ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাগেরহাটের শরণখোলায় জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরু জবাই করে বাজারে বিক্রি করেছে মাংস ব্যবসায়ী আল আমিন কসাই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবসী আল আমিনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অসুস্থ গরুর মাংস উদ্ধার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আল আমিন পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত আল আমিন এর আগেও দুইবার মৃত পশুর মাংস বিক্রির অপরাধে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে উওর তাফালবাড়ির রনি একটি অসুস্থ গরু নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসেন। পরিদর্শনে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে গরুটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত। অফিস থেকে গরুটি আলাদা রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জানতে পারে রনি জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরুটি পাঁচ হাজার টাকায় কসাই আল আলামিনের কাছে বিক্রি করেছে।
আল আমিন গরুটি জবাই করে কতেক মাংস ফ্রিজে রেখে বাকিটা বাজারে বিক্রি করেছে এমন খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিনের বাড়ির গর্তে পুঁতে রাখা এবং পাশের বাড়ির ফ্রিজ থেকে জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরুর মাংস উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়। শরণখোলা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে বিপুল পরিমান অসুস্থ গরুর মাংস জব্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগির তালুকদার অভিযোগ করেন, কসাই আল আমিন প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত ও অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে। আগেও এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হলেও তাকে থামানো যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মাংস ব্যবসায়ী আল আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং জব্দ মাংস দ্রুত ধ্বংস করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলায় জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরু জবাই করে বাজারে বিক্রি করেছে মাংস ব্যবসায়ী আল আমিন কসাই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবসী আল আমিনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অসুস্থ গরুর মাংস উদ্ধার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আল আমিন পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত আল আমিন এর আগেও দুইবার মৃত পশুর মাংস বিক্রির অপরাধে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে উওর তাফালবাড়ির রনি একটি অসুস্থ গরু নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসেন। পরিদর্শনে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে গরুটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত। অফিস থেকে গরুটি আলাদা রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জানতে পারে রনি জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরুটি পাঁচ হাজার টাকায় কসাই আল আলামিনের কাছে বিক্রি করেছে।
আল আমিন গরুটি জবাই করে কতেক মাংস ফ্রিজে রেখে বাকিটা বাজারে বিক্রি করেছে এমন খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিনের বাড়ির গর্তে পুঁতে রাখা এবং পাশের বাড়ির ফ্রিজ থেকে জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরুর মাংস উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়। শরণখোলা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে বিপুল পরিমান অসুস্থ গরুর মাংস জব্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগির তালুকদার অভিযোগ করেন, কসাই আল আমিন প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত ও অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে। আগেও এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হলেও তাকে থামানো যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মাংস ব্যবসায়ী আল আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং জব্দ মাংস দ্রুত ধ্বংস করা হবে।