ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম শিউলি আক্তার (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাকালদি গ্রামে তার বাবার বাড়ির পাশের একটি
টিনসেড ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিউলি আক্তার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাকালদি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরও শিউলি বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিতে গিয়ে পাশের টিনসেড ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে পরিবারের লোকজন শিউলিকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পান। পরে তাদের ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দরজা ভেঙে মরদেহ নিচে নামায়। পরে সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায়। শিউলির বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন,আমার মেয়ের স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকায় প্রায় তিন বছর ধরে সে আমাদের বাড়িতেই থাকছে। বাড়িতে পর্যাপ্ত থাকার জায়গা না থাকায় মাঝে মাঝে পাশের চাচার বাড়িতে রাত কাটাতো।
তিনি আরো বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে কোনো এক সময়ে শিউলি পাশের ওই টিনসেড ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম শিউলি আক্তার (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাকালদি গ্রামে তার বাবার বাড়ির পাশের একটি
টিনসেড ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিউলি আক্তার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাকালদি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরও শিউলি বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিতে গিয়ে পাশের টিনসেড ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে পরিবারের লোকজন শিউলিকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পান। পরে তাদের ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দরজা ভেঙে মরদেহ নিচে নামায়। পরে সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায়। শিউলির বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন,আমার মেয়ের স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকায় প্রায় তিন বছর ধরে সে আমাদের বাড়িতেই থাকছে। বাড়িতে পর্যাপ্ত থাকার জায়গা না থাকায় মাঝে মাঝে পাশের চাচার বাড়িতে রাত কাটাতো।
তিনি আরো বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে কোনো এক সময়ে শিউলি পাশের ওই টিনসেড ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।