alt

নড়বড়ে সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার

প্রতিনিধি, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : পুঁইবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নড়বড়ে বাঁশ কাঠের সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে আসছে -সংবাদ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল গ্রামে অবস্থিত পুঁইবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়া এখন যেন এক দুঃস্বপ্নের যাত্রা।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ও ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হওয়া এই বিদ্যালয়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করে আসছেন। তবে এসব শিশুর শিক্ষার পথে সবচেয়ে বড় বাধা একটি নড়বড়ে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো, যেটি পার হতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে রয়েছে বড় একটি জলাশয়। সেই জলাশয়ের ওপরই তৈরি করা হয়েছে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো। উপরে কচুরিপানা জমে থাকায় নিচের গভীরতা বোঝা যায় না। হাঁটলেই সাঁকো কাঁপে, তক্তাগুলো নড়বড়ে যে কোনো মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে। এই বিপজ্জনক সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে ১২০ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষকসহ দুই পাড়ের শত শত মানুষ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ২০ হাজার টাকা সহায়তা, বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড এবং স্থানীয়দের অবদান মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। তবে বর্ষার পানি ও ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে মাত্র কয়েক মাসেই তা নাজুক হয়ে পড়েছে।

৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথি খাতুন জানায়, সাঁকোতে হাঁটলে কাঁপে। খুব ভয় লাগে। কিন্তু স্কুল তো যেতেই হবে।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলে, বাতাস এলেই সাঁকো দুলতে থাকে। মনে হয় পড়ে যাব। বৃষ্টি হলে আরও ভয় লাগে।

এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁকোর নিচে পানি অনেক গভীর। কচুরিপানায় কিছু দেখা যায় না। বাচ্চারা পড়ে গেলে কোথায় যাবে কে জানে! স্থায়ী সেতু তৈরি ছাড়া উপায় নেই।

স্থানীয় গৃহবধূ সেলিনা বেগম বলেন, বাচ্চা স্কুলে গেলে সাঁকো পার না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকি। প্রতিদিনই মনে হয় পানিতে পড়ে যাবে।

প্রধান শিক্ষিকা মোছা. ফাতেমা খাতুন জানান, একদিন একসঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থী উঠতেই সাঁকো এমনভাবে কেঁপেছিল যে ভেবেছিলাম ভেঙে পড়বে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থায়ী সেতু ছাড়া শিক্ষার মান স্বাভাবিক রাখা কঠিন।

ভাঙ্গুড়া সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। স্থায়ী সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হবে।

বিদ্যালয়ের ১২০ শিশুর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্থায়ী সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপেই থামতে পারে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা।

ছবি

সাদুল্লাপুরে বিনামূল্যে হুইলচেয়ার ও ছাগল বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ

ছবি

নারায়ণগঞ্জে থামিয়ে রাখা বাসে আগুন

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়কে দেড় শতাধিক গর্ত

ছবি

পাখির কলধ্বনিতে মুখর গলাচিপার চরাঞ্চল

ছবি

ঘোড়াশালে ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

ছবি

গাজীপুরে রেড ক্রিসেন্টের নির্বাচন: বহুল পরিচিত মৃতরাও ভোটার

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে আরকান আর্মির সদস্য সন্দেহে একজন গ্রেপ্তার, ‘মাদকচক্রে জড়িত’ থাকার অভিযোগ

ছবি

শেরপুরে আমন ধানের পর আলু চাষে চিন্তা কৃষকের

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ

ছবি

কলারোয়ায় ইউএনও’র বিদায় সংবর্ধনা

ছবি

হাটহাজারীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

কেশবপুরে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরিতে বিপাকে কৃষক

ছবি

লালপুরে নারী প্রলোভনে চাঁদা আদায়, চক্রের দুই প্রতারক গ্রেপ্তার

বাগেরহাটে নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

নবীনগর প্রাত:ভ্রমণ এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ছবি

রায়গঞ্জে ফিস্টুলা রোগী সনাক্তকরণ সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটে খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ডের অভিযোগ

ছবি

সিলেটে ১৩ গাড়ি পুড়ে ছাঁই

ছবি

গাজনার বিলপাবনার শস্যভান্ডারে জলাবদ্ধতা পেঁয়াজ চাষে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ছবি

সিরাজগঞ্জের জেলে পরিবারের সব খরচই যেন যমুনা নদীর দান

ছবি

সিংগাইরে ইসলামী ব্যাংক শাখায় অগ্নিকা-, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব, নেই পিঠাপুলির ধুম

ছবি

ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন

ছবি

সোনালি ধানের ঢেউয়ে নবান্ন উৎসব

ছবি

গজারিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে লোকবল সংকট

ছবি

বাগেরহাটে বিদ্যুতায়িত হয়ে শ্রমিক নিহত

ছবি

গজারিয়ায় মৃত্তিকার গুনাগুন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

চকরিয়ার মানিকপুরে তিনটি পরিবেশবান্ধব ঝিকঝাক ইটভাটা উচ্ছেদ

ছবি

জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধনে টানা পঞ্চমবারের মতো শীর্ষে দুমকি উপজেলা

ছবি

বোয়ালখালীতে কৃষকের গরু চুরি

ছবি

কাজিপুরে ‘যমুনা’ উপজেলা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি

নলছিটিতে প্রতিপক্ষের হুমকিতে আতঙ্কে প্রবাসীর পরিবার

ছবি

সাদুল্লাপুরে নানা দুর্নীতির দায়ে মাদরাসা সুপারের অপসারণ দাবি

ছবি

ঈশ্বরদীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬ ঘণ্টা ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

tab

নড়বড়ে সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার

প্রতিনিধি, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : পুঁইবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নড়বড়ে বাঁশ কাঠের সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে আসছে -সংবাদ

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল গ্রামে অবস্থিত পুঁইবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়া এখন যেন এক দুঃস্বপ্নের যাত্রা।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ও ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হওয়া এই বিদ্যালয়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করে আসছেন। তবে এসব শিশুর শিক্ষার পথে সবচেয়ে বড় বাধা একটি নড়বড়ে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো, যেটি পার হতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে রয়েছে বড় একটি জলাশয়। সেই জলাশয়ের ওপরই তৈরি করা হয়েছে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো। উপরে কচুরিপানা জমে থাকায় নিচের গভীরতা বোঝা যায় না। হাঁটলেই সাঁকো কাঁপে, তক্তাগুলো নড়বড়ে যে কোনো মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে। এই বিপজ্জনক সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে ১২০ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষকসহ দুই পাড়ের শত শত মানুষ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ২০ হাজার টাকা সহায়তা, বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড এবং স্থানীয়দের অবদান মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। তবে বর্ষার পানি ও ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে মাত্র কয়েক মাসেই তা নাজুক হয়ে পড়েছে।

৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথি খাতুন জানায়, সাঁকোতে হাঁটলে কাঁপে। খুব ভয় লাগে। কিন্তু স্কুল তো যেতেই হবে।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলে, বাতাস এলেই সাঁকো দুলতে থাকে। মনে হয় পড়ে যাব। বৃষ্টি হলে আরও ভয় লাগে।

এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁকোর নিচে পানি অনেক গভীর। কচুরিপানায় কিছু দেখা যায় না। বাচ্চারা পড়ে গেলে কোথায় যাবে কে জানে! স্থায়ী সেতু তৈরি ছাড়া উপায় নেই।

স্থানীয় গৃহবধূ সেলিনা বেগম বলেন, বাচ্চা স্কুলে গেলে সাঁকো পার না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকি। প্রতিদিনই মনে হয় পানিতে পড়ে যাবে।

প্রধান শিক্ষিকা মোছা. ফাতেমা খাতুন জানান, একদিন একসঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থী উঠতেই সাঁকো এমনভাবে কেঁপেছিল যে ভেবেছিলাম ভেঙে পড়বে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থায়ী সেতু ছাড়া শিক্ষার মান স্বাভাবিক রাখা কঠিন।

ভাঙ্গুড়া সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। স্থায়ী সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হবে।

বিদ্যালয়ের ১২০ শিশুর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্থায়ী সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপেই থামতে পারে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা।

back to top