পাবনা জেলার শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত গাজনার বিল। প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর আয়তনের এই বিলে বর্ষাকালে পানি প্লাবিত হয় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। দেশের পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত সুজানগরের কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি এই গাজনার বিল। গাজনার বিল একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যভূমি, অন্যদিকে তেমনই কৃষি উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র। মাছের বৃদ্ধিকাল শেষে যখন কৃষিকাজ শুরু হয়, তখনই এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের ব্যস্ততা বাড়ে। কিন্তু কৃষি এই অঞ্চলের প্রধান শক্তি হলেও নেই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক তদারকি অভিযোগ কৃষকদের।
শরৎশেষে হেমন্তের মৃদু শীত গাজনার বিলে নেমে এসেছে। কৃষকরা ব্যস্ত তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল পেঁয়াজের বীজতলা তৈরিতে। কারও চারা ইতোমধ্যেই দুই পাতা বের করেছে, কারও বীজতলা থেকে সদ্য চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করে যখন কৃষকেরা জমি প্রস্তুত করতে যান, তখনই দেখা দেয় বড় বিপর্যয়। অগ্রহায়ণের দুই দিন পার হলেও বর্ষার পানি এখনো সরে যায়নি কৃষিজমি থেকে। জলজ আগাছায় পরিপূর্ণ পুরো গাজনার বিল—এ যেন কৃষকের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।
স্থানীয় কৃষক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন : পেঁয়াজের চারা দেওয়ার বয়স আজ ১৮ দিন। কিন্তু এখনো জমির পানি সরে না। অতিরিক্ত আগাছায় জমি ভরে আছে। আর ২০২৫ দিন পর চারা লাগানোর সময় হবে। এই অবস্থায় আগাছা পরিষ্কার করব কখন? জমির জো আসবে কবে পেঁয়াজ লাগাবই বা কবে দ্রুত পানি না সরালে ফলন আশানুরূপ হবে না।
অন্য কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন : গাজনার বিলে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সুতি জালের কারণে ত্রিমোহনী স্লুইসগেট দিয়ে পানি ঠিকমতো বের হতে পারে না। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা : যদি দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে গাজনার বিলের কৃষি উৎপাদন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
পাবনা জেলার শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত গাজনার বিল। প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর আয়তনের এই বিলে বর্ষাকালে পানি প্লাবিত হয় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। দেশের পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত সুজানগরের কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি এই গাজনার বিল। গাজনার বিল একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যভূমি, অন্যদিকে তেমনই কৃষি উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র। মাছের বৃদ্ধিকাল শেষে যখন কৃষিকাজ শুরু হয়, তখনই এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের ব্যস্ততা বাড়ে। কিন্তু কৃষি এই অঞ্চলের প্রধান শক্তি হলেও নেই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক তদারকি অভিযোগ কৃষকদের।
শরৎশেষে হেমন্তের মৃদু শীত গাজনার বিলে নেমে এসেছে। কৃষকরা ব্যস্ত তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল পেঁয়াজের বীজতলা তৈরিতে। কারও চারা ইতোমধ্যেই দুই পাতা বের করেছে, কারও বীজতলা থেকে সদ্য চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করে যখন কৃষকেরা জমি প্রস্তুত করতে যান, তখনই দেখা দেয় বড় বিপর্যয়। অগ্রহায়ণের দুই দিন পার হলেও বর্ষার পানি এখনো সরে যায়নি কৃষিজমি থেকে। জলজ আগাছায় পরিপূর্ণ পুরো গাজনার বিল—এ যেন কৃষকের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।
স্থানীয় কৃষক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন : পেঁয়াজের চারা দেওয়ার বয়স আজ ১৮ দিন। কিন্তু এখনো জমির পানি সরে না। অতিরিক্ত আগাছায় জমি ভরে আছে। আর ২০২৫ দিন পর চারা লাগানোর সময় হবে। এই অবস্থায় আগাছা পরিষ্কার করব কখন? জমির জো আসবে কবে পেঁয়াজ লাগাবই বা কবে দ্রুত পানি না সরালে ফলন আশানুরূপ হবে না।
অন্য কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন : গাজনার বিলে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সুতি জালের কারণে ত্রিমোহনী স্লুইসগেট দিয়ে পানি ঠিকমতো বের হতে পারে না। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা : যদি দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে গাজনার বিলের কৃষি উৎপাদন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।