কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দখল করে এখন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের দায়িত্ব অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিচাইল বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনটি ভবনের মধ্যে একটিতে দৈনন্দিন কার্যক্রম চলে, অন্য একটিতে আবাসিক, বাকি একটি ভবনে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের কার্যালয়। ওই উপ-কেন্দ্রের আবাসিক ভবনটি তালাবদ্ধ এবং পরিবার করিকল্পনা পরিদর্শকের কার্যালয়টিতে গোডাউন হিসেবে ভাড়া প্রদান করা হয়েছে।
কক্ষটির তালা খুলতে বলা হলে প্রথমে পরিত্যক্ত ভবন হিসেবে সব কাগজপত্র জমা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য সহকারী সাইফুল ইসলাম। তারপরও দেখতে চাইলে মহিচাইল বাজারের সেলিম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেয়ার কথা বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি ।
তবে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাত্র ২শ’ দূরত্বে মহিচাইল ২০ শয্যা সরকারি হাসপাতালটি চালু হওয়ায় ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের যাতায়াত নেই বললেও চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকারি অফিস গোডাউন এর জন্য ভাড়া দেওয়া হয় কিভাবে? এগুলো কি দেখার কেউ নাই! এত অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী সেলিম জানান, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। গোডাউন হিসেবে ওই ভবনটি ব্যবহার করেছি। সাংবাদিকরা এসে ছবি তোলার পর আমি সব কিছু নিয়ে আসছি।
স্বাস্থ্য সহকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্ধ্যার পর থেকে মাদকসেবীদের আস্তানা। ওই ভবনটা পরিত্যক্ত হওয়ার মত। একজন প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী এসে অনেক অনুরোধ করেছে কিছুদিনের জন্য কয়েকটা ড্রাম রাখবে। সে ৬ হাজার টাকা দিয়েছে সেই টাকা দিয়ে একটা গেইট নির্মাণ করেছি যাতে অফিস সময়ের পর বহিরাগতরা অবাধে চলাচল করতে না পারে। এটা যদি ভুল হয় সে ভুল আমার। এখন কিছু নাই, খালি করে তার মালামাল নিয়ে গেছে।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
সাংবাদিকদের মাধ্যমেই বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ওই ভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছি। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে বিভাগ ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দখল করে এখন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের দায়িত্ব অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিচাইল বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনটি ভবনের মধ্যে একটিতে দৈনন্দিন কার্যক্রম চলে, অন্য একটিতে আবাসিক, বাকি একটি ভবনে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের কার্যালয়। ওই উপ-কেন্দ্রের আবাসিক ভবনটি তালাবদ্ধ এবং পরিবার করিকল্পনা পরিদর্শকের কার্যালয়টিতে গোডাউন হিসেবে ভাড়া প্রদান করা হয়েছে।
কক্ষটির তালা খুলতে বলা হলে প্রথমে পরিত্যক্ত ভবন হিসেবে সব কাগজপত্র জমা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য সহকারী সাইফুল ইসলাম। তারপরও দেখতে চাইলে মহিচাইল বাজারের সেলিম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেয়ার কথা বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি ।
তবে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাত্র ২শ’ দূরত্বে মহিচাইল ২০ শয্যা সরকারি হাসপাতালটি চালু হওয়ায় ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের যাতায়াত নেই বললেও চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকারি অফিস গোডাউন এর জন্য ভাড়া দেওয়া হয় কিভাবে? এগুলো কি দেখার কেউ নাই! এত অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী সেলিম জানান, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। গোডাউন হিসেবে ওই ভবনটি ব্যবহার করেছি। সাংবাদিকরা এসে ছবি তোলার পর আমি সব কিছু নিয়ে আসছি।
স্বাস্থ্য সহকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্ধ্যার পর থেকে মাদকসেবীদের আস্তানা। ওই ভবনটা পরিত্যক্ত হওয়ার মত। একজন প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী এসে অনেক অনুরোধ করেছে কিছুদিনের জন্য কয়েকটা ড্রাম রাখবে। সে ৬ হাজার টাকা দিয়েছে সেই টাকা দিয়ে একটা গেইট নির্মাণ করেছি যাতে অফিস সময়ের পর বহিরাগতরা অবাধে চলাচল করতে না পারে। এটা যদি ভুল হয় সে ভুল আমার। এখন কিছু নাই, খালি করে তার মালামাল নিয়ে গেছে।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
সাংবাদিকদের মাধ্যমেই বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ওই ভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছি। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে বিভাগ ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি।