ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গাজীপুরের কাপাসিয়ার চাঁদপুর এমদাদুল উলুম আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ গঠনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্টার ও কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন কারও কথায় কর্ণপাত করছেন না।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় ছয় মাস আগে ওই মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠন করা হলে প্রায় দুই মাস আগে নিয়মিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন। তিনি সকল অভিভাবকদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচনী তফশিল প্রকাশ্য দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে দেওয়ার বিধান থাকলেও তা করেন নি বলে অভিযোগ করেছেন মো. মাইনুদ্দিন নামে একজন অভিভাবক প্রতিনিধি। তিনি আরো দাবি করেন, এলাকার সাধারণ অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অধ্যক্ষ গোপনে স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে আঁত করে পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে একটি কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে দলাদলি লাগিয়ে তিনি পড়ালেখার গুণগত মান নষ্ট করছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্টার গত ৬ অক্টোবর কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি চিঠি দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মো.জালাল উদ্দিন নামে একজন অভিভাবক কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগে জানান, অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের আশ^াস দিয়ে রসিদ দিয়ে তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাছাড়া অন্তত পাঁচজন অভিভাবককে প্রতিনিধি হিসিবে নির্বাচিত করার আশ^াস দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
নিয়মিত কমিটি গঠনের আশ^াস দিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের লোকের কাছ থেকে গোপনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আজ ২৭ অক্টোবর আগের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষ এখন নতুন করে আবার এডহক কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও রেজিস্টার এবং কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখন যেহেতু তিনি নিয়মিত কমিটি গঠন করছেন না এবং এডহক কমিটি গঠন করছেন তাই এ বিষয়ে এলাকার লোকজনের সাথে পরামর্শের বা তাদের মতামত নেওয়ার কিছু নেই। এটি সম্পূর্ণ তার একক ক্ষমতার বিষয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
গাজীপুরের কাপাসিয়ার চাঁদপুর এমদাদুল উলুম আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ গঠনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্টার ও কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন কারও কথায় কর্ণপাত করছেন না।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় ছয় মাস আগে ওই মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠন করা হলে প্রায় দুই মাস আগে নিয়মিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন। তিনি সকল অভিভাবকদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচনী তফশিল প্রকাশ্য দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে দেওয়ার বিধান থাকলেও তা করেন নি বলে অভিযোগ করেছেন মো. মাইনুদ্দিন নামে একজন অভিভাবক প্রতিনিধি। তিনি আরো দাবি করেন, এলাকার সাধারণ অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অধ্যক্ষ গোপনে স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে আঁত করে পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে একটি কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে দলাদলি লাগিয়ে তিনি পড়ালেখার গুণগত মান নষ্ট করছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্টার গত ৬ অক্টোবর কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি চিঠি দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মো.জালাল উদ্দিন নামে একজন অভিভাবক কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগে জানান, অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের আশ^াস দিয়ে রসিদ দিয়ে তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাছাড়া অন্তত পাঁচজন অভিভাবককে প্রতিনিধি হিসিবে নির্বাচিত করার আশ^াস দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
নিয়মিত কমিটি গঠনের আশ^াস দিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের লোকের কাছ থেকে গোপনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আজ ২৭ অক্টোবর আগের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষ এখন নতুন করে আবার এডহক কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও রেজিস্টার এবং কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখন যেহেতু তিনি নিয়মিত কমিটি গঠন করছেন না এবং এডহক কমিটি গঠন করছেন তাই এ বিষয়ে এলাকার লোকজনের সাথে পরামর্শের বা তাদের মতামত নেওয়ার কিছু নেই। এটি সম্পূর্ণ তার একক ক্ষমতার বিষয়।