alt

শেরপুরে আমন ধানের পর আলু চাষে চিন্তা কৃষকের

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া) : সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুর (বগুড়া) : আলু রোপণে ব্যস্ত এক কৃষক -সংবাদ

বগুড়ার শেরপুরে এবার ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবের চিরচেনা আমেজ উধাও। রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতির পর কৃষকদের দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে আলু চাষ ঘিরেও। সার সংকটের পূর্বাভাস এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চলতি মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় মোস্তার প্রভাবে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে আমন ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং বাতাসে ধান গাছ নুইয়ে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ধানগাছে পচন ধরেছে এবং বেশিরভাগ ধান চিঁটা হয়ে গেছে। গাড়িদহ ইউনিয়নের মাগুরগাড়ি এলাকার কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ৩৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ৮ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, পরে তা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে হয়েছে। অনেক কষ্টে কিছু ধান ঘরে তুললেও ফলন পেয়েছেন বিঘাপ্রতি মাত্র ৬/৭ মণ। শারীরিক প্রতিবন্ধী গোলাম নবী ২২ শতক বর্গা জমিতে চাষ করে পুরো জমির ধানই হারিয়েছেন। দেলোয়ার হোসেনের ৭ বিঘা জমির মধ্যে আড়াই বিঘা এবং আব্দুস সাত্তারের সাড়ে ৩ বিঘা জমির মধ্যে ৮ শতক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আমন ধানে লোকসানের মুখে কৃষকেরা এবার আলু চাষ নিয়েও শঙ্কিত। সাধারণত আমন ধান কাটার পরপরই আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু এবার আমনের জমিতে এখনো পানি জমে থাকায় জমিগুলো আলু চাষের উপযোগী করতে আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। এতে করে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত কুয়াশা, প্রখর রোদসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঝুঁকির মুখে ফেলবে। কৃষকেরা অভিযোগ করছেন, বর্তমানে সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ডিলার, সাব-ডিলার, খুচরা বিক্রেতার দোকানসহ কোথাও সার পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভরা মৌসুমে সারের যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে, এতে আলু চাষে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর আমন মৌসুমে ২২ হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ২২ হাজার ৪৬০ হেক্টর। এরমধ্যে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমির ধান হেলে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবারের আলু চাষ পিছিয়েছে। তবে সারের কোনো কমতি নেই বলে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান, কৃষকেরা টিএসপি সার কম পেলেও তাদের টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং বাজারে ডিএপি সারের কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।

ছবি

সাদুল্লাপুরে বিনামূল্যে হুইলচেয়ার ও ছাগল বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ

ছবি

নারায়ণগঞ্জে থামিয়ে রাখা বাসে আগুন

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়কে দেড় শতাধিক গর্ত

ছবি

পাখির কলধ্বনিতে মুখর গলাচিপার চরাঞ্চল

ছবি

ঘোড়াশালে ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

ছবি

গাজীপুরে রেড ক্রিসেন্টের নির্বাচন: বহুল পরিচিত মৃতরাও ভোটার

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে আরকান আর্মির সদস্য সন্দেহে একজন গ্রেপ্তার, ‘মাদকচক্রে জড়িত’ থাকার অভিযোগ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ

ছবি

কলারোয়ায় ইউএনও’র বিদায় সংবর্ধনা

ছবি

হাটহাজারীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

কেশবপুরে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরিতে বিপাকে কৃষক

ছবি

লালপুরে নারী প্রলোভনে চাঁদা আদায়, চক্রের দুই প্রতারক গ্রেপ্তার

বাগেরহাটে নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

নবীনগর প্রাত:ভ্রমণ এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ছবি

রায়গঞ্জে ফিস্টুলা রোগী সনাক্তকরণ সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটে খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ডের অভিযোগ

ছবি

সিলেটে ১৩ গাড়ি পুড়ে ছাঁই

ছবি

গাজনার বিলপাবনার শস্যভান্ডারে জলাবদ্ধতা পেঁয়াজ চাষে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ছবি

সিরাজগঞ্জের জেলে পরিবারের সব খরচই যেন যমুনা নদীর দান

ছবি

সিংগাইরে ইসলামী ব্যাংক শাখায় অগ্নিকা-, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব, নেই পিঠাপুলির ধুম

ছবি

নড়বড়ে সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার

ছবি

ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন

ছবি

সোনালি ধানের ঢেউয়ে নবান্ন উৎসব

ছবি

গজারিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে লোকবল সংকট

ছবি

বাগেরহাটে বিদ্যুতায়িত হয়ে শ্রমিক নিহত

ছবি

গজারিয়ায় মৃত্তিকার গুনাগুন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

চকরিয়ার মানিকপুরে তিনটি পরিবেশবান্ধব ঝিকঝাক ইটভাটা উচ্ছেদ

ছবি

জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধনে টানা পঞ্চমবারের মতো শীর্ষে দুমকি উপজেলা

ছবি

বোয়ালখালীতে কৃষকের গরু চুরি

ছবি

কাজিপুরে ‘যমুনা’ উপজেলা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি

নলছিটিতে প্রতিপক্ষের হুমকিতে আতঙ্কে প্রবাসীর পরিবার

ছবি

সাদুল্লাপুরে নানা দুর্নীতির দায়ে মাদরাসা সুপারের অপসারণ দাবি

ছবি

ঈশ্বরদীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬ ঘণ্টা ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

tab

শেরপুরে আমন ধানের পর আলু চাষে চিন্তা কৃষকের

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

শেরপুর (বগুড়া) : আলু রোপণে ব্যস্ত এক কৃষক -সংবাদ

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে এবার ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবের চিরচেনা আমেজ উধাও। রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতির পর কৃষকদের দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে আলু চাষ ঘিরেও। সার সংকটের পূর্বাভাস এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চলতি মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় মোস্তার প্রভাবে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে আমন ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং বাতাসে ধান গাছ নুইয়ে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ধানগাছে পচন ধরেছে এবং বেশিরভাগ ধান চিঁটা হয়ে গেছে। গাড়িদহ ইউনিয়নের মাগুরগাড়ি এলাকার কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ৩৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ৮ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, পরে তা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে হয়েছে। অনেক কষ্টে কিছু ধান ঘরে তুললেও ফলন পেয়েছেন বিঘাপ্রতি মাত্র ৬/৭ মণ। শারীরিক প্রতিবন্ধী গোলাম নবী ২২ শতক বর্গা জমিতে চাষ করে পুরো জমির ধানই হারিয়েছেন। দেলোয়ার হোসেনের ৭ বিঘা জমির মধ্যে আড়াই বিঘা এবং আব্দুস সাত্তারের সাড়ে ৩ বিঘা জমির মধ্যে ৮ শতক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আমন ধানে লোকসানের মুখে কৃষকেরা এবার আলু চাষ নিয়েও শঙ্কিত। সাধারণত আমন ধান কাটার পরপরই আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু এবার আমনের জমিতে এখনো পানি জমে থাকায় জমিগুলো আলু চাষের উপযোগী করতে আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। এতে করে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত কুয়াশা, প্রখর রোদসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঝুঁকির মুখে ফেলবে। কৃষকেরা অভিযোগ করছেন, বর্তমানে সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ডিলার, সাব-ডিলার, খুচরা বিক্রেতার দোকানসহ কোথাও সার পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভরা মৌসুমে সারের যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে, এতে আলু চাষে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর আমন মৌসুমে ২২ হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ২২ হাজার ৪৬০ হেক্টর। এরমধ্যে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমির ধান হেলে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবারের আলু চাষ পিছিয়েছে। তবে সারের কোনো কমতি নেই বলে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান, কৃষকেরা টিএসপি সার কম পেলেও তাদের টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং বাজারে ডিএপি সারের কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।

back to top