কেশবপুর (যশোর) : সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ -সংবাদ
কেশবপুরের মধ্যকুল ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ঠাকুরবাড়ি ব্রিজ নির্মাণ হলেও ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় ১০ গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২ বছর ধরে সংযোগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পথচারীরা ওই ব্রিজের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি জনগণের কোনো কল্যাণে আসছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলজিইডি অফিস জানায়, উপজেলার মধ্যকুল ও রামচন্দ্রপুর গ্রামসহ ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্যে মধ্যকুল ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ঠাকুরবাড়ির ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। সংযোগ সড়কের অভাবে ব্রিজটি জনগণের কোনো কল্যাণে আসছে না।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাস্টার দীপক চক্রবর্ত্তী জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রামচন্দ্রপুর ও মধ্যকুল গ্রামের মানুষ হরিহর নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাকো দিয়ে যাতায়াত করতো। এসমস্যা নিরসনে জনগণের দাবির মুখে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে রামচন্দ্রপুর ঠাকুরবাড়ি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালে ব্রিজটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণ ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ক্ষোভে জনগণ ব্রিজের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ব্রিজের দুপারের মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, হাবাসপোল, ব্রহ্মকাটি ও মনিরামপুরের নাগরঘোপ, মুজগুন্নী, বাটবিলাসহ ১০ গ্রামের জনগণকে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার ঘুরে কেশবপুর শহরে এসে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়।
তিনি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের আরও ১৫ বছর আগে থেকে সড়কটির মধ্যকুলে ২০০ মিটার ও রামচন্দ্রপুর অংশের ২০ মিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকতো। এসমস্যার নিরসন না করেই ঠিকাদার শুধুমাত্র ব্রিজটি নির্মাণ করেই চলে যায়। সড়কের দুপাশ প্রায় সারাবছরই পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও হাটুরেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো: নজিবুল হক বলেন, জনগণের দাবির মুখে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোনো বরাদ্দ ছিল না। সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় তলিয়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্প করে যশোর উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপিভূক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। যার অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কেশবপুর (যশোর) : সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কেশবপুরের মধ্যকুল ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ঠাকুরবাড়ি ব্রিজ নির্মাণ হলেও ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় ১০ গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২ বছর ধরে সংযোগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পথচারীরা ওই ব্রিজের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি জনগণের কোনো কল্যাণে আসছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলজিইডি অফিস জানায়, উপজেলার মধ্যকুল ও রামচন্দ্রপুর গ্রামসহ ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্যে মধ্যকুল ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ঠাকুরবাড়ির ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। সংযোগ সড়কের অভাবে ব্রিজটি জনগণের কোনো কল্যাণে আসছে না।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাস্টার দীপক চক্রবর্ত্তী জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রামচন্দ্রপুর ও মধ্যকুল গ্রামের মানুষ হরিহর নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাকো দিয়ে যাতায়াত করতো। এসমস্যা নিরসনে জনগণের দাবির মুখে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ব্যয়ে রামচন্দ্রপুর ঠাকুরবাড়ি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালে ব্রিজটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণ ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ক্ষোভে জনগণ ব্রিজের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ব্রিজের দুপারের মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, হাবাসপোল, ব্রহ্মকাটি ও মনিরামপুরের নাগরঘোপ, মুজগুন্নী, বাটবিলাসহ ১০ গ্রামের জনগণকে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার ঘুরে কেশবপুর শহরে এসে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়।
তিনি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের আরও ১৫ বছর আগে থেকে সড়কটির মধ্যকুলে ২০০ মিটার ও রামচন্দ্রপুর অংশের ২০ মিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকতো। এসমস্যার নিরসন না করেই ঠিকাদার শুধুমাত্র ব্রিজটি নির্মাণ করেই চলে যায়। সড়কের দুপাশ প্রায় সারাবছরই পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও হাটুরেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো: নজিবুল হক বলেন, জনগণের দাবির মুখে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোনো বরাদ্দ ছিল না। সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় তলিয়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্প করে যশোর উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপিভূক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। যার অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।