ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্র, ঢাল ও হেলমেটসহ হামলার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, রোববার বিকাল ৪টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। যদিও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবুও প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এই বিরোধের সমাধানে রোববার বিকালে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মুরুব্বি ও সালিশকারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে শালিস চলাকালীন দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এরপর ছোট হামিরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি এলাকার লোকজনও দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা হেলমেট পরিধান করে, ঢাল, সড়কি, কালি, কাতরা, টেঁটা এবং ইট ব্যবহার করে একে অপরের ওপর আক্রমণ চালায়।
এই ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রামবাসীকে শান্ত করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় আমরা পিছু হটেছিলাম।” তিনি আরও জানান, “পরবর্তী সময়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেরিতে তৎপরতার কারণে সংঘর্ষকারীরা একাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে এবং দামি জিনিসপত্র লুট করেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্র, ঢাল ও হেলমেটসহ হামলার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, রোববার বিকাল ৪টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। যদিও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবুও প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এই বিরোধের সমাধানে রোববার বিকালে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মুরুব্বি ও সালিশকারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে শালিস চলাকালীন দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এরপর ছোট হামিরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি এলাকার লোকজনও দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা হেলমেট পরিধান করে, ঢাল, সড়কি, কালি, কাতরা, টেঁটা এবং ইট ব্যবহার করে একে অপরের ওপর আক্রমণ চালায়।
এই ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রামবাসীকে শান্ত করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় আমরা পিছু হটেছিলাম।” তিনি আরও জানান, “পরবর্তী সময়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেরিতে তৎপরতার কারণে সংঘর্ষকারীরা একাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে এবং দামি জিনিসপত্র লুট করেছে।