নরসিংদী সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাতপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন দুর্গম চরাঞ্চল চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। টেঁটাবিদ্ধরা হলেন- চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর গ্রামের মৃত লেদু মেম্বারের ছেলে আকতার (৬০), তার ছেলে আমিনুল (৩৫) এবং আকতারের ছোট ভাই জামাল (৫৫)। এরা সবাই শহিদ মেম্বারের সমর্থক বলে জানা যায়।
মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীপথের করিমপুর (শ্রীনগর)-জিতরামপুর খেয়া পারাপারের ভাড়া ১০ টাকা আদায় করা হতো। গত কয়েক মাস ধরে হঠাৎ ১০ টাকার স্থলে অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। গত সোমবার ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হলে খেয়া ঘাট বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার, সকালে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষের লোকজন। এতে তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জন নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত জামাল মিয়ার স্বজনরা জানান, খেয়া পারাপারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে প্রতিবাদ করায় চাঁন মিয়া ও তার ভাইয়েরা মিলে স্থানীয় ওহাব মিয়া (৭০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দীর্ঘ একমাস ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওহাব মিয়া বাড়ি ফিরে আসেন। মঙ্গলবার, এ নিয়ে পুনরায় চাঁন মিয়া ও তার সহযোগিরা শহিদ মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, জেলা পরিষদ কর্তৃক খেয়া পারাপারের ইজারার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও তারা গত কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ার কারণে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে।
সংঘর্ষের আগে পুলিশের বড় এক কর্মকর্তা এসে তাদেরকে বুঝায়। পুলিশ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কামারের দোকানে কোরআন শরীফ পড়ে লাভ নেই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
নরসিংদী সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাতপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন দুর্গম চরাঞ্চল চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। টেঁটাবিদ্ধরা হলেন- চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর গ্রামের মৃত লেদু মেম্বারের ছেলে আকতার (৬০), তার ছেলে আমিনুল (৩৫) এবং আকতারের ছোট ভাই জামাল (৫৫)। এরা সবাই শহিদ মেম্বারের সমর্থক বলে জানা যায়।
মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীপথের করিমপুর (শ্রীনগর)-জিতরামপুর খেয়া পারাপারের ভাড়া ১০ টাকা আদায় করা হতো। গত কয়েক মাস ধরে হঠাৎ ১০ টাকার স্থলে অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। গত সোমবার ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হলে খেয়া ঘাট বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার, সকালে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষের লোকজন। এতে তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জন নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত জামাল মিয়ার স্বজনরা জানান, খেয়া পারাপারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে প্রতিবাদ করায় চাঁন মিয়া ও তার ভাইয়েরা মিলে স্থানীয় ওহাব মিয়া (৭০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দীর্ঘ একমাস ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওহাব মিয়া বাড়ি ফিরে আসেন। মঙ্গলবার, এ নিয়ে পুনরায় চাঁন মিয়া ও তার সহযোগিরা শহিদ মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, জেলা পরিষদ কর্তৃক খেয়া পারাপারের ইজারার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও তারা গত কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ার কারণে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে।
সংঘর্ষের আগে পুলিশের বড় এক কর্মকর্তা এসে তাদেরকে বুঝায়। পুলিশ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কামারের দোকানে কোরআন শরীফ পড়ে লাভ নেই।