ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র দুই বছর তিন মাস বয়সী নিষ্পাপ শিশুকন্যা স্নিগ্ধা। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসরের নামাজের পর এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্নিগ্ধা সুন্দরপুর গ্রামের মো. শামীম হোসেন ও গৃহবধূ সুমাইয়া খাতুনের একমাত্র সন্তান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন শিশুর মা ফ্রিজে রাখা দুধ গলানোর জন্য বাড়ির ভেতর কলের পাশে একটি বালতিতে পানি দেন। খেলার ছলে স্নিগ্ধা সেখানে গিয়ে অসাবধানতাবশত মুখসহ বালতির ভেতরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটির পা উপরে ভেসে থাকতে দেখে মা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত স্থানীয় ভোলাডাঙ্গা বাজারের চিকিৎসক অশোক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। ুএমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো সুন্দরপুর গ্রামে। শিশুটির মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় নেমে আসে গভীর নীরবতা; কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, “এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। একটি নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে হারানো কোনো পরিবারের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। আমরা পরিবারটির প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং সবাইকে অনুরোধ করছি শিশুদের আশপাশের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর কোনো পরিবারে না ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষায়, স্নিগ্ধার অকাল মৃত্যুতে আজ নিস্তব্ধ ও শোকাহত সুন্দরপুর গ্রাম। শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র দুই বছর তিন মাস বয়সী নিষ্পাপ শিশুকন্যা স্নিগ্ধা। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসরের নামাজের পর এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্নিগ্ধা সুন্দরপুর গ্রামের মো. শামীম হোসেন ও গৃহবধূ সুমাইয়া খাতুনের একমাত্র সন্তান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন শিশুর মা ফ্রিজে রাখা দুধ গলানোর জন্য বাড়ির ভেতর কলের পাশে একটি বালতিতে পানি দেন। খেলার ছলে স্নিগ্ধা সেখানে গিয়ে অসাবধানতাবশত মুখসহ বালতির ভেতরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটির পা উপরে ভেসে থাকতে দেখে মা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত স্থানীয় ভোলাডাঙ্গা বাজারের চিকিৎসক অশোক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। ুএমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো সুন্দরপুর গ্রামে। শিশুটির মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় নেমে আসে গভীর নীরবতা; কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, “এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। একটি নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে হারানো কোনো পরিবারের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। আমরা পরিবারটির প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং সবাইকে অনুরোধ করছি শিশুদের আশপাশের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর কোনো পরিবারে না ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষায়, স্নিগ্ধার অকাল মৃত্যুতে আজ নিস্তব্ধ ও শোকাহত সুন্দরপুর গ্রাম। শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা।