স্থানীয় যুবক বিল্লালের বড়শিতে ধরা ১৬ কেজি ওজনের এই পাঙাস মাছ -সংবাদ
যশোরের শার্শা সীমান্তের ইছামতী নদী। উপজেলার অগ্রভুলোট গ্রামের দুই যুবক- বিল্লাল হোসেন (২৫) ও আব্দুর রহিম (২২) প্রতিদিনই নদীতে যান মাছ ধরতে। তাদের জীবনে রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) ঘটে গেলো চমকপ্রদ ও স্মরণীয় ঘটনা।
নদীপাড়েই ক্রেতারা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে মাছটি কিনে ভাগ করে নেন
এক মাছেই বিক্রেতার পকেটে ঢোকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা
রোববার,ও বড়শি হাতে তারা ইছামতী নদীতে যান। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিল্লালের হুইল বড়শিতে হঠাৎ তীব্র টান অনুভূত হয়। শুরু হয় রোমাঞ্চকর এক লড়াই মাছের সঙ্গে মানুষের। প্রায় ২০ মিনিট খেলিয়ে খেলিয়ে অবশেষে তিনজনের সহযোগিতায় মাছটি পাড়ে (তীরে) তোলা হয়।
বড়শিতে বিশাল পাঙাস মাছ! তিনজনেও ধরে রাখা দায়। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, নদী পাড়ে তখন যেন ছোট-খাটো উৎসবের আমেজ। স্থানীয়রা ছুটে আসে বিশাল মাছটি দেখতে। কেউ বলেন ২০ কেজি, কেউ বলেন ১৮ কেজি। ওজন নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত ভুলোট গ্রামের শিপন হোসেনের দোকানে ওজন করে দেখা যায়, মাছটির ওজন ১৬ কেজি।
পরে উপস্থিত ক্রেতারা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে মাছটি কেটে ভাগ করে নেন। তাতে এক মাছেই তাদের পকেটে আসে ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
মাছ ধরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিনই বড়শি নিয়ে ইছামতীতে যাই। কিন্তু এতবড় মাছ এই প্রথম পেয়েছি। এ বছর নদীতে মাছ বেশ ভালো ধরা পড়ছে।
শার্শা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা বলেন, নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা আইনসঙ্গত। এমন বড় পাঙাস সাধারণত উজানের পানিতে ভারতের দিক থেকে ভেসে আসে। স্থানীয় খামার বা পুকুরে এতবড় মাছ সাধারণত চাষ হয় না।
ইছামতি নদীতে এ ধরনের বড় মাছ ধরা পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, অনেক বছর পর নদীতে এমন বড় মাছ দেখা গেল, যা এক সময়ের প্রাণবন্ত ইছামতীর পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
স্থানীয় যুবক বিল্লালের বড়শিতে ধরা ১৬ কেজি ওজনের এই পাঙাস মাছ -সংবাদ
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
যশোরের শার্শা সীমান্তের ইছামতী নদী। উপজেলার অগ্রভুলোট গ্রামের দুই যুবক- বিল্লাল হোসেন (২৫) ও আব্দুর রহিম (২২) প্রতিদিনই নদীতে যান মাছ ধরতে। তাদের জীবনে রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) ঘটে গেলো চমকপ্রদ ও স্মরণীয় ঘটনা।
নদীপাড়েই ক্রেতারা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে মাছটি কিনে ভাগ করে নেন
এক মাছেই বিক্রেতার পকেটে ঢোকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা
রোববার,ও বড়শি হাতে তারা ইছামতী নদীতে যান। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিল্লালের হুইল বড়শিতে হঠাৎ তীব্র টান অনুভূত হয়। শুরু হয় রোমাঞ্চকর এক লড়াই মাছের সঙ্গে মানুষের। প্রায় ২০ মিনিট খেলিয়ে খেলিয়ে অবশেষে তিনজনের সহযোগিতায় মাছটি পাড়ে (তীরে) তোলা হয়।
বড়শিতে বিশাল পাঙাস মাছ! তিনজনেও ধরে রাখা দায়। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, নদী পাড়ে তখন যেন ছোট-খাটো উৎসবের আমেজ। স্থানীয়রা ছুটে আসে বিশাল মাছটি দেখতে। কেউ বলেন ২০ কেজি, কেউ বলেন ১৮ কেজি। ওজন নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত ভুলোট গ্রামের শিপন হোসেনের দোকানে ওজন করে দেখা যায়, মাছটির ওজন ১৬ কেজি।
পরে উপস্থিত ক্রেতারা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে মাছটি কেটে ভাগ করে নেন। তাতে এক মাছেই তাদের পকেটে আসে ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
মাছ ধরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিনই বড়শি নিয়ে ইছামতীতে যাই। কিন্তু এতবড় মাছ এই প্রথম পেয়েছি। এ বছর নদীতে মাছ বেশ ভালো ধরা পড়ছে।
শার্শা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা বলেন, নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা আইনসঙ্গত। এমন বড় পাঙাস সাধারণত উজানের পানিতে ভারতের দিক থেকে ভেসে আসে। স্থানীয় খামার বা পুকুরে এতবড় মাছ সাধারণত চাষ হয় না।
ইছামতি নদীতে এ ধরনের বড় মাছ ধরা পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, অনেক বছর পর নদীতে এমন বড় মাছ দেখা গেল, যা এক সময়ের প্রাণবন্ত ইছামতীর পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।