কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে শাহপরান (৩৫) নামে এক বখাটের অব্যাহত অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তার ভয়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, বখাটে শাহপরানের ভাই শফিউল আজম মাসুম পুলিশের এসআই পদে কর্মরত থাকায় ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কাজিয়াতল গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিয়াতল গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে শাহপরান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ফলে বখাটে শাহপরান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সে চুরি. ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামী হয়ে কয়েকবার কারাগারে ছিল। প্রায়ই তার বাড়িতে মাদকের হাট বসে। মা ও বোনের আশকরা পেয়ে সে দেদারসে অপকর্ম করে যাচ্ছে।
অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গত মঙ্গলবার ছালমা বেগম নামের এক নারী মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বখাটে শাহপরান, তার মা শরিফা বেগম ও তার ভাই শফিউল আলম মাসুমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ শেষে দোয়া কালাম পড়ার সময় বখাটে শাহপরান লাঠি হাতে নিয়ে ওই নারীর ঘরে হামলা চালায়। তখন সে ঘরের দরজা ভেঙে ছালমা বেগমের ওপর অতর্কিতে হামলা চালালে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। তার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানায়, বখাটে শাহপরানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েকজন গৃহবধু ও নারী ইতিমধ্যেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের দাপটের কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এমনকি এলাকার সর্দার ও মাতাব্বরদের নিকট বিচার দিয়েও কোনো লাভ হয়নি, উল্টো হুমকি-ধমকি শুনতে হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহপরানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শফিউল আজম মাসুম জানান, তার ভাই শাহপরান প্রকৃত পক্ষে মাদক সেবী। টাকার জন্য মাকেও কয়েকবার মারধর করেছে। ৮ বার তাকে সেন্টারে পাঠিয়েছি, কোন লাভ হয়নি। এর জন্য আমার সমাজ ও আশ-পাশের লোকজন দায়ী। দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, শাহপরানের মতো আমাদের এলাকায় আরো কয়েকজন আছে, তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। বিভিন্ন অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পাওয়া অভিযোগটির তদন্ত চলছে। প্রমানীত হলে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে শাহপরান (৩৫) নামে এক বখাটের অব্যাহত অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তার ভয়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, বখাটে শাহপরানের ভাই শফিউল আজম মাসুম পুলিশের এসআই পদে কর্মরত থাকায় ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কাজিয়াতল গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিয়াতল গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে শাহপরান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ফলে বখাটে শাহপরান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সে চুরি. ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামী হয়ে কয়েকবার কারাগারে ছিল। প্রায়ই তার বাড়িতে মাদকের হাট বসে। মা ও বোনের আশকরা পেয়ে সে দেদারসে অপকর্ম করে যাচ্ছে।
অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গত মঙ্গলবার ছালমা বেগম নামের এক নারী মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বখাটে শাহপরান, তার মা শরিফা বেগম ও তার ভাই শফিউল আলম মাসুমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ শেষে দোয়া কালাম পড়ার সময় বখাটে শাহপরান লাঠি হাতে নিয়ে ওই নারীর ঘরে হামলা চালায়। তখন সে ঘরের দরজা ভেঙে ছালমা বেগমের ওপর অতর্কিতে হামলা চালালে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। তার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানায়, বখাটে শাহপরানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েকজন গৃহবধু ও নারী ইতিমধ্যেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের দাপটের কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এমনকি এলাকার সর্দার ও মাতাব্বরদের নিকট বিচার দিয়েও কোনো লাভ হয়নি, উল্টো হুমকি-ধমকি শুনতে হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহপরানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শফিউল আজম মাসুম জানান, তার ভাই শাহপরান প্রকৃত পক্ষে মাদক সেবী। টাকার জন্য মাকেও কয়েকবার মারধর করেছে। ৮ বার তাকে সেন্টারে পাঠিয়েছি, কোন লাভ হয়নি। এর জন্য আমার সমাজ ও আশ-পাশের লোকজন দায়ী। দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, শাহপরানের মতো আমাদের এলাকায় আরো কয়েকজন আছে, তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। বিভিন্ন অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পাওয়া অভিযোগটির তদন্ত চলছে। প্রমানীত হলে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।