গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণ ‘করা হয়নি’, তিনি ‘নিজেই বাসযোগে পঞ্চগড় গিয়েছেন’ বলে বলছে পুলিশ। আর তাই তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ বলছে, তাদের তদন্তের পর এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক। এসময় উপকমিশনার জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার তাহেরুল হক বলেন, ‘ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিলো। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকেট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন।’ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমাম মুহিবুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে আছেন। ইতোমধ্যে ইমাম মুহিবউল্লাহ পুলিশের কাছে ‘প্রকৃত ঘটনা স্বীকার’ করেছেন বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার ইমামের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সকালে ইমাম মিয়াজি টিএন্ডটি বাসা থেকে হাটতে বের হয়ে পূবাইল থানাধীন মাজুখান এলাকার দিকে যেতে থাকেন। মাজুখান যাওয়ার পর ভিকটিমের মাথায় আরও এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে। ফলে মাজুখান থেকে অটোরিকশা যোগে পূবাইল থানার মীরের বাজারে গিয়ে নামেন এবং সেখান থেকে সিএনজিতে করে বাসন থানাধীন ভোগরা বাইপাস এলাকায় গিয়ে নামেন।
‘ভোগরা বাইপাস থেকে ঢাকার গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের উদ্দেশ্যে বাস যোগে পৌছান। সেখানে অবস্থানকালে পঞ্চগড় জেলায় যাওয়ার চিন্তা করে পঞ্চগড়গামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকেট কেটে বেলা দুইটায় যাত্রা শুরু করেন। তিনি বাসে উঠে তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাস্ক পরিধান করেন। বাসটি যাত্রাপথে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন পেন্টাগন হোটেলে মাগরিবের নামাজের যাত্রা বিরতি করলে তিনি বাস থেকে হোটেলে নেমে নামাজ পড়ে দ্রুত বাসে উঠেন। এক পর্যায়ে রাত ১২ টার দিকে পঞ্চগড় জেলার সর্বশেষ বাস স্টেশনে নেমে তিনি সামনের দিকে হাটতে থাকেন,’ জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গত বুধবার সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশ থেকে শিকল বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মহিবুল্লাহর ছেলে বাদি হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণ ‘করা হয়নি’, তিনি ‘নিজেই বাসযোগে পঞ্চগড় গিয়েছেন’ বলে বলছে পুলিশ। আর তাই তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ বলছে, তাদের তদন্তের পর এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক। এসময় উপকমিশনার জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার তাহেরুল হক বলেন, ‘ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিলো। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকেট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন।’ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমাম মুহিবুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে আছেন। ইতোমধ্যে ইমাম মুহিবউল্লাহ পুলিশের কাছে ‘প্রকৃত ঘটনা স্বীকার’ করেছেন বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার ইমামের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সকালে ইমাম মিয়াজি টিএন্ডটি বাসা থেকে হাটতে বের হয়ে পূবাইল থানাধীন মাজুখান এলাকার দিকে যেতে থাকেন। মাজুখান যাওয়ার পর ভিকটিমের মাথায় আরও এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে। ফলে মাজুখান থেকে অটোরিকশা যোগে পূবাইল থানার মীরের বাজারে গিয়ে নামেন এবং সেখান থেকে সিএনজিতে করে বাসন থানাধীন ভোগরা বাইপাস এলাকায় গিয়ে নামেন।
‘ভোগরা বাইপাস থেকে ঢাকার গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের উদ্দেশ্যে বাস যোগে পৌছান। সেখানে অবস্থানকালে পঞ্চগড় জেলায় যাওয়ার চিন্তা করে পঞ্চগড়গামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকেট কেটে বেলা দুইটায় যাত্রা শুরু করেন। তিনি বাসে উঠে তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাস্ক পরিধান করেন। বাসটি যাত্রাপথে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন পেন্টাগন হোটেলে মাগরিবের নামাজের যাত্রা বিরতি করলে তিনি বাস থেকে হোটেলে নেমে নামাজ পড়ে দ্রুত বাসে উঠেন। এক পর্যায়ে রাত ১২ টার দিকে পঞ্চগড় জেলার সর্বশেষ বাস স্টেশনে নেমে তিনি সামনের দিকে হাটতে থাকেন,’ জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গত বুধবার সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশ থেকে শিকল বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মহিবুল্লাহর ছেলে বাদি হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।