আপোষ করতে চাপ দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিদ্ধিরগঞ্জে ধষর্ণের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬ মাস পরও চার্জশীট দেয়নি পুলিশ। ধর্ষক জেলে আটক এবং ঘটনার সব প্রমাণ পাওয়ার পরও পুলিশ চার্জশিট দিতে গড়িমসি করছে বলে মামলার বাদী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। সিদ্ধিরগঞ্জের সি আই খোলা এলাকায় সৎপিতা ওসমান গণি কর্তৃক নিজ ঘরে ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় গত ১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা তানিয়া হায়দার। সে সময় এলাকাবাসী ধর্ষক সৎপিতা ওসমান গনিকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করে। আসামীর পক্ষ নিয়ে মামলাটি আপোষ মিমাংসা করার উপায় খঁজুতেই চার্জশীট না দেয়ার অভিযোগ মামলার বাদী তানিয়া হায়দারের।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সি আই খোলা এলাকায় চাকুরিজীবি তানিয়া হায়দার তার ৬ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্সের ৬ মাস পর তানিয়া হায়দার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দাউর গ্রামের ওমর আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. ওসমান গণির সাথে দ্বিতীয় বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকে এই বাসায় সে শিশু কন্যা ও স্বামী ওসমান গণিসহ বসবাস করতে থাকেন। চাকরিজীবি মা তানিয়া হায়দার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাহিরে থাকায় শিশু কন্যা একাই বাসায় থাকে।
বাসায় একা থাকায় সৎপিতা প্রায়ই শিশু কন্যাকে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি শিশু কন্যা তার মা ও খালাকে জানায়। গত ১৪ মে সকালে শিশু কন্যার খালা গোপনে ঘরের এক কোণে ক্যামেরা চালু করে মোবাইল ফোন রেখে যায়। এরপর ওই দিন দুপুরে সৎপিতা ওসমান গনি শিশুটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাতে শিশুটির মা বাসায় এসে মোবাইল ফোনের ভিডিও চেক করে দেখতে পায় সৎপিতা ওসমান গণি শিশু কন্যাটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
বিষয়টি আশে পাশের লোকজন জানতে পেরে কৌশলে ওসমান গনিকে ডেকে এনে মারধর করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করার পর তানিয়া হায়দার বাদী হয়ে ওসমান গনিকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই মো. আতাউর রহমান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় ওই কর্মকর্তা। মামলার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আদালতে চার্জশীট দেয়নি তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতাউর রহমান। মামলার বাদী তানিয়া হায়দার জানায়, ঘটনার প্রমান থাকা সত্বেও পুলিশ আসামীর পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। গত ৬ মাসেও চার্জশীট দেয়নি পুলিশ। উল্টো মামলাটি মিমাংসা করার জন্য আমার কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান। আমি শিশু কন্যার ধর্ষণের বিচার ওসমান গণির ফাঁসি চাই। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. আতাউর রহমান জানান, মামলার চার্জশীট দ্রুতই দেয়া হবে। মিমাংসার বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে থানায় দেখা করতে বলে ফোন কেটে দেয় তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আপোষ করতে চাপ দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সিদ্ধিরগঞ্জে ধষর্ণের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬ মাস পরও চার্জশীট দেয়নি পুলিশ। ধর্ষক জেলে আটক এবং ঘটনার সব প্রমাণ পাওয়ার পরও পুলিশ চার্জশিট দিতে গড়িমসি করছে বলে মামলার বাদী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। সিদ্ধিরগঞ্জের সি আই খোলা এলাকায় সৎপিতা ওসমান গণি কর্তৃক নিজ ঘরে ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় গত ১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা তানিয়া হায়দার। সে সময় এলাকাবাসী ধর্ষক সৎপিতা ওসমান গনিকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করে। আসামীর পক্ষ নিয়ে মামলাটি আপোষ মিমাংসা করার উপায় খঁজুতেই চার্জশীট না দেয়ার অভিযোগ মামলার বাদী তানিয়া হায়দারের।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সি আই খোলা এলাকায় চাকুরিজীবি তানিয়া হায়দার তার ৬ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্সের ৬ মাস পর তানিয়া হায়দার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দাউর গ্রামের ওমর আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. ওসমান গণির সাথে দ্বিতীয় বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকে এই বাসায় সে শিশু কন্যা ও স্বামী ওসমান গণিসহ বসবাস করতে থাকেন। চাকরিজীবি মা তানিয়া হায়দার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাহিরে থাকায় শিশু কন্যা একাই বাসায় থাকে।
বাসায় একা থাকায় সৎপিতা প্রায়ই শিশু কন্যাকে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি শিশু কন্যা তার মা ও খালাকে জানায়। গত ১৪ মে সকালে শিশু কন্যার খালা গোপনে ঘরের এক কোণে ক্যামেরা চালু করে মোবাইল ফোন রেখে যায়। এরপর ওই দিন দুপুরে সৎপিতা ওসমান গনি শিশুটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাতে শিশুটির মা বাসায় এসে মোবাইল ফোনের ভিডিও চেক করে দেখতে পায় সৎপিতা ওসমান গণি শিশু কন্যাটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
বিষয়টি আশে পাশের লোকজন জানতে পেরে কৌশলে ওসমান গনিকে ডেকে এনে মারধর করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করার পর তানিয়া হায়দার বাদী হয়ে ওসমান গনিকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই মো. আতাউর রহমান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় ওই কর্মকর্তা। মামলার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আদালতে চার্জশীট দেয়নি তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতাউর রহমান। মামলার বাদী তানিয়া হায়দার জানায়, ঘটনার প্রমান থাকা সত্বেও পুলিশ আসামীর পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। গত ৬ মাসেও চার্জশীট দেয়নি পুলিশ। উল্টো মামলাটি মিমাংসা করার জন্য আমার কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান। আমি শিশু কন্যার ধর্ষণের বিচার ওসমান গণির ফাঁসি চাই। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. আতাউর রহমান জানান, মামলার চার্জশীট দ্রুতই দেয়া হবে। মিমাংসার বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে থানায় দেখা করতে বলে ফোন কেটে দেয় তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান।