ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিন পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— সুভাষ সূত্রধর, দুলাল সূত্রধর ও রুপম সূত্রধর। স্থানীয়রা জানান, ভোররাত ৪টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের ঘরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে তিন পরিবারের ঘরবাড়ি ও মালামাল সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া, আহাদ মিয়া জানান আমরা দ্রুত এগিয়ে না এলে আগুন আরও কয়েকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারত।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকান্ডে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতভিটা সুভাষ সূত্রধর জানান,
আমার এখন আর কিছুই রইল না সব শেষ আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ বিন কাশেম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাতটি বড় দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র, মোটরসাইকেল আরোহী, ইজিবাইক চালক, ভ্যানচালক ও পথচারীসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৫ জনের মধ্যে ৬ জন পঙ্গু হয়েছেন। ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, রোড ডিভাইডার না থাকায় প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রফেসর শংকর কুমার দাসও দাবি করেছেন, রোড ডিভাইডার স্থাপন ও পার্শ্বরাস্তা খোলার দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি। রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে ভূঁইয়াগাঁতী চিহ্নিত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং ট্রাফিক টহল বাড়ানো হয়েছে। সাসেক প্রকল্প-২ এর উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সরফরাজ হোসাইন বলেন, স্থায়ী রোড ডিভাইডার ও বন্ধ পার্শ্বরাস্তার কাজ প্রক্রিয়াধীন, তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জায়গা ছাড়ায় বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন। কলেজছাত্র ইকরামুল হক বলেন, রাস্তা পার হতে গেলে মনে হয় জানটা হাতের মুঠোয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, পার্শ্বরাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিন পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— সুভাষ সূত্রধর, দুলাল সূত্রধর ও রুপম সূত্রধর। স্থানীয়রা জানান, ভোররাত ৪টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের ঘরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে তিন পরিবারের ঘরবাড়ি ও মালামাল সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া, আহাদ মিয়া জানান আমরা দ্রুত এগিয়ে না এলে আগুন আরও কয়েকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারত।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকান্ডে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতভিটা সুভাষ সূত্রধর জানান,
আমার এখন আর কিছুই রইল না সব শেষ আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ বিন কাশেম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাতটি বড় দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র, মোটরসাইকেল আরোহী, ইজিবাইক চালক, ভ্যানচালক ও পথচারীসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৫ জনের মধ্যে ৬ জন পঙ্গু হয়েছেন। ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, রোড ডিভাইডার না থাকায় প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রফেসর শংকর কুমার দাসও দাবি করেছেন, রোড ডিভাইডার স্থাপন ও পার্শ্বরাস্তা খোলার দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি। রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে ভূঁইয়াগাঁতী চিহ্নিত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং ট্রাফিক টহল বাড়ানো হয়েছে। সাসেক প্রকল্প-২ এর উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সরফরাজ হোসাইন বলেন, স্থায়ী রোড ডিভাইডার ও বন্ধ পার্শ্বরাস্তার কাজ প্রক্রিয়াধীন, তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জায়গা ছাড়ায় বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন। কলেজছাত্র ইকরামুল হক বলেন, রাস্তা পার হতে গেলে মনে হয় জানটা হাতের মুঠোয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, পার্শ্বরাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে।