভবিষ্যতে পুনরায় দখলের চেষ্টা চলছে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাল ভরাটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পানি চলাচল বন্ধ ছিল। এখন বালু সরানো শুরু হলেও পুরোপুরি পরিষ্কার করা হচ্ছে না, কিছু অংশ এখনও ভরাট অবস্থায় রয়ে গেছে। এতে দখল স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরও বলেন, খাল ও প্রাকৃতিক জলপথ ভরাটের ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সরকার যেখানে জলাধার রক্ষায় ‘খাল খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সরকারি খাল দখল করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে নিশ্চিত করে যে পুরো খাল উন্মুক্ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন সরকারি জলাধার দখল করতে না পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে মো. শফিউদ্দিন স্বপন বলেন, মাঠে বালু ফেলে ভরাট করার সময় খালে কিছু বালু চলে আসে। সেই বালু আমি নিজ উদ্যোগে সরিয়ে দিচ্ছি। খালের পুরো অংশ উন্মুক্ত করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন যেভাবে বলবে, সেভাবেই করব।