মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার প্রায় সব হাট বাজার, পাড়া মহল্লার রাস্তা ও মোড়ে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হলেও প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। ভোর থেকেই বাজারগুলোয় ঝুড়িভর্তি জাটকা সাজিয়ে ডাকাডাকি করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে সিরাজদিখান বাজার, ইছাপুরা, তালতলা, বালুচর, নিমতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সিরাজদিখান বাজারে জাটকা কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন,২৫০ টাকা কেজি দরে জাটকা কিনেছি। সস্তা বলে সবাই কিনছে। কেউ বাধা দেয় না। তালতলা বাজারে ক্রেতা ইব্রাহিম ভূইয়া বলেন,৩০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি জাটকা কিনেছি। জাটকা খুব সুস্বাদু, তাই কিনেছি।
প্রশাসনের নজরদারি থাকলে বাজারে পাওয়া যেত না, আমরাও কিনতাম না। আগে জাটকা ধরা বন্ধ করতে হবে, এরপর বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান,আড়ৎ থেকে জাটকা আসে বলেই তারা কিনে বিক্রি করেন। সরকার যদি জাটকা বিক্রি বন্ধ করে, তাহলে তারা আর আনবে না, ক্রেতাদের কাছেও বিক্রি করে না।
বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগ না করলে জাটকা নিধন ঠেকানো সম্ভব নয়। এর প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতের ইলিশ উৎপাদনে। তিনি অবিলম্বে তদারকি জোরদার করার আহ্বান জানান। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস দেশের সব নদী ও সমুদ্রে জাটকা ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। মুখ থেকে লেজ পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) এর কম সাইজের ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, যাতে জাটকা পরিণত হয়ে পূর্ণাঙ্গ ইলিশে রূপ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, হাটবাজারে যদি জাটকা বিক্রি হয়ে থাকে, আমরা ইউএনও মহোদয়কে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার প্রায় সব হাট বাজার, পাড়া মহল্লার রাস্তা ও মোড়ে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হলেও প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। ভোর থেকেই বাজারগুলোয় ঝুড়িভর্তি জাটকা সাজিয়ে ডাকাডাকি করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে সিরাজদিখান বাজার, ইছাপুরা, তালতলা, বালুচর, নিমতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সিরাজদিখান বাজারে জাটকা কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন,২৫০ টাকা কেজি দরে জাটকা কিনেছি। সস্তা বলে সবাই কিনছে। কেউ বাধা দেয় না। তালতলা বাজারে ক্রেতা ইব্রাহিম ভূইয়া বলেন,৩০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি জাটকা কিনেছি। জাটকা খুব সুস্বাদু, তাই কিনেছি।
প্রশাসনের নজরদারি থাকলে বাজারে পাওয়া যেত না, আমরাও কিনতাম না। আগে জাটকা ধরা বন্ধ করতে হবে, এরপর বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান,আড়ৎ থেকে জাটকা আসে বলেই তারা কিনে বিক্রি করেন। সরকার যদি জাটকা বিক্রি বন্ধ করে, তাহলে তারা আর আনবে না, ক্রেতাদের কাছেও বিক্রি করে না।
বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগ না করলে জাটকা নিধন ঠেকানো সম্ভব নয়। এর প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতের ইলিশ উৎপাদনে। তিনি অবিলম্বে তদারকি জোরদার করার আহ্বান জানান। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস দেশের সব নদী ও সমুদ্রে জাটকা ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। মুখ থেকে লেজ পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) এর কম সাইজের ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, যাতে জাটকা পরিণত হয়ে পূর্ণাঙ্গ ইলিশে রূপ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, হাটবাজারে যদি জাটকা বিক্রি হয়ে থাকে, আমরা ইউএনও মহোদয়কে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।