নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : নবান্ন উৎসব উপলক্ষে মাছের মেলা -সংবাদ
নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। আর নবান্ন উৎসব বলতে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসব।
ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হরেক রকম মাছের ক্রয়-বিক্রয়। এছাড়া মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এ উৎসবকে ঘিরেই প্রতিবছর মাছের মেলা বসে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
সরেজমিনে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, বাঘা আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। এক কেজি থেকে শুরু করে ১৫ কেজি ওজনের মাছ আছে। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। কোন কোন মাছ বিক্রেতারা বিশালাকৃতির মাছগুলো মাথার ওপর তুলেধরে ক্রেতাদের আকর্ষণের চেষ্টা করছে। উপজেলার রিধইল গ্রামের মাছ বিক্রেতা সেকেন্দার মিয়া বলেন, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেকে বাড়ির আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ করে।
বড় বড় মাছ নবান্ন বাজারে বিক্রি করতে আনেন। তারা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে চিন্তা করে মাছের দাম কম রাখেন। মাছ বিক্রেতা জোবায়ের হোসেন জানান, মাছের আকার ভেদে এক একটি মাছ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ২৫০ থেকে ৫শ টাকা কেজি দরে বিগহেড ও সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৪শ থেকে ৬শ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ও বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার দাসগ্রাম গ্রামের মাছ ক্রেতা বাদল চন্দ্র জানান, আমি রুই মাছ ৪৮০ টাকা কেজি, বিগহেড ৫৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। মোট ৭৫০০ টাকার মাছ কিনেছি। মাছ কিনতে আসা নাটোর জেলার সিংড়ার মাসিন্দা গ্রামের অমর কুমার বলেন, বিগহেড, সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা মাছের দাম ঠিক আছে। অন্য বছরের চাইতে এবার বোয়াল মাছের দাম একটু বেশি। তবে বাজারে বড় বড় মাছ দেখে মনটা বেশ খুশি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : নবান্ন উৎসব উপলক্ষে মাছের মেলা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। আর নবান্ন উৎসব বলতে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসব।
ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হরেক রকম মাছের ক্রয়-বিক্রয়। এছাড়া মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এ উৎসবকে ঘিরেই প্রতিবছর মাছের মেলা বসে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
সরেজমিনে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, বাঘা আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। এক কেজি থেকে শুরু করে ১৫ কেজি ওজনের মাছ আছে। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। কোন কোন মাছ বিক্রেতারা বিশালাকৃতির মাছগুলো মাথার ওপর তুলেধরে ক্রেতাদের আকর্ষণের চেষ্টা করছে। উপজেলার রিধইল গ্রামের মাছ বিক্রেতা সেকেন্দার মিয়া বলেন, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেকে বাড়ির আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ করে।
বড় বড় মাছ নবান্ন বাজারে বিক্রি করতে আনেন। তারা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে চিন্তা করে মাছের দাম কম রাখেন। মাছ বিক্রেতা জোবায়ের হোসেন জানান, মাছের আকার ভেদে এক একটি মাছ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ২৫০ থেকে ৫শ টাকা কেজি দরে বিগহেড ও সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৪শ থেকে ৬শ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ও বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার দাসগ্রাম গ্রামের মাছ ক্রেতা বাদল চন্দ্র জানান, আমি রুই মাছ ৪৮০ টাকা কেজি, বিগহেড ৫৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। মোট ৭৫০০ টাকার মাছ কিনেছি। মাছ কিনতে আসা নাটোর জেলার সিংড়ার মাসিন্দা গ্রামের অমর কুমার বলেন, বিগহেড, সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা মাছের দাম ঠিক আছে। অন্য বছরের চাইতে এবার বোয়াল মাছের দাম একটু বেশি। তবে বাজারে বড় বড় মাছ দেখে মনটা বেশ খুশি।