alt

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাছারি ঘর

প্রতিনিধি, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

একসময়ের গ্রামের ঐতিহ্য ছিল গ্রামে বসবাসকারী সাধারণত বড় কৃষক, ধনী লোক, ও পাঠান চৌধুরীদের কাছারি ঘর নামে পরিচিত ঐতিহ্যের এই প্রতীক। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে কাছারি ঘর এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামে গঞ্জে কোথাও দেখা মিলছে না একটি কাছারি ঘরের।

৯০ দশকে চোখে পড়ার মতো কাছারি ঘর ছিল গ্রামের প্রায় বাড়িতেই। যে ঘরে আত্মীয়-স্বজন মেহমান, রাত্রি যাপন করত আরো রাত্রি যাপন করত কৃষকের বছরের কামলা ( শ্রমিক), বিবাহ করার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ির বড় ছেলে, ভাতিজা ভাগনা সহ অনেক লোকজন।

আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় আত্মীয়-স্বজন মেহমান এবং বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঘরেই মেহমান খানায় রাত্রি যাপন করে। গ্রামের মানুষ এখন অপরিচিত ব্যক্তিদেরকে বাড়িতে তাদের নিজ ঘরের একটি কক্ষে রাত্রিযাপন করতে দেয় কিন্তু ৯০ দশক পর্যন্ত বাড়ির ঘরের কোন রুমে আত্মীয়-স্বজন মেহমান বাড়ির কাজের লোক অপরিচিত আগন্তক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, মুসাফির সকলেই একসাথে সেই কাচারি ঘরে রাত্রি যেমন করত।

গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি ধনী বাড়িতেই একটি করে কাছারি গড় বা বৈঠকখানা না থাকলে ওই বাড়ির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল এমনকি কেউ তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত বাতিল করে দিত বিবাহ সাদিও বন্ধ থাকতো আর আজ সেই ঐতিহ্যের প্রতীক কাছারি গড় বা বৈঠকখানা কোথাও চোখে পড়ে না।

আত্মীয়র বাড়িতে যারা রাত্রি যাপন করতে আসতো বিশেষ করে মামা, খালু, শালা, ভগ্নিপতি, দুলাভাই, নানা,ফুফা, শশুর, বন্ধুবান্ধব সকলকেই ওই কাছারি ঘরে করতে হতো রাত্রি যাপন। উপজেলার সালবাহান এলাকার ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আলহাজ্ব আব্দুস সালাম জানান, কাছারি ঘরের ঐতিহ্য ছিল অনেক বেশি। আজ সেই কাছারি ঘর না থাকায় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে বাড়ির ঘরের ভিতরে একটি পক্ষে জায়গা দেওয়ার কারনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে। বাড়ির মহিলাদের পর্দা ছিল ব্যাপক তারা পর পুরুষের সাথে কখনো দেখা করত না, নতুন বউদের তো কথাই নেই, এমনকি বাড়ির মা মেয়ের শশুর (বিহাই) এর সাথেও দেখা করত না কোনদিন। আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব একাকার হয়ে গিয়েছে আগের দিনের এই সভ্যতা কি আরো ফিরে আসবে।

ছবি

শার্শায় বোমা বিস্ফোরণে যুবক আহত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

নন্দীগ্রামে নবান্নে মাছের মেলা

ছবি

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে অগ্নিকান্ড গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাই

ছবি

তাহিরপুরে মনোনয়ন পুনর্ম্যূলায়নের দাবিতে গণমিছিল

ছবি

জীবননগরে সড়কে গাছ ফেলে নৈশকোচে ডাকাতি

ছবি

কালিয়াকৈ বন্ধ করে দেওয়া হলো দেওয়ান ডিজিটাল হাসপাতাল

ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, সেনা মোতায়েন

ছবি

বেশী দামে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

গৌরীপুরে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

ছবি

ভালুকায় সোনালী ধানে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা

ছবি

ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা

ছবি

চিলমারীতে ঠান্ডা জনিত রোগে বিপাকে শিশু ও বয়স্করা

ছবি

সিরাজদিখানে জাটকায় সয়লাব মাছ বাজার

ছবি

সভাপতি হাবিব, সম্পাদক মোস্তফা

ছবি

অটো ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছবি

নড়াইলে গ্রাম আদালত শক্তিশালীকরণে গুরুত্বারোপ

ছবি

রাজিবপুরে বিএনপির প্রার্থীর মতবিনিময় সভা

ছবি

পূর্বধলায় আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

একমাত্র সম্ভল পাওয়ার টিলার হারিয়ে পথে বসেছে আনিসুর

ছবি

সদরপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬ ফার্মেসিকে জরিমানা

ছবি

শীতের আগমনে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর চাপ

ছবি

ঝালকাঠিতে প্রায় শতভাগ শিশু পেয়েছে টাইফয়েড টিকা

ছবি

কুমিল্লায় নৃ-সিংহ দেব মন্দিরে নীলাকীর্তন

ছবি

জনদুর্ভোগ চরমে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

ছবি

কলারোয়ায় মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা

ছবি

মধ্যকুল- রামচন্দ্রপুর ব্রিজের সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ

ছবি

মহেশপুরে ১৮ কোটি টাকার উন্নয়নকাজে ইউএনওর নতুন মনিটরিং কমিটি

ছবি

যশোর-বেনাপোল সড়কে মধ্যরাতে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা

ছবি

কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে জরিমানা

ছবি

দোহারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবককে মৃত্যু

ছবি

প্রবাসে সবজি চাষে পটিয়ার নাজিম উদ্দিনের পরিবারের সফলতা

ছবি

টেন্ডার জটিলতায় গৌরীপুরের শিশুরা শুধু পেলো দুধ

ছবি

পটিয়ায় মাজারের দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা লুটের অভিযোগ

ছবি

চরফ্যাসনে বোরাকের চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত

tab

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাছারি ঘর

প্রতিনিধি, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়)

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

একসময়ের গ্রামের ঐতিহ্য ছিল গ্রামে বসবাসকারী সাধারণত বড় কৃষক, ধনী লোক, ও পাঠান চৌধুরীদের কাছারি ঘর নামে পরিচিত ঐতিহ্যের এই প্রতীক। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে কাছারি ঘর এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামে গঞ্জে কোথাও দেখা মিলছে না একটি কাছারি ঘরের।

৯০ দশকে চোখে পড়ার মতো কাছারি ঘর ছিল গ্রামের প্রায় বাড়িতেই। যে ঘরে আত্মীয়-স্বজন মেহমান, রাত্রি যাপন করত আরো রাত্রি যাপন করত কৃষকের বছরের কামলা ( শ্রমিক), বিবাহ করার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ির বড় ছেলে, ভাতিজা ভাগনা সহ অনেক লোকজন।

আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় আত্মীয়-স্বজন মেহমান এবং বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঘরেই মেহমান খানায় রাত্রি যাপন করে। গ্রামের মানুষ এখন অপরিচিত ব্যক্তিদেরকে বাড়িতে তাদের নিজ ঘরের একটি কক্ষে রাত্রিযাপন করতে দেয় কিন্তু ৯০ দশক পর্যন্ত বাড়ির ঘরের কোন রুমে আত্মীয়-স্বজন মেহমান বাড়ির কাজের লোক অপরিচিত আগন্তক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, মুসাফির সকলেই একসাথে সেই কাচারি ঘরে রাত্রি যেমন করত।

গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি ধনী বাড়িতেই একটি করে কাছারি গড় বা বৈঠকখানা না থাকলে ওই বাড়ির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল এমনকি কেউ তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত বাতিল করে দিত বিবাহ সাদিও বন্ধ থাকতো আর আজ সেই ঐতিহ্যের প্রতীক কাছারি গড় বা বৈঠকখানা কোথাও চোখে পড়ে না।

আত্মীয়র বাড়িতে যারা রাত্রি যাপন করতে আসতো বিশেষ করে মামা, খালু, শালা, ভগ্নিপতি, দুলাভাই, নানা,ফুফা, শশুর, বন্ধুবান্ধব সকলকেই ওই কাছারি ঘরে করতে হতো রাত্রি যাপন। উপজেলার সালবাহান এলাকার ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আলহাজ্ব আব্দুস সালাম জানান, কাছারি ঘরের ঐতিহ্য ছিল অনেক বেশি। আজ সেই কাছারি ঘর না থাকায় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে বাড়ির ঘরের ভিতরে একটি পক্ষে জায়গা দেওয়ার কারনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে। বাড়ির মহিলাদের পর্দা ছিল ব্যাপক তারা পর পুরুষের সাথে কখনো দেখা করত না, নতুন বউদের তো কথাই নেই, এমনকি বাড়ির মা মেয়ের শশুর (বিহাই) এর সাথেও দেখা করত না কোনদিন। আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব একাকার হয়ে গিয়েছে আগের দিনের এই সভ্যতা কি আরো ফিরে আসবে।

back to top