alt

পাহাড়ে বছরে ১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায়: এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে বছরে ১০০০-১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় বলে জানিয়েছে সাবেক সেনা সদস্যদের সংগঠন এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘অশান্ত পাহাড় সার্বভৌমত্বে হুমকি! জাতীয় নিরাপত্তায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ এ তথ্য জানান।

সেমিনারের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশনে সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হওয়ার কারণগুলো হলো- পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম, পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্যের লড়াই, গুজব ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার, প্রবাসী পাহাড়িদের দ্বারা বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন, উপজাতি নেতাদের বিভিন্ন এনজিও, আইএনজিও এবং বিদেশি কূটনৈতিকদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ, বাঙালি ও উপজাতিদের মধ্যে বৈষম্য, বাঙালিদের অধিকারের অবমূল্যায়ন, বিদেশি সশস্ত্র গ্রুপ বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পাহাড়ি গ্রুপগুলোর যোগাযোগ, পার্শ্ববর্তী দেশের প্ররোচনা ও মদদ, সেনাবাহিনী ক্যাম্প প্রত্যাহার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল অশান্ত হওয়ার জন্য সন্তু লারমা, প্রসিত বিকাশ খীসা, নাথান বম, ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, ইয়েন ইয়েন ও মাইকেল চাকমা এবং তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জেএসএস এবং ইউপিডিএফের মধ্যে ৯৬ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই এক বছরে সংঘর্ষে পাহাড়ে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়া ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ইউপিডিএফ (প্রসিত) এবং জেএসএস (সন্তু লারমা)-এর মধ্যে ২১ হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে।

পাহাড়ে বছরে এক হাজার থেকে ১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির টাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিলাসী জীবন যাপন করে। এরমধ্যে জেএসএস (সন্তু) বছরে ৪৫০ কোটি টাকা, ইউপিডিএফ (প্রসিতের) ৩৫০ কোটি টাকা, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ১৫০ কোটি টাকা, জেএসএস (সংস্কার) ১৫০ কোটি টাকা, এমএনপি ৫০ কোটি টাকা এবং কেএনএফ ৫০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। পাহাড়ে কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ঘর পোড়ানো, অপহরণ, হত্যা, গুম করা হয়। এই চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হয় না।

সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করলেও ৬টি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। যেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে রয়েছে, সেখানে আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচন ও ক্ষমতার চেয়ারে বসা নিয়ে ব্যস্ত।

সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ফেরাতে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবিও জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- সশস্ত্র গোষ্ঠীকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহিত করা; শান্তিচুক্তি রিভিউ করা; ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, ইয়েন ইয়েন, প্রসিত বিকাশ খীসা, নাথান বম, সন্তু লারমাসহ অন্যদের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইনের আওতায় আনা; পাহাড়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্প এবং বিজিবির বিওপি বাড়ানো; সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বিশেষ করে হিল ঝুঁকি ভাতা দ্বিগুণ করা; পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙ্গামাটিতে আধুনিক মানের চিকিৎসাসেবা সম্বলিত সিএমএইচ স্থাপন করা; সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল জোরদার করা; পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি দূরদর্শী পরিকল্পনা করা; বাঙালিদের পাহাড়ে সমঅধিকার নিশ্চিত করা; উপজাতিরা পাহাড়ে জায়গা কিনতে পারলে বাঙালিরা কেন পাহাড়ে জায়গা কিনতে পারবে না, তাদেরও পাহাড়ে জায়গা কিনতে দিতে হবে; উপজাতিদেরও আয়কর দিতে হবে; বিদেশের মাটিতে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

সেমিনারে জনতার দলের মুখপাত্র ডেল এইচ খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অস্থিরতা কেবল একটি স্থানীয় প্রশাসনিক সংকট নয়; এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের এক গভীর পরীক্ষা।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে পাহাড়ের সমস্যাকে শুধুই ‘সামরিক সমস্যা’ হিসেবে দেখছি। এটা এক ধরনের কৌশলগত ভুল।

বাস্তবে এটি একটি জ্বলজ্যান্ত রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভূরাজনৈতিক সমস্যা। সামরিক পদক্ষেপ দিয়ে হয়তো বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ দমানো যায়, কিন্তু রাজনৈতিক ও সামাজিক অসন্তোষের সব কারণ কিন্তু মুছে ফেলা যায় না। এর ফলে সমস্যাগুলো থেকেই যায় আর কিছুদিন পরপর বারবার ফিরে আসে নতুন নামে, নতুন রূপে।

গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্তিরতা কমাতে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প নয়, প্রয়োজন স্থায়ী ক্যান্টনমেন্ট। রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মিলিতিভাবে এই আওয়াজ তুলতে হবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিএইচটি সম্প্রসারণ জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোইয়া চিং মং শক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকনুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) আতিক প্রমুখ।

ছবি

শার্শায় ইছামতীতে বড়শিতেই ওঠে এলো ১৬ কেজির পাঙাস

জকিগঞ্জে স্থাপনা ভাঙচুর: স্থানীয়দের প্রতিরোধে পিছু হটলো বিএসএফ

ছবি

জমি বিরোধে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গ্রাম সংঘর্ষে ২৫ জন আহত

ছবি

উলিপুরে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে দিনভর অপেক্ষা করে ফিরে গেলেন পরীক্ষার্থীরা

ছবি

শেরপুরে মাদকসেবীর তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ

ছবি

যশোরে নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে জখম

ছবি

সিরাজদিখানে সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময়

ছবি

দুবাই থেকে দেশে ফিরে সিলেটে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রামের রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ৫৭ মামলা

ছবি

বাগাতিপাড়ায় নিখোঁজ তাওহিদা জীম ৩ সপ্তাহেও মেলেনি সন্ধান

ছবি

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানিতে ভাঙল শিবগঞ্জের কালভার্ট

ছবি

শেরপুরে টানা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

ছবি

ঘরে তোলার আগেই নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ধান

ছবি

লালপুরে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

নাসিরনগরে প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি

ছবি

দুমকিতে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা

ছবি

‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর

ছবি

ডুবলো ফসল দিশেহারা কৃষক

ছবি

মহাদেবপুরে ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর না করায় সভাপতিকেই বাদ দিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

ছবি

মানিকগঞ্জ টিআরইউর সভাপতি খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক লিটন

ছবি

ডিমলায় কয়েক দিনের দমকা ঝড়ো বৃষ্টিতে আমন ধানসহ শীতকালীন শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষতি

ছবি

ভালুকায় ফসলের ক্ষতিপূরণ দাবিতে কৃষকের মানববন্ধন

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে লোকজ সংস্কৃতি

ছবি

বড়াল নদীতে খেওয়া জাল উৎসবে মেতেছে স্থানীয়রা

ছবি

গলাচিপার টেলিফোন একচেঞ্জ ভবনটি এখন ভূতুড়ে বাড়ি

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু

ছবি

ডালিয়া পাউবোর নাকের ডগায় অবৈধ পাথর উত্তোলন

ছবি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গনের নতুন আতঙ্ক

ছবি

দশমিনায় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে আপেল কূল

ছবি

সাংসারেক ঐতিহ্যের খক মান্দি বৈচিত্র্যময় জীবনধারায় অনন্য

ছবি

চোর সন্দেহে হত্যা ১, আটক ১

ছবি

দুবলার চরে রাস উৎসবে যেতে পারবেন না পর্যটকরা, কঠোর অবস্থানে বনবিভাগ

ছবি

সন্ধ্যা নামলেই জ্বলে ওঠে সড়কবাতি আলোকিত হয়ে ওঠে চান্দপুর গ্রাম

ছবি

উত্তরে বৃষ্টির ছোবল : শীতকালীন ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কা

ছবি

নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

ছবি

বরগুনার কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে হতাশ পান চাষিরা

tab

পাহাড়ে বছরে ১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায়: এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে বছরে ১০০০-১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় বলে জানিয়েছে সাবেক সেনা সদস্যদের সংগঠন এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘অশান্ত পাহাড় সার্বভৌমত্বে হুমকি! জাতীয় নিরাপত্তায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ এ তথ্য জানান।

সেমিনারের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশনে সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হওয়ার কারণগুলো হলো- পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম, পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্যের লড়াই, গুজব ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার, প্রবাসী পাহাড়িদের দ্বারা বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন, উপজাতি নেতাদের বিভিন্ন এনজিও, আইএনজিও এবং বিদেশি কূটনৈতিকদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ, বাঙালি ও উপজাতিদের মধ্যে বৈষম্য, বাঙালিদের অধিকারের অবমূল্যায়ন, বিদেশি সশস্ত্র গ্রুপ বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পাহাড়ি গ্রুপগুলোর যোগাযোগ, পার্শ্ববর্তী দেশের প্ররোচনা ও মদদ, সেনাবাহিনী ক্যাম্প প্রত্যাহার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল অশান্ত হওয়ার জন্য সন্তু লারমা, প্রসিত বিকাশ খীসা, নাথান বম, ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, ইয়েন ইয়েন ও মাইকেল চাকমা এবং তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জেএসএস এবং ইউপিডিএফের মধ্যে ৯৬ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই এক বছরে সংঘর্ষে পাহাড়ে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়া ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ইউপিডিএফ (প্রসিত) এবং জেএসএস (সন্তু লারমা)-এর মধ্যে ২১ হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে।

পাহাড়ে বছরে এক হাজার থেকে ১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির টাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিলাসী জীবন যাপন করে। এরমধ্যে জেএসএস (সন্তু) বছরে ৪৫০ কোটি টাকা, ইউপিডিএফ (প্রসিতের) ৩৫০ কোটি টাকা, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ১৫০ কোটি টাকা, জেএসএস (সংস্কার) ১৫০ কোটি টাকা, এমএনপি ৫০ কোটি টাকা এবং কেএনএফ ৫০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। পাহাড়ে কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ঘর পোড়ানো, অপহরণ, হত্যা, গুম করা হয়। এই চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হয় না।

সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করলেও ৬টি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। যেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে রয়েছে, সেখানে আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচন ও ক্ষমতার চেয়ারে বসা নিয়ে ব্যস্ত।

সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ফেরাতে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবিও জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- সশস্ত্র গোষ্ঠীকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহিত করা; শান্তিচুক্তি রিভিউ করা; ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, ইয়েন ইয়েন, প্রসিত বিকাশ খীসা, নাথান বম, সন্তু লারমাসহ অন্যদের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইনের আওতায় আনা; পাহাড়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্প এবং বিজিবির বিওপি বাড়ানো; সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বিশেষ করে হিল ঝুঁকি ভাতা দ্বিগুণ করা; পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙ্গামাটিতে আধুনিক মানের চিকিৎসাসেবা সম্বলিত সিএমএইচ স্থাপন করা; সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল জোরদার করা; পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি দূরদর্শী পরিকল্পনা করা; বাঙালিদের পাহাড়ে সমঅধিকার নিশ্চিত করা; উপজাতিরা পাহাড়ে জায়গা কিনতে পারলে বাঙালিরা কেন পাহাড়ে জায়গা কিনতে পারবে না, তাদেরও পাহাড়ে জায়গা কিনতে দিতে হবে; উপজাতিদেরও আয়কর দিতে হবে; বিদেশের মাটিতে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

সেমিনারে জনতার দলের মুখপাত্র ডেল এইচ খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অস্থিরতা কেবল একটি স্থানীয় প্রশাসনিক সংকট নয়; এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের এক গভীর পরীক্ষা।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে পাহাড়ের সমস্যাকে শুধুই ‘সামরিক সমস্যা’ হিসেবে দেখছি। এটা এক ধরনের কৌশলগত ভুল।

বাস্তবে এটি একটি জ্বলজ্যান্ত রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভূরাজনৈতিক সমস্যা। সামরিক পদক্ষেপ দিয়ে হয়তো বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ দমানো যায়, কিন্তু রাজনৈতিক ও সামাজিক অসন্তোষের সব কারণ কিন্তু মুছে ফেলা যায় না। এর ফলে সমস্যাগুলো থেকেই যায় আর কিছুদিন পরপর বারবার ফিরে আসে নতুন নামে, নতুন রূপে।

গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্তিরতা কমাতে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প নয়, প্রয়োজন স্থায়ী ক্যান্টনমেন্ট। রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মিলিতিভাবে এই আওয়াজ তুলতে হবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিএইচটি সম্প্রসারণ জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোইয়া চিং মং শক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকনুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) আতিক প্রমুখ।

back to top