কিশোরগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। করিমগঞ্জ থানার সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় করিমগঞ্জ বাজারের মোরগ মহাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল, আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম সিরাজীর নামে জুলাই আন্দোলনে হামলার মামলা রয়েছে। অন্যদের নামে কোনো মামলা নেই বলে জানা গেছে। এদিকে এ গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও বিপুল পরিমাণ আওয়ামী লীগের সমর্থকরা থানার সামনে ভিড় জমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এ আশঙ্কায় রাতেই তাদেরকে পুলিশ ভ্যানে করে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। প্রিজনভ্যানে তোলার সময় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে নেতাদের মুক্তির দাবি জানান উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এসময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসুচিকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনাকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই গ্রেপ্তারকৃতদেরকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার তাদেরকে কোর্টে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর ইকবাল জানান, জুলাই আন্দোলনে হামলা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইটনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল কলেজ মাঠ এলাকা থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা বদরুল ইসলাম বিলাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে রশিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা ও রতন মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। করিমগঞ্জ থানার সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় করিমগঞ্জ বাজারের মোরগ মহাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল, আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম সিরাজীর নামে জুলাই আন্দোলনে হামলার মামলা রয়েছে। অন্যদের নামে কোনো মামলা নেই বলে জানা গেছে। এদিকে এ গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও বিপুল পরিমাণ আওয়ামী লীগের সমর্থকরা থানার সামনে ভিড় জমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এ আশঙ্কায় রাতেই তাদেরকে পুলিশ ভ্যানে করে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। প্রিজনভ্যানে তোলার সময় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে নেতাদের মুক্তির দাবি জানান উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এসময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসুচিকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনাকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই গ্রেপ্তারকৃতদেরকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার তাদেরকে কোর্টে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর ইকবাল জানান, জুলাই আন্দোলনে হামলা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইটনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল কলেজ মাঠ এলাকা থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা বদরুল ইসলাম বিলাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে রশিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা ও রতন মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।