একসময়ের গ্রামের ঐতিহ্য ছিল গ্রামে বসবাসকারী সাধারণত বড় কৃষক, ধনী লোক, ও পাঠান চৌধুরীদের কাছারি ঘর নামে পরিচিত ঐতিহ্যের এই প্রতীক। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে কাছারি ঘর এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামে গঞ্জে কোথাও দেখা মিলছে না একটি কাছারি ঘরের।
৯০ দশকে চোখে পড়ার মতো কাছারি ঘর ছিল গ্রামের প্রায় বাড়িতেই। যে ঘরে আত্মীয়-স্বজন মেহমান, রাত্রি যাপন করত আরো রাত্রি যাপন করত কৃষকের বছরের কামলা ( শ্রমিক), বিবাহ করার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ির বড় ছেলে, ভাতিজা ভাগনা সহ অনেক লোকজন।
আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় আত্মীয়-স্বজন মেহমান এবং বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঘরেই মেহমান খানায় রাত্রি যাপন করে। গ্রামের মানুষ এখন অপরিচিত ব্যক্তিদেরকে বাড়িতে তাদের নিজ ঘরের একটি কক্ষে রাত্রিযাপন করতে দেয় কিন্তু ৯০ দশক পর্যন্ত বাড়ির ঘরের কোন রুমে আত্মীয়-স্বজন মেহমান বাড়ির কাজের লোক অপরিচিত আগন্তক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, মুসাফির সকলেই একসাথে সেই কাচারি ঘরে রাত্রি যেমন করত।
গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি ধনী বাড়িতেই একটি করে কাছারি গড় বা বৈঠকখানা না থাকলে ওই বাড়ির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল এমনকি কেউ তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত বাতিল করে দিত বিবাহ সাদিও বন্ধ থাকতো আর আজ সেই ঐতিহ্যের প্রতীক কাছারি গড় বা বৈঠকখানা কোথাও চোখে পড়ে না।
আত্মীয়র বাড়িতে যারা রাত্রি যাপন করতে আসতো বিশেষ করে মামা, খালু, শালা, ভগ্নিপতি, দুলাভাই, নানা,ফুফা, শশুর, বন্ধুবান্ধব সকলকেই ওই কাছারি ঘরে করতে হতো রাত্রি যাপন। উপজেলার সালবাহান এলাকার ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আলহাজ্ব আব্দুস সালাম জানান, কাছারি ঘরের ঐতিহ্য ছিল অনেক বেশি। আজ সেই কাছারি ঘর না থাকায় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে বাড়ির ঘরের ভিতরে একটি পক্ষে জায়গা দেওয়ার কারনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে। বাড়ির মহিলাদের পর্দা ছিল ব্যাপক তারা পর পুরুষের সাথে কখনো দেখা করত না, নতুন বউদের তো কথাই নেই, এমনকি বাড়ির মা মেয়ের শশুর (বিহাই) এর সাথেও দেখা করত না কোনদিন। আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব একাকার হয়ে গিয়েছে আগের দিনের এই সভ্যতা কি আরো ফিরে আসবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
একসময়ের গ্রামের ঐতিহ্য ছিল গ্রামে বসবাসকারী সাধারণত বড় কৃষক, ধনী লোক, ও পাঠান চৌধুরীদের কাছারি ঘর নামে পরিচিত ঐতিহ্যের এই প্রতীক। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে কাছারি ঘর এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামে গঞ্জে কোথাও দেখা মিলছে না একটি কাছারি ঘরের।
৯০ দশকে চোখে পড়ার মতো কাছারি ঘর ছিল গ্রামের প্রায় বাড়িতেই। যে ঘরে আত্মীয়-স্বজন মেহমান, রাত্রি যাপন করত আরো রাত্রি যাপন করত কৃষকের বছরের কামলা ( শ্রমিক), বিবাহ করার পূর্ব পর্যন্ত বাড়ির বড় ছেলে, ভাতিজা ভাগনা সহ অনেক লোকজন।
আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় আত্মীয়-স্বজন মেহমান এবং বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঘরেই মেহমান খানায় রাত্রি যাপন করে। গ্রামের মানুষ এখন অপরিচিত ব্যক্তিদেরকে বাড়িতে তাদের নিজ ঘরের একটি কক্ষে রাত্রিযাপন করতে দেয় কিন্তু ৯০ দশক পর্যন্ত বাড়ির ঘরের কোন রুমে আত্মীয়-স্বজন মেহমান বাড়ির কাজের লোক অপরিচিত আগন্তক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, মুসাফির সকলেই একসাথে সেই কাচারি ঘরে রাত্রি যেমন করত।
গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি ধনী বাড়িতেই একটি করে কাছারি গড় বা বৈঠকখানা না থাকলে ওই বাড়ির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল এমনকি কেউ তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত বাতিল করে দিত বিবাহ সাদিও বন্ধ থাকতো আর আজ সেই ঐতিহ্যের প্রতীক কাছারি গড় বা বৈঠকখানা কোথাও চোখে পড়ে না।
আত্মীয়র বাড়িতে যারা রাত্রি যাপন করতে আসতো বিশেষ করে মামা, খালু, শালা, ভগ্নিপতি, দুলাভাই, নানা,ফুফা, শশুর, বন্ধুবান্ধব সকলকেই ওই কাছারি ঘরে করতে হতো রাত্রি যাপন। উপজেলার সালবাহান এলাকার ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আলহাজ্ব আব্দুস সালাম জানান, কাছারি ঘরের ঐতিহ্য ছিল অনেক বেশি। আজ সেই কাছারি ঘর না থাকায় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে বাড়ির ঘরের ভিতরে একটি পক্ষে জায়গা দেওয়ার কারনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে। বাড়ির মহিলাদের পর্দা ছিল ব্যাপক তারা পর পুরুষের সাথে কখনো দেখা করত না, নতুন বউদের তো কথাই নেই, এমনকি বাড়ির মা মেয়ের শশুর (বিহাই) এর সাথেও দেখা করত না কোনদিন। আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব একাকার হয়ে গিয়েছে আগের দিনের এই সভ্যতা কি আরো ফিরে আসবে।