বাগেরহাট জেলা শহরের গাজী দরগাহ’র আওতাধিন সরকারী খাস খতিয়ানের জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে ভুমি লোভী একটি চক্র। এ জমি পুনঃউদ্ধারে দরগাহ’র খাদেম বাগেরহাট জেলা প্রশাসনে আবেদন করে সুরাহা না পেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর এ অভিযোগ আমলে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্য্যলয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আমিরুল আরাফাত বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিযোগকারী গাজী কালুর দরগাহ’র বর্তমান খাদেম মো. জামাল হাওলাদার বলেন, বাগেরহাট পৌরসভাধিন কাপুড়েপট্রি এলাকার সরুই মৌজায় গাজী সাহেবের দরগাহ ও মসজিদ রয়েছে। যা সরকারী খাস জমির আওতাধিন। এ খাস জমির কিছু অংশ শহরের ডা: সিরাজুল ইসলাম ও ডা: জহিরুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা ভুমি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর কে অনৈতিক উপায়ে ম্যানেজ করে ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে দরগাহ’র খাদেম হিসাবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে এ ঘটনায় কতিথ প্রভাবশালী কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার কারনে খাস জমি দখলমুক্ত করাতো দুরের কথা গাজী সাহেবের দরগাহ’র মসজিদের আযান দেওয়ার মাইক পর্যন্ত বন্দ করে দেয়া হয়। যা দরগাহ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমি খাদেম জামাল হাওলাদার গত ৫ ফেব্রুয়ারী বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে পুনরায় আবেদন করি। জেলা প্রশাসক আবেদনটি বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সদর সহকারী কমিশনার ( ভুমি) কে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী এসিল্যান্ড সংশ্লিষ্ট তহসীলদারের মাধ্যমে ওই জমির দাগ-খতিয়ানসহ নালিশি জমির প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। এরপর এসিল্যান্ড অভিযোগকারী ও বিবাদীদের নোটিশ করে ৩টি ধার্য্য তারিখ দিয়ে শুনানী করেন। উভয় পক্ষ আইনজীবি নিয়ে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন। তবে শুনানীর সিদ্ধান্ত অভিযোগকারীকে না জানিয়ে ফাইলটি ধামাচাপা দেয় এসিল্যান্ডসহ তার অফিসের ষ্টাফরা। অনেক চেষ্টা করেও রায়ের কপি না পেয়ে খাদেম জামাল হাওলাদার গত ৮ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। খাদেম জামাল হাওলাদার বলেন, খাস জমি রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। অথচ, এসিল্যান্ড বিবাদীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগটি ধামা চাপা দেয়। বাগেরহাট সহরকারী কমিশনার (ভুমি) এসএম নুরুন্নবী বলেন, জামাল হাওলাদারের আবেদনের বিষয়টি এর আগে প্রজাস্বত ম্যানুয়াল ১৯৫৫ এর ৫০০ ধারায় আফিল মামলা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার নিষ্পত্তি করেছেন। সেখানে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তা রদ বা স্থগিত করার এখতিয়ার সহকারী কমিশনার ভুমির নাই। তাই মামলাটি নথিজাত করা হয়েছে। খুনলা বিভাগীয় কমিশনার কার্যলয়ের রাজস্ব থেকে জানানো হয় , বাগেরহাটের জামাল হাওলাদারের অভিযোগটি তদন্ত পুর্বক পরবর্ত্তি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২১ অক্টোবর-২৫ ০৫৪৪০০০০০০২০০৭০০২২৫,৮৫৪ নং স্বারকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
বাগেরহাট জেলা শহরের গাজী দরগাহ’র আওতাধিন সরকারী খাস খতিয়ানের জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে ভুমি লোভী একটি চক্র। এ জমি পুনঃউদ্ধারে দরগাহ’র খাদেম বাগেরহাট জেলা প্রশাসনে আবেদন করে সুরাহা না পেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর এ অভিযোগ আমলে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্য্যলয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আমিরুল আরাফাত বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিযোগকারী গাজী কালুর দরগাহ’র বর্তমান খাদেম মো. জামাল হাওলাদার বলেন, বাগেরহাট পৌরসভাধিন কাপুড়েপট্রি এলাকার সরুই মৌজায় গাজী সাহেবের দরগাহ ও মসজিদ রয়েছে। যা সরকারী খাস জমির আওতাধিন। এ খাস জমির কিছু অংশ শহরের ডা: সিরাজুল ইসলাম ও ডা: জহিরুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা ভুমি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর কে অনৈতিক উপায়ে ম্যানেজ করে ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে দরগাহ’র খাদেম হিসাবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে এ ঘটনায় কতিথ প্রভাবশালী কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার কারনে খাস জমি দখলমুক্ত করাতো দুরের কথা গাজী সাহেবের দরগাহ’র মসজিদের আযান দেওয়ার মাইক পর্যন্ত বন্দ করে দেয়া হয়। যা দরগাহ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমি খাদেম জামাল হাওলাদার গত ৫ ফেব্রুয়ারী বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে পুনরায় আবেদন করি। জেলা প্রশাসক আবেদনটি বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সদর সহকারী কমিশনার ( ভুমি) কে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী এসিল্যান্ড সংশ্লিষ্ট তহসীলদারের মাধ্যমে ওই জমির দাগ-খতিয়ানসহ নালিশি জমির প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। এরপর এসিল্যান্ড অভিযোগকারী ও বিবাদীদের নোটিশ করে ৩টি ধার্য্য তারিখ দিয়ে শুনানী করেন। উভয় পক্ষ আইনজীবি নিয়ে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন। তবে শুনানীর সিদ্ধান্ত অভিযোগকারীকে না জানিয়ে ফাইলটি ধামাচাপা দেয় এসিল্যান্ডসহ তার অফিসের ষ্টাফরা। অনেক চেষ্টা করেও রায়ের কপি না পেয়ে খাদেম জামাল হাওলাদার গত ৮ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। খাদেম জামাল হাওলাদার বলেন, খাস জমি রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। অথচ, এসিল্যান্ড বিবাদীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগটি ধামা চাপা দেয়। বাগেরহাট সহরকারী কমিশনার (ভুমি) এসএম নুরুন্নবী বলেন, জামাল হাওলাদারের আবেদনের বিষয়টি এর আগে প্রজাস্বত ম্যানুয়াল ১৯৫৫ এর ৫০০ ধারায় আফিল মামলা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার নিষ্পত্তি করেছেন। সেখানে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তা রদ বা স্থগিত করার এখতিয়ার সহকারী কমিশনার ভুমির নাই। তাই মামলাটি নথিজাত করা হয়েছে। খুনলা বিভাগীয় কমিশনার কার্যলয়ের রাজস্ব থেকে জানানো হয় , বাগেরহাটের জামাল হাওলাদারের অভিযোগটি তদন্ত পুর্বক পরবর্ত্তি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২১ অক্টোবর-২৫ ০৫৪৪০০০০০০২০০৭০০২২৫,৮৫৪ নং স্বারকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।